বিভিন্ন আসক্তি থেকে বাঁচার প্র্যাকটিক্যাল কিছু উপদেশ।
আমাদের সবারই চরিত্রের বিভিন্ন দিক রয়েছে যার উন্নতি সাধন প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজন ঠান্ডা মাথায় , গভীরভাবে নিজেকে পর্যবেক্ষণ করা যে , আমি আসলে চরিত্রের কোন ক্ষেত্রে উন্নতি সাধন করতে চাই ? আরো বেশি জ্ঞান অর্জন করার পূর্বে আপনি কি নিজের প্রতি সৎ থেকে একটা লিস্ট বানাতে পারবেন ? ইস ! এই বিষয়গুলো যদি আমি জীবনে না করতাম। ইস ! এই বিষয়গুলো যদি আমি আমার জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারতাম ! এটা হলো এক নাম্বার কাজ।
তখন এই লিস্ট এ থাকবে এমন কিছু বিষয় যা আপনি আপনার জীবন থেকে বাদ দিতে পারতেন । আর কিছু বিষয় থাকবে এমন যা আপনি আপনার জীবনে যুক্ত করতে পারতেন ।এখন যে বিষয়গুলো আপনি জীবন থেকে বাদ দিতে পারতেন সেগুলোর ব্যাপারে নিজেকে প্রশ্ন করুন যে কিভাবে আমি এগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারি ? উদাহরণ সরূপ কারো কারো হয়ত বিভিন্ন ধরনের আসক্তি থাকতে পারে। যেমন ..ড্রাগ , মদ্যপান বা পর্নোগ্রাফি যাই হোক কোনো এক ধরনের আসক্তি। এই আসক্তিগুলো সাধারণত ঘটে বিশেষ পরিস্থিতিতে। ধরুন , কোনো এক যুবক বাসায় একা, সে স্কুল থেকে কিছুটা আগেই বাসায় আসে, বাবা -মা এখনো কর্মস্হল থেকে ফেরত আসেনি, তার ঘন্টা দেড়েক বাসায় একা একা থাকার সুযোগ হয়। ঠিক তখনি সমস্যায় আক্রান্ত হয়।
সুতরাং আপনি নিজেই বুঝতে পারেন যে , হ্যাঁ আমি এই খারাপ কাজটা করি। কিন্তু আমি এটা করি একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে। তাই আমি যদি এই নির্দিষ্ট সময় এবং নির্দিষ্ট পরিস্থিতির মাঝে কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারি তাহলে এটা আমাকে সাহায্য করতে পারে। আমি জানি আমি একা একা বাসায় থাকলে আমার সমস্যা হয়। আমি হয়ত এই বিষয়টা আগে চিন্তা করে দেখিনি। মনে হয় আমার আরো বেশি সময় স্কুলে থাকা উচিত। অথবা আমি এই সময়টা ভালো কিছু করে ব্যয় করতে পারি।
দিনশেষে পাপ কাজগুলো আপনার সময়ের অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়। প্র্যাকটিক্যাল্লি বলতে গেলে, সময়ের অপব্যবহারই শেষ পর্যন্ত পাপ কাজে পরিনত হয়। আপনি নিজেকে যথেষ্ট ব্যস্ত রাখছেন না। আমি তরুণ ভাই-বোনদেরকে বিশেষভাবে বলছি – তাদের নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখতে হবে। ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর থেকে চোখে ঘুম না আসা পর্যন্ত তাদের নিজেদেরকে কোনো কিছু করার মাঝে ব্যস্ত রাখতে হবে। এমনকি এটা যদি খেলাধূলাও হয়ে থাকে কোনো সমস্যা নেই। এমন হতে হবে না যে, নিজেকে সারাদিন কুরআন পড়ায় ব্যস্ত রাখতে হবে। ধর্মীয় কাজ করতে পারলে ভালো। প্রডাক্টিভ যেকোনো কিছু। হয়ত কোথাও একটা কাজ পেলেন, কোনো ইন্টার্নশীপ পেলেন, রিসার্চ করা শুরু করলেন বা কোনো খেলাধূলায় যুক্ত হলেন যাই হোক না কেন বিষয়টা হলো নিজেকে গঠনমূলক কিছুতে ব্যস্ত রাখুন। চরিত্র ঠিক করার প্রথম পদক্ষেপ হলো – মন্দ কাজ থেকে মুক্তি। আগে যেমন বলেছি নিজের বা অন্য কারো ক্ষতি না করা। এবং নিজের সময়ের সঠিক ব্যবহার করা। আজকের দিনের যুবকদের বিভিন্ন সমস্যার মূল কারণ হলো – তাদের হাতে প্রচুর ফ্রি সময় থাকা। তারা মনে করে না যে তাদের কিছু করতে হবে।