ইনশাআল্লাহ, আজ আমি আপনাদের সাথে যা শেয়ার করতে চাই তা হল – কুরআন শরীফের প্রায় ১১ টি আয়াত নিয়ে কিছু ভাবনা এবং শিক্ষা। যদি আল্লাহ আমাদের সময়কে ফলদায়ক হওয়ার অনুমতি দেন, আমি ১১টি আয়াত নিয়ে আলোচনা করার আশা করছি। আপনাদের মাঝে যারা নোট করছেন – যা স্পষ্টতই শুধু বোনরা করে থাকেন- তাদের অবগতির জন্য বলছি সূরা বাকারার আয়াত নাম্বার ১৫৩ থেকে ১৬৩ পর্যন্ত। আপনারা জানেন সূরা বাকারা হলো কুরআন মাজিদের দীর্ঘতম সূরা। এই সূরার প্রথম দিকের একটা বড় অংশে আমাদের পূর্বে যে জাতিকে কিতাব দেয়া হয়েছিল তাদের কথা আলোচনা করা হয়েছে। আর তারা হল বনী ইসরাইল। তাদেরকে তাওরাত দেয়া হয়েছিল। তাদের নিকট অসংখ্য নবী প্রেরণ করা হয়েছিল। যারা বার বার তাওরাতের শিক্ষাকে পুনর্জীবিত করেছিলেন। আর এই প্রক্রিয়াটা বহু শতাব্দী ধরে অব্যাহত ছিল।
আল্লাহ তাদেরকে এই কিতাব অনুযায়ী জীবন পরিচালনার এবং মানব জাতির রোল মডেল হওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন। অন্য সব জাতি শুধু এক ব্যক্তি থেকে ইসলামের শিক্ষা নিবে তা নয় – যেমন আপনি হয়তো কোন এক ব্যক্তির নিকট ব্যক্তিগতভাবে ইসলামের দাওয়াত দেন সেরকম নয় – বরং এ ক্ষেত্রে আপনি পুরো একটি জাতির নিকট থেকে ইসলামের শিক্ষা গ্রহণ করেন, যারা ধর্মের অনুসরণ করে থাকে। আর সেই জাতিটি হওয়ার কথা ছিল বনী ইসরাইলের। আর এজন্যই আল্লাহ তাদের নিকট এক নবীর পর আরেক নবী পাঠাতে থাকেন। যেন তারা মানব জাতিকে দেখাতে পারে যে আল্লাহর আইন অনুযায়ী বসবাস করার অর্থ কী। তাই আল্লাহ বলেছেন – ” আমি তোমাদেরকে অন্য সব জাতির উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি।” কিন্তু ইতিহাসের দুঃখজনক বাস্তবতা হল – আল্লাহ তাদেরকে এতোসব সুযোগ প্রদান করা সত্ত্বেও তারা বহু উপায়ে আল্লাহকে হতাশ করলো। তারা কেন আল্লাহকে হতাশ করলো তার বিশাল একটা তালিকা রয়েছে। আপনাকে যদি কোন দায়িত্ব অর্পণ করা হয়, আর আপনি বার বার তা পালনে ব্যর্থতা প্রকাশ করেন, তাহলে আপনাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে। আপনি আপনার চাকরি হারাবেন। আর তাই সূরা বাকারার প্রথমদিকের অংশে আল্লাহ বনী ইসরাইলকে এই দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করলেন।
আমি তোমাদের নিকট থেকে এই দায়িত্ব কেঁড়ে নিচ্ছি। এখন আমি আমার নবী তোমাদের মাঝে পাঠানোর পরিবর্তে আরবদের মাঝে পাঠাবো। তিনি হবেন ইসমাইলের সন্তানদের মধ্য থেকে। আর তিনি হলেন আমাদের রাসূল, সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মাদ (স)। যখন তিনি সর্বশেষ রাসূলকে পাঠালেন – এখান থেকে কয়েকটা বিষয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। আজকে আমি ঐ বিষয়ে কথা বলবো না। কিন্তু আমি আজকের আলোচনার প্রথম অংশ ১৫৩ নাম্বার আয়াতের উপর আলোকপাত করবো। আল্লাহ এখন মুসলিম জাতিকে লক্ষ্য করে কথা বলছেন। তিনি আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে কথা বলছেন, যাদেরকে নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখন আমরা আল্লাহর পছন্দকৃত জাতি। যে দায়িত্ব পূর্বে বনী ইসরাইলকে দেয়া হয়েছিল তা এখন আমাদেরকে দেয়া হয়েছে। এই দায়িত্ব বনী ইসরাইলকে দেয়া হয়েছিল কিন্তু তারা নিদারুণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এখন আমাদের পালা। এখানে এটাই তুলে ধরা হচ্ছে।
তো, আল্লাহ বলছেন- হে ঈমানদারগণ! তোমরা সাহায্য প্রার্থনা কর। সাহায্য চাও দুটি জিনিসের মাধ্যমে- আমি সহজ করে বলছি- সাহায্য প্রার্থনা কর নামাজের মাধ্যমে এবং সাহায্য প্রার্থনা কর ধৈর্যের মাধ্যমে। এর মানে কী তা উপলব্ধি করা একটু কঠিন। কিন্তু তার আগে আমি বলতে চাই- সূরা বাকারায় এই প্রথম আল্লাহ এ বিষয়ে কথা বলছেন না। তিনি আসলে বনী ইসরাইলদেরকেও এই একই কথা বলেছিলেন। তিনি শুরুর দিকে বনী ইসরাইলকে উদ্দেশ্য করে প্রাথমিক একটি ভাষণ দিয়েছেন। সেই ভাষণ শেষ হওয়ার পর তিনি বলেন- وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى الْخَاشِعِينَ – তোমরা (বনী ইসরাইলেরা) ধৈর্য এবং নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর…… ।
আবার বলছি, আমি এখনও ব্যাখ্যা করিনি এর মানে কী। কিন্তু এটা লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে এটা একটা পুনরাবৃত্তি। কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ? কারণ তাদেরকেও ঠিক একই দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, যখন আল্লাহ তাদেরকে উদ্দেশ্য করে কথা বলেছেন। আর এখন আল্লাহ আমাদেরকেও ঠিক একই আদেশ দিলেন। এর ফলে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে উঠে যে, একসময় তাদের উপর যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল এখন আমাদের উপর সেই একই দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। এখন আমাদের সাহায্য প্রার্থনা করার পালা। কখন আপনার সাহায্যের দরকার হয়? যখন আপনার উপর বিশাল দায়িত্ব অর্পিত হয়। যখন আপনার সম্মুখে বিশাল দায়িত্বের বোঝা পড়ে আছে তখন আপনার সাহায্যের দরকার হয়। আর এই সমস্যা সংকুল পরিস্থিতিতে তোমরা শুধু দুটি জিনিসের মাধ্যমে সাহায্য পাবে, তা হল ধৈর্য এবং নামাজ।
চলুন, আল্লাহ এই দুটি বিষয় দ্বারা কী বুঝাতে চেয়েছেন তা একটু গভীর দৃষ্টিকোণ থেকে জানার চেষ্টা করি। যখন মদিনায় মুসলমানদের উপর এই আয়াত অবতীর্ণ হয় তখন তারা খুব বেশি শিক্ষিত ছিলেন না। প্রকৃতপক্ষে, ইহুদীরা মুসলমানদের তুলনায় অনেক বেশি শিক্ষিত ছিল। সে সময় মুসলমানরা সংখ্যাগুরু ছিলেন না বরং অমুসলিমরা ছিল সংখ্যাগুরু। রাসূল (সঃ) মক্কায় যেমন সংখ্যালঘু হিসেবে বসবাস করেন মদিনায়ও তেমনি সংখ্যালঘু ছিলেন। যদিও মুসলমানরা এখন প্রভাবশালী কিন্তু এখনো তারা সংখ্যালঘু। অধিকাংশ মানুষ ছিল অমুসলিম এবং কখনো কখনো ইসলামের সমালোচক। কেউ ইসলাম গ্রহণ করলে তাকে পরিবারের অমুসলিম সদস্যদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হতে হত। তাদের বিশ্বাস অনবরত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হত, প্রশ্নের সম্মুখীন হত। আল্লাহ বলেন- ঠিক এরকম এক পরিস্থিতিতে সর্ব প্রথম যে জিনিসের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য চাইবে তা হল সবর। সমালোচনা সত্ত্বেও তোমাকে তোমার বিশ্বাস ধরে রাখতে হবে। এই বিষয়টা মনোযোগ দিয়ে শুনুন, মদিনার মুসলিম সম্প্রদায়ের সামনে দুটি চ্যালেঞ্জ ছিল। দুইটা বিষয় যা তাদের বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছিল। একনাম্বারঃ মানুষ মুসলমানদের কঠিন কঠিন প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছিল। ইহুদী ধর্মগুরু, যাজক, অন্য ধর্মের মানুষরা প্রশ্ন করছিল – “তোমাদের বই কেন এ কথা বলছে?” “কেন তোমরা এটা বিশ্বাস কর?” “কেন তোমরা ঐদিকে ফিরে নামাজ পড়ছো?” মদিনায় এ রকম একটি পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। তাহলে প্রথমত তারা কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছিল। আপনারা কি তৎকালীন মদিনার পরিস্থিতির সাথে আমাদের সময়ের পরিস্থিতির মিল খুঁজে পাচ্ছেন? এটাই ছিল প্রথম চ্যালেঞ্জ।
দ্বিতীয়তঃ তারা শুধু কঠিন প্রশ্নেরই সম্মুখীন হচ্ছিল না, বরং জনসংখ্যার একটা অংশ মুসলমানদের খুবই ঘৃণা করতো। মুসলমানদের দ্বীন সম্পর্কে তাদের প্রশ্ন থাকুক আর নাই থাকুক, আপনি তাদের জবাব দেন বা নাই দেন – এটা কোন ব্যাপার ছিল না- তারা আপনাকে ঘৃণা করেই যায় এবং তারা চায় আপনি যেন দুনিয়া থেকে সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষ হয়ে যান। তারা আপনাকে একেবারেই ঘৃণা করে। তাদের সবচেয়ে প্রিয় হল মুসলমানদের রক্ত ঝরানো। তারা রক্তপিপাসু, আপনার বিরুদ্ধে অবিরত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, এবং কোন না কোন উপায়ে আপনার পিছে লাগবেই। কেউ কেউ এই বিরোধিতা প্রকাশ্যেই করছিল যেমন মক্কার কুরাইশরা, আবার কেউ কেউ করছিল গোপনে যেমন মদিনার কিছু বিশ্বাসঘাতক ইহুদী গোত্র। তাহলে দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ ছিল – ইসলামের শত্রুরা মুসলমানদের আঘাত করার চেষ্টায় নিয়োজিত।
প্রথম আঘাতের ফলে মুসলমানরা হয়তো দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যেত। কারণ আপনাকে যখন কঠিন প্রশ্ন করা হয় আপনি দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান। পক্ষান্তরে, আপনাকে যদি আঘাত করা হয় বা একঘরে করে রাখা হয় অথবা আপনি যদি সবসময় একটি রাজনৈতিক চাপে থাকেন তাহলে সেখানে একটি ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তাহলে দুটি জিনিস মুসলমানদের বিশ্বাসকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল প্রথমতঃ দ্বিধাদ্বন্দ্ব, দ্বিতীয়তঃ ভয়। আর এ দুটি জিনিস আজও বিরাজমান। বর্তমানে আমাদের তরুণদের মাঝে, আমাদের হাই স্কুল এবং কলেজ ছাত্রদের মাঝে কী ঘটছে? তাদেরকে তাদের বিশ্বাস সম্পর্কে খুবই কঠিন প্রশ্ন করা হচ্ছে। কেবল তরুণরা নয়, বড়রাও অফিস আদালতে এ ধরণের কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। যার উত্তর তারা হয়তো জানেন না, ফলে তারা হতচকিত হয়ে উঠেন। তার উপর আছে ট্রাম্পিস্তান; আর মানুষ এখন এতো উদ্বিগ্ন যে তাদের আবেদনের ধাক্কায় কানাডার ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট পর্যন্ত ক্রাশ করেছে। সম্ভবত আবেদনকারীদের মাঝে অনেক মুসলিমও রয়েছেন। তো, আমাদের উপর এখন অনেক চাপ। এই রকম পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে মুসলিম হওয়া এখন অন্য যে কোন কিছু হওয়ার চেয়ে অনেক কঠিন। মুসলিম সমাজ অনেক চাপে আছেন। কিন্তু, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এখানে এমন এক পরিস্থিতির বর্ণনা করছেন যা আজকের দিনের পরিস্থিতির চেয়ে বহু গুণে ভয়াবহ ছিল।
আর তিনি আমাদের বলছেন তোমাদের ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য চাইতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে, ‘সবর’ শব্দের অর্থ শুধু ধৈর্য নয়; এর অর্থ – অটল থাকো, পিছু হটো না, সন্দেহে পতিত হয়ো না, তোমার বিশ্বাসে অটুট থাকো, ভীত হয়ো না, কঠোরতার মোকাবেলা কর। আবার ‘সবর’ মানে এটাও নয় যে, আপনি আতঙ্কিত হবেন না। ‘সবর’ মানে আপনি আতঙ্কিত হবেন, আর তাইতো আপনি আল্লাহর কাছে সাহায্য চাচ্ছেন যেন আপনি ভয়কে মোকাবেলা করতে পারেন। ভয় একটি মানবীয় আবেগ। আল্লাহ এটা আমাদের ভেতরে দিয়েছেন, আমরা কখনই এটা থেকে মুক্ত হতে পারবো না। এটা সবসময় থাকবে। আপনি একজন ভাল বিশ্বাসী এর মানে এটা নয় যে আপনি আর ভয় পান না; এর মানে হল- এ অবস্থায় আল্লাহ আপনাকে ‘সবর’ দান করবেন, আপনি এই সবরের মাধ্যমে সাহায্য চাইবেন, তারপর আল্লাহ কী করবেন? আল্লাহ আপনাকে এমন মানসিক শক্তি দান করবেন যার মাধ্যমে আপনি ভয়কে মোকাবেলা করতে পারবেন। ফলে আপনি ভয় এবং উদ্বেগ সত্ত্বেও সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন। ‘সবর’ বলতে আরও কিছু বুঝায়। সবর বলতে বুঝায় আপনি বিভ্রান্ত হন না। অধ্যবসায় বা আরবিতে দাওয়াম ইঙ্গিত করে যে আপনি বিভ্রান্ত হন না। আপনার একটি লক্ষ্য আছে, উদ্দেশ্য আছে, আপনাকে আপনার সেই লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। যাত্রাপথে বিভিন্ন জিনিস আপনাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে, বিভ্রান্ত হবেন না; আপনার লক্ষ্য পানে অটুট থাকুন।
উদাহরণ স্বরূপ- আমি আপনাদের একটি তুলনা দিচ্ছি। একজন যুবক কলেজ বা ভার্সিটিতে যায় আর তার লক্ষ্য হল গ্র্যাজুয়েট হওয়া। কিন্তু প্রথম সেমিস্টার শেষ না হতেই সে বিভিন্ন জিনিস দ্বারা বিভ্রান্ত হতে শুরু করে। যেমন বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিকতা, আড্ডা, ক্লাস ফাঁকি দেয়ার আকাঙ্ক্ষা, সাবজেক্ট পরিবর্তন করার ইচ্ছা কারণ সাবজেক্টটা খুব কঠিন মনে হয় বা আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড এই সাবজেক্টে পড়ে না, সেই মেয়েটি এই সাবজেক্টে পড়ে না বা যাই হোক এ রকম কোন কারণে- আপনি ভার্সিটি শুরু করেন একভাবে তারপর আপনি রাস্তা পরিবর্তন করে অন্যদিকে চলা শুরু করেন। আপনি আপনার লক্ষ্য হারিয়ে ফেলেন। আল্লাহ বলেন লক্ষ্য পানে অটুট থাকলেই কেবল তুমি সাহায্য পেতে পার।
এসব জিনিসে মাথা ঘামাবেন না। রাজনীতিবিদরা আসবে যাবে, কঠিন পরিস্থিতি আসবে যাবে কিন্তু এই দ্বীন এবং আপনার মিশন একই থাকবে। কঠিন পরিস্থিতি আসার আগে যেমন আমরা আল্লাহর নিকট অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলাম, কঠিন পরিস্থিতি আসার পরেও অঙ্গীকারাবদ্ধ। মানুষ হিসেবে আমাদের লক্ষ্য এবং আমাদের উদ্দেশ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। আমাদের ধর্মের কোন পরিবর্তন হয়নি। আমাদের মূল্যবোধের কোন পরিবর্তন হয়নি। ভাল এবং মন্দের কোন পরিবর্তন হয়নি। আমরা এখনো মুসলিমই আছি আমাদের চারপাশের পৃথিবীর অবস্থা যাই হোক না কেন, পরিবেশ পরিস্থিতি যাই হোক না কেন। এটাকেই বলা হয় ‘সবর’। এখানেই ইসলামের সৌন্দর্য।