আজকের খুতবাহ প্রধানত সূরা হাজ্জ-এর একটি আয়াতকে কেন্দ্র করে। এই আয়াত নিয়ে আমি বেশ কয়েক দিন থেকেই চিন্তা করছিলাম, কিন্তু এটা নিয়ে খুতবাহ দেওয়ার বা এটাকে নিয়ে আমার চিন্তা ভাবনা প্রকাশ করার সুযোগ হয় নাই। বেশ কিছু দিন ধরেই আমি এই আয়াত নিয়ে চিন্তা করছিলাম কারণ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষ জনের সাথে সরাসরি দেখা সাক্ষাতের মাধ্যমে আমার অনেক মানুষের সাথে আলাপ হয়েছে। মানুষজন তাদের চ্যালেঞ্জ, প্রশ্ন নিয়ে আসে। আপনাদেরকে আমি প্রথমে কি ধরণের আলাপচারিতার কথা বলছি সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিয়ে তারপরে কেন আমি এই আয়াতটা আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত সেটা জানাতে চাই। আমরা এখন এমন এক সময়ে বাস করছি যখন আমরা অনেক বিভ্রান্তির ধাঁধায় পড়ে আছি। আমাদের সকল প্রকারের অনেক প্রশ্ন আছে। উদাহরণস্বরূপ মানুষ অনেক কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যক্তিগত জীবনে। যখন একজন বিশ্বাসী তার দ্বীন সম্বন্ধে খুব ভালোভাবে জানে এবং তারা আল্লাহর কিতাব সম্বন্ধে জানে, এবং তারা অনুধাবন করে সেই প্রশান্তি, মওই’যা- আন্তরিক পরামর্শ এবং আল্লাহর কিতার যে উপশম প্রদান করে, তাঁর প্রেরিত নবী সাঃ এর সুন্নত থাকে যা পাওয়া যায়। তখন তারা আল্লাহর দ্বীনে প্রশান্তি পায়।
কিন্তু এখন আমরা এক অদ্ভুত সময়ে বাস করছি। আমরা এটাকে তথ্যের যুগ বলি কিন্তু আমাদের বেশির ভাগই আমাদের নিজের ধর্ম সম্বন্ধে বেশি কিছু জানি না। আমরা সত্যিই জানিনা কিভাবে আমাদের কিতাব এবং আমাদের বিশ্বাস এবং আমাদের ধর্মগ্রন্থ আমাদের উপশম দিতে পারে। এটা কিভাবে আমাদের কঠিন সময়ে সাহায্য করতে পারে। যখন এমনটা ঘটে তখন আমরা শয়তানের সহজ শিকারে পরিণত হয়ে যাই। যখন মানুষ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যায় তখন শয়তান তাদের কাছে সকল প্রকারের চিন্তা নিয়ে আসে। ধরুন কেউ অসুস্থ, সে হাসপাতালে এবং সে সব ধরণের ওয়াসওয়াসা পাচ্ছে- বিশ্বাসের ব্যাপারে, আল্লাহকে প্রশ্ন করছে, কদর কে নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছে। মানুষ চাকুরী হারিয়ে ফেললে, বিয়েটা সুখকর না হলে, লেখাপড়ার ক্ষেত্রে মুশকিল দেখা দিলে- আপনি যে সমস্যার মধ্য দিয়েই যান না কেন বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কিছুও হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে প্রশ্ন করতে শুরু করা খুব সহজ- আল্লাহ কে আদৌ আমাকে ভালোবাসেন? তিনি কেন আমার সাথেই এমন করছেন? আমার কি দোষ ছিল যে আমিই এই সমস্যায় পড়বো? আমি এত দুয়া করলাম আল্লাহ তাতে সাড়া দিল না। সে কোন পরোয়াই করে না। আমি পুরো রমজান মাস প্রার্থনা করলাম, এমনকি ওমরাহ্ও করলাম, আমি এখনও দুয়া করছি যে আমার সন্তানকে আরোগ্য করে দিন, আমার এই সমস্যা দূর করে দিন কিন্তু আমার সেই সমস্যা তো এখনও আছে। এসব আপনার ব্যক্তিগত জীবনে এবং এটাই যথেষ্ট কঠিন।
উপরন্তু সারা দুনিয়ায় একটা সংকট কাল চলছে। উদাহরণস্বরূপ আপনাদের অনেকের পরিবার সিরিয়ায় আছে। বা সারা দুনিয়ায় সিরিয়ার মত জায়গায়। যে জায়গাগুলো পুড়ছে। যেখানে পরিবার নিরাপদ নয়, সন্তানেরা নিরাপদ নয়। যেখানে সব ধরণের মানবিক বিপর্যয় ঘটে চলেছে এবং মানুষ মারা যাচ্ছে। ব্যাপারটা অনেকটাই যেন রাসূলুল্লাহ সাঃ-এর বাণীকে পূর্ণ করার জন্য যে- হত্যাকারী জানবে না যা সে কেন মারছে, আর যাকে হত্যা করা হচ্ছে সেও কারণটা জানবে না। এমন এক সংকটময় পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ প্রশ্ন করা শুরু করে কেন আমার ব্যক্তিগত জীবনে তো বটেই এমনকি সারা দুনিয়ায় পাগলাটে ঘটনা ঘটে চলেছে? এই সব কিছুতে আল্লাহ কোথায়? তিনি কি এই সব সমস্যা দূর করতে পারেন না? এমন তো না যে আমরা দুয়া করছি না। কুনুতুন নাযিলা প্রতিরাতেই সারা দুনিয়ার মসজিদে। আল্লাহুম্মান সুরিল ইসলামা ওয়াল মুসলিমিন। আ ইযযাল ইসলামা ওয়াল মুসলিমিন। মুসলিমদের সহায়তা করুন, ইসলামকে সহায়তা করুন। মুসলিমদের শক্তি দিন। ইসলামকে শক্তি দিন। হে আল্লাহ আমাদের দ্বীনের শত্রুদের বিরুদ্ধে শক্তি দিন। মনে হচ্ছে যে শত্রুরা দিন দিন আরো শক্তিশালী হচ্ছে আর বেশি বেশি করে রক্তপাত ঘটাচ্ছে। সুতরাং সেই মুহূর্তে কোন ব্যক্তি তার ধর্ম নিয়ে খুবই হতাশ হয়ে যায় এবং চিন্তা করা শুরু করে এসবের কোন মানে হয় না। আমি কেন দুয়া করবো? এর গুরুত্বই বা কি? কিছুই তো বদলাবে না। এটা কিন্তু আসলে খুব সার্বজনীন এক সমস্যা।
এই সমস্যার ফলাফলস্বরূপ কিছু জিনিস ঘটে। কিছু মানুষ দোয়া করাই বন্ধ করে দেয়। শুধু দু’য়াই নয় এমনকি তারা নামায পড়াও বন্ধ করে দেয়। তারা নামাযের ব্যাপারে আর পরোয়া করে না। নামাযকে আল্লাহ এভাবে বর্ণনা করেছেন যে এটা একটা সুরক্ষা। ইন্নাস সালাতা তানহা আনিল ফাহসা ই ওয়াল মুনকার। নামায আপনাকে সব ধরণের লজ্জাহীনতা, অশ্লীল আচরণ এবং সব ধরণের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। সুতরাং আল্লাহ যখন এমনটা বলেন এবং কোন ব্যক্তি নামায ত্যাগ করে তখন তারা আসলে সরাসরি শয়তানের শিকারে পরিণত হয়। সব ধরণের খারাপ কাজ করে যাবে এবং যে করছে সে বুঝতেও পারবে না যে সে কেন এই কাজটা করছে। এরপরে এমন মানুষও কিন্তু আছে যারা অত দূর যায় নাই। তারা এখনও দ্বীনের উপর অধিষ্ঠিত আছে, তারা এখনও দ্বীনকে ধরে রেখেছে কিন্তু তারা কোনমতে ধরে আছে। তারা কোনমতে, কোনক্রমে ধরে আছে। তারা কোনক্রমে জুম্মাহর নামাযে আসে। এমনকি সেটাও তার জন্য সংগ্রাম। কিছু মানুষের অবস্থা এত খারাপ হয়ে যায় যে তারা একটা মসজিদের ভিতরে বেশি সময় থাকতেও পারে না। যদিও কোন কারণে তারা থাকে তাহলে অস্বস্তি বোধ করা শুরু করে এবং তাড়াতাড়ি চলে যেতে চায়। এমন ঘটনা ঘটে। সুতরাং সেই মানুষগুলোর ব্যাপারে… আমার এমন অনেক মানুষের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে। আমি মনে করি না যে তারা খারাপ মানুষ। আমি মনে করি না যে তারা মানুষ হিসেবে মন্দ। যাইহোক আমি মনে করি কিছু মৌলিক বিষয় ঠিক ছিল না। কিছু নির্দিষ্ট চিন্তা, কিছু নির্দিষ্ট ধারনা, কিছু নির্দিষ্ট অনুভূতিতে ভুল আছে। আর সেই ভুল অনুভূতির কারণে একজন খুব বিপদজনক পথে চলে। সেই পথে যেটা পথভ্রষ্টতায় নিয়ে যায়।
একদিকে সূরা হাজ্জের শুরুতে আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল বলেছেন সেই সব মানুষের কথা যাদের কাছে মানুষকে পথভ্রষ্ট করার কার্যপ্রণালী আছে। খারাপ মানুষ যারা কোন জ্ঞান ছাড়াই আল্লাহর বিরুদ্ধে তর্ক করা ছাড়া আর কিছু চায় না। مَن يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَلَا هُدًى وَلَا كِتَابٍ مُّنِيرٍ ২২:৮। কোন ব্যক্তি আল্লাহর ব্যাপারা তর্ক করে, বিতর্ক করে এবং ধর্মকে ঘৃণা করে এবং আল্লাহকে ঘৃণা করে, নবী সাঃ কে ঘৃণা করে এবং তাদের কোন ধারনা নাই যে তারা কেন তর্ক করছে। তাদের কোন পথনির্দেশনাও নাই। কোন আলোকিত চিন্তার আলোকেও তারা কাজটা করে না। এটা শুধু অভিযোগ করার স্বার্থেই অভিযোগ করা। সেই ধরণের মানুষগুলোর জন্য শুধু এটা যথেষ্ট নয় যে তারা বিভ্রান্তিতে আছে। তারা শান্ত হয়ে বসতে পারে না যতক্ষণ না তারা অন্য কাউকে বিভ্রান্ত করে। তাদের আসলে অন্য কাউকেও ভুল পথে পরিচালিত করতে হবে। সেটা এক দল মানুষ। কিন্তু এই দলের মানুষদের নিয়ে আমি আজ কথা বলবো না। আমি কথা বলবো এর পরের যে দল তাদের নিয়ে। যারা কিনারায় আছে। আক্ষরিকভাবেই যারা প্রান্তে আছে।
কুর’আন তাদেরকে এভাবেই বর্ণনা করেছে। وَمِنَ النَّاسِ مَن يَعْبُدُ اللَّهَ عَلَىٰ حَرْفٍ ২২: ১১ আমি এটার এভাবে অনুবাদ করবো যে মানুষদের মধ্যে এমন কেউ আছে যে আল্লাহর উপাসনা করে একদমই কিনারায়। ‘হারফ’ শব্দটি দিয়ে পর্বতের কিনারাও বোঝায়। তারা আল্লাহর উপাসনা করে কিন্তু পর্বতের একদম খাড়া প্রান্তে। এর অর্থ কি? এর অর্থ হল কিছু সময় এখানে, কিছু সময় সেখানে। তারা যেন পর্বতের প্রান্ত থেকে পড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। তারা তাদের বিশ্বাসে যথেষ্ট স্থির নয়। তারা তাদের উপাসনায় যথেষ্ট স্থিতিশীল নয়। তারা অনড় নয়। তাদের মনে এমন প্রশ্ন আছে যার উত্তর তার জানা নাই। অমীমাংসিত আবেগ। সুতরাং সেটা কিভাবে প্রদর্শিত হয়? আল্লাহ নিজে বলেছেন فَإِنْ أَصَابَهُ خَيْرٌ اطْمَأَنَّ بِهِ যখন ভাল কিছু তাদের কাছে আসে, যদি জীবনে ভাল কিছু ঘটে তাহলে তারা ভাল থাকে। ঠিক আছে, ঠিক আছে, আল্লাহ আসলে এই দুয়াটা শুনেছেন। সুতরাং আমি এখন নামায পড়তে পারি। আমার ভাল লাগছে। وَإِنْ أَصَابَتْهُ فِتْنَةٌ ২২: ১১। যখন তারা কোন ফিতনার সংস্পর্শে আসে। ফিতনা শব্দের অর্থ হল কোন ধরণের পরীক্ষা, কোন কিছু যেটা তাদের বিশ্বাসকে পরীক্ষা করে। ফিতনার শাব্দিক অর্থই হল পরীক্ষা। সুতরাং আল্লাহ ‘খাইর’ এর বিপরীত শব্দ ‘শার’ ব্যবহার করেন নাই। ইকাসে শব্দটি হবে ‘শার’। সুতরাং আপনি হয়তো আশা করেছিলেন যে আল্লাহ বলবেন ফা ইন আসাবাহু খায়রুন ইতমাআন নাবিহী। ওয়া ইন আসাবাহু শাররুন…না। ওয়া ইন আসা বাতহু ফিতনাতুন।
কেন এই শব্দটি গুরুত্বপূর্ণ? কারণ আল্লাহ আমাদের জানাচ্ছেন যখন আপনার খারাপ কিছু ঘটে তখন শুধু আল্লাহ আপনার বিশ্বাসকে পরীক্ষা করছেন। আল্লাহ শুধু দেখেতে চান আপনি কি বিশ্বাস করেন এক আল্লাহকে যে আপনাকে তখনও ভালোবাসেন, যিনি তখনও আপনাকে গুরুত্ব দেন, তখনও তিনি আর-রাহমান, তখনও তিনি আর-রাহীম, তখনও তিনি আর-রাজীক, তিনি তখনও আপনাকে সব কিছুর যোগান দিয়ে যাচ্ছেন, আপনাকে তখনও রক্ষা করে যাচ্ছেন, আপনার যত্ন নিয়ে যাচ্ছেন? যদিও আপনি তা দেখতে পান না। যদিও আপনার মনে হচ্ছে যেন আপনার সামনে সমস্যার স্তূপ। আর শয়তান চায় যে আপনি প্রশ্ন করুন, “আল্লাহ কোথায়”? সে চায় যে আপনি এই প্রশ্নটি করুন। তাই আল্লাহ আপনাকে অনেক সময় এমন পরিস্থিতিতে ফেলতে চান এটা দেখার জন্য যে আপনার বিশ্বাস কতটা পাকাপোক্ত। যাইহোক এই দ্বীনের শুরু কিন্তু আল্লাযিনা ইঊইমিনুনা বিল গাঈব ২:৩। তারা এমন এক আল্লাহকে বিশ্বাস করে যাকে তারা দেখতে পায় না। এর অর্থ শুধু এই নয় যে আমরা আল্লাহকে দেখতে পাইনা, আমরা তার পরিকল্পনাও দেখতে পাই না। আল্লাহ আপনাকে বলে দেন না যে তোমার দিনটা এভাবে যাবে।
তুমি এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছ কিন্তু সহজ সময় আসছে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক বছর বা কয়েক ঘন্টার মধ্যেই। আমরা জানি না যে পরবর্তী মিনিটেই পরিস্থিতি ভাল হবে নাকি আরো দশ বছর লাগবে। আমরা কিচ্ছু জানি না। আল্লাহ সেটা বলবেন না। ওয়া মা কানাল্লাহু লি ইঊতলিয়াকুম আলাল গাঈব। আল্লাহ আপনাকে অদৃশ্যের ব্যাপারে জানাবেন না। তিনি সেটা আপনাকে জানাতে বাধ্য নন। আল্লাহ শুধু আপনাকে বলছেন তাঁকে বিশ্বাস করতে। তাঁকে বিশ্বাস করতে যে আপনি নিজেকে যতটা ভালবাসেন আল্লাহ আপনাকে তার চেয়েও বেশি ভালবাসেন। আপনাকে শাস্তি দিয়ে, যন্ত্রণা দিয়ে তাঁর কোন লাভ নাই। مَّا يَفْعَلُ اللَّهُ بِعَذَابِكُمْ আপনাকে শাস্তি দিয়ে আল্লাহর কি লাভ? আপনি কেন ভাবেন যে আল্লাহ আপনাকে পাকড়াও করতে চান? আল্লাহ নিজে আক্ষরিক অর্থেই এই প্রশ্ন করেছেন।
সুতরাং যখন আপনি, আমি পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাই তখনই এটা হিসাব করে দেখার সময় যে- আল্লাহকে বিশ্বাস করা তো সহজ যখন সবকিছু ঠিক আছে। তখন এটা তুলনামূলকভাবে সহজ। কিন্তু বিশ্বাস করা কঠিন বিশেষত আল্লাহর কিছু নামে। আল্লাহর সেই সব নামে যেগুলোকে আমরা কঠিন সময়ে আঁকড়িয়ে ধরে রাখি। সেগুলোকে ধরে রাখা কঠিন যখন আমাদের উপর আঘাত আসে। যখন আমরা বিশ্বাস করি যে আল্লাহ উপশমকারী, আল্লাহই সব শিফার মালিক। তাঁর কিতাব হল শিফা। আর আপনি হাসপাতালে বসে আছেন মৃত্যুমুখী মা-র কাছে বা মৃত্যুমুখী বাবা-র কাছে। তখন বিশ্বাস করা কষ্টকর। এটা অনেকের কাছেই কঠিন মনে হয়। এই খুতবাহকে আমি দুইটা জিনিসে ভাগ করতে চাই। একটা হল দোয়া বিষয়ে আমাদের চিন্তা ভাবনার সংশোধন করা।
ইনশাল্লাহ চলবে …।