বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
আমাদের অনেকেরই কু’রআন এবং কু’রআনের তাফসীর পড়ার সময় মনে প্রশ্ন আসে, “এই আয়াতে আমার শেখার কী আছে?”, “এর সাথে আজকের যুগের সম্পর্ক কী?”, “কু’রআনে আধুনিক মানুষের জীবনের সমস্যাগুলোর কোনো উত্তর আছে কি?” ইত্যাদি। অনেকেই কু’রআন পড়ে বুঝতে পারেন না; কু’রআনের আয়াতগুলোগুলো কীভাবে তার জীবনে কাজে লাগবে।
বিশেষত কোরআনকে আমাদের পড়তে অনীহা লাগার অনেকগুলো কারণ রয়েছে- এর মাঝে রয়েছে কোরআনের প্রাসঙ্গিকতা, এটিকে সুশৃঙ্খল মনে না হওয়া এবং পাশাপাশি কোরআনকে বুঝতে হলে শুধু কোরআনই নয় বরং অন্যান্ন জ্ঞানের শাখাও যে সমানভাবে লাগে সেগুলোর জ্ঞান না থাকায় আমরা একে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে পারি না এবং এটা পড়তেও ইচ্ছা করে না।
এসব কিছুই মধ্য দিয়েই কোরআনের এই অসাধারণ আলোচনাসমূহ-যার কারণে আপনার কাছে কোরআনকে আর নিরস মনে হবে না, কোরআনের আবেদন নতুনভাবে উন্মোচিত হবে, নতুনভাবে পরিচিত পাবে কোরআনের চিরন্তন ও সমকালীন জীবন পথের প্রাসঙ্গিক আলোচনাসমূহ।
আধুনিক মানুষ ইসলামকে নিয়ে যে সব দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন এবং অমুসলিম মিডিয়ার ব্যাপক অপপ্রভাবের কারণে ইসলামকে মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারেন না, তাদের কাছে ইসলামের সঠিক ভাবমূর্তি এবং কু’রআনের অসাধারণ বাণী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ লেখাগুলোর সূচনা।
এটি কোনো তাফসীর নয়, বরং প্রসিদ্ধ তাফসীরগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য এবং আজকের যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনার সংকলন। এখানে কু’রআনের আয়াতের বাণীকে অল্প কথায়, সমসাময়িক জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে, সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক আলোচনাসহ যথাসম্ভব আধুনিক বাংলায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করি সমকালীন মানুষেরা তাদের জীবনের সাথে কুর’আনকে মেলাতে পারবেন।
কু’রআনের আয়াতগুলোর সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের বাণীর খুব কমই বোঝা যায়, কারণ আরবি থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবি শব্দের প্রকৃত অর্থ, অর্থের ব্যাপকতা এবং প্রেক্ষাপট হারিয়ে যায়। আবার অনেকেই তাফসির পড়ে ঠিক কিন্তু উপলব্ধি করতে পারেন না, আয়াতগুলো কীভাবে তার জীবনে কাজে লাগবে, কীভাবে তা একবিংশ শতাব্দির সমস্যার সমাধান এনে দেবে। কুর’আনের কথা পাঠকদের এই দুই সমস্যারই সমাধান দেবে — ইন শাআ আল্লাহ।
ডাউনলোড লিংক – কুরআনের কথার সকল আর্টিকেলের অসাধারণ আলোচনাসমূহের পিডিএফ – http://tinyurl.com/obykdmm
মূল সাইট – http://quranerkotha.com/
আল্লাহ কুর’আনকে উপলব্ধি ও হেদায়েতের জন্য সহজ করে দিয়েছেন যা আল্লাহর ওয়াদা। এতে বুদ্ধিবৃত্তিক গভীর আলোচনা রয়েছে যা স্কলার ও গভীরতাসম্পন্ন লোকদের জন্য। কিন্তু কুরআন যেহেতে প্রাথমিকভাবে হেদায়েত বা সৎ পথপ্রাপ্তির কিতাব; যা সব ধরণের লোকদের জন্য প্রযোজ্য, তাই এই গভীরতার মাঝেও সব ধরণের লোকদের জন্য হেদায়েত পাওয়ার বাণীকে সহজ করেই উপস্থাপন করার দাবি রাখে এবং হয়েছেও তা-ই।
উস্তাদ নুমান আলী খানের অনুপ্রেরণায় লেখক “কুরআনের কথা”র কাজ শুরু করেন। উস্তাদের বক্তব্যের কিছু বৈশিষ্টের কারণেই সব ধরণের দর্শককে আকৃষ্ট করতে সমর্থ হন।
তিনি প্রায় ২৬টিরও বেশি তাফসীর থেকে আমাদের জীবনের সমস্ত দিকের সাথে কুরআনের প্রাসঙ্গিকতা, দর্শন, চিন্তা ও জীবন পরিচালনার বিশুদ্ধ পথকে তুলে ধরেন কুরাআনের গভীরতর ও ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি অথচ সমকালীন বাস্তবতার সাথে পূর্ণ সঙ্গতি রেখে। যুক্তি, বিজ্ঞান, দর্শন, মনস্তত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব, ভাষালংকার, নৈতিকতা, অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি, ধর্ম, তুলনামূলক আলোচনা, সব ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে জীবনকে সম্পর্কযুক্ত করে দেখান কুরআনের আয়নায় এক বিশুদ্ধ পথ। এতে যেমন কোনো ব্যক্তিই কুর’আনের বর্ণনার বাহিরে যেতে পারে না, আবার ব্যক্তি দেশ ও ব্যক্তি নির্বিশেষে কুরআনের চিরন্তন হেদায়েতের স্পষ্টতাও লক্ষ্য করা যায় যা আল্লাহর বার্তার এক অভেদ্য মু’জিযা, বিশ্বজনীন হেদায়েতের চিরন্তন পথ।
কুরআনের কথার লেখক নিজে কোনো তাফসীর করেন না, বরং ইসলাম বিশেষজ্ঞ স্কলার বা আলেমরা যেসব তাফসীর করেছেন(মূল ওয়েবসাইটের “রেফারেন্স” সেকশন দ্রষ্টব্য), সেগুলোকেই বাঙ্গালি মনন, চিন্তা, দর্শন ও জীবনের সাথে কুরআনের প্রতিটি আয়াতের প্রাসঙ্গিকতাকে তুলে ধরেন। এতে কুরআনের চিরন্তন হেদায়েতের বাণীর মহিমাকে আরও যৌক্তিক ও প্রাসঙ্গিক করে তুলে; চিরন্তন মুক্তি বার্তার বৈশ্বিকতা তুলে ধরে। এবং এটি এতদিন না হওয়ার কারণেও কুরআনকে নিরস মনে হতো। কারণ কুরআনের ভাষা আরবীতে নাযিলের প্রাথমিক কারণ ছিল যেহেতু এটি তখন সরাসরি আরবের লোকদের লক্ষ্য করে নাযিল হচ্ছিল আর এটি যেহেতু বৈশ্বিক দ্বীন হবে আর এজন্য আল্লাহ এই ভাষার মধ্য দিয়েও চিরন্তন মূলনীতি দিয়ে দিয়েছেন কুরআনে যে প্রত্যকে বার্তাবাহককে তার নিজ ভাষায় প্রেরণ করা হয়েছিল। আর আজকের যুগে যারা হাদীস অনুযায়ী “নবীদের ওয়ারিশ”, তারা তো আল্লাহর সেই মূলনীতির আলোকেই আমাদের বাংলাভাষায় বাঙ্গালি মানসিকতা, জীবনপ্রবাহ, চিন্তা-দর্শন এবং এসবের মিশ্রণের গভীরে কুরআনের বাণীকে হেদায়েতের সুপ্রশস্থ করে তুলতে হবে।
কোরআনের উপর সর্ব প্রথম বাংলাভাষায় এরকম চাতুর্মুখিক বুদ্ধিমত্ত্বাসহ, কুরআনের বর্ণনার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে, বাঙ্গালি মানসিকতাকে স্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন কুরআনের বর্ণনার মধ্য দিয়ে। এটি পড়তে গিয়ে কেউ আর মনে করবে না যে কুরআন তার ওপর নাযিল হয়নি, বরং উল্টো বলতে থাকবে কুরআনের সবকিছুই তো তাকে লক্ষ্য করেই নাযিল হয়েছে, আল্লাহ তাকে হেদায়াতের চূড়ান্ত পথে এত সুন্দরভাবে ডাকছে!!
কুরআন উপলব্ধিঃ কিছু মূল্যবান সম্পদ
১। কুরআন অধ্যয়ন সহায়িকা – খুররম জাহ মুরাদ
এই বইটি আমরা অনুরোধ করবো হার্ড কপি কিনে পড়ার জন্য। কাঁটাবনে পাওয়া যায়।
২। আমার কু’রআন পড়তে ভালো লাগে না
৩। বাংলা তাফসীর – শায়খ আবদুল কাইউম
https://archive.org/details/QuranBanglaTafsir
মূল সাইট – http://minarmedia.co.uk/
৩। Theme of Al-Quran By Dr. Tareq Al-Suwaidan
৪। Quranic Thoughts By Dr. Amr Khaled(আরবীতে লেকচার, ইংলিশ সাবটাইটেল, ইংরেজিতে পিডিএফ)। প্রতিটি সূরার উদ্দেশ্য, আপনার কাছে কি চায়, সূরার মূল বিষয়বসস্তু কি, এগুলোকে সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরেছেন।
PDF – http://tinyurl.com/ojhsd75
৫। Juzz Amma tafsir/ explanation by Ustadh Nouman Ali Khan
http://www.nakcollection.com/download-tafsir.html
৬। The Impact of The Quran on Our Lives – Nouman Ali Khan
https://www.youtube.com/watch?v=-KUnZ7AZA8Q
৭। Extracting Guidance from The Quran – Nouman Ali Khan
https://www.youtube.com/watch?v=Cab2OTnO8iE