Articles, other scholars |
আল্লাহর প্রতি কাউকে নিরাশ করে দেয়া বা জান্নাতের আশা নষ্ট করে দেয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু একই সময়ে আমরা মানুষকে মিথ্যাও বলতে পারি না। আমাদের কথা শুনে তারা যেন মনে না করে যে, সবকিছু সহজ-সুন্দর, আর পথটা ফুল-বিছানো। কিন্তু বাস্তবতা হলো পথটা বিপদসংকুল। একজন মুসলিম হিসেবে এটা আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব, আমাদের বুঝতে হবে যে, আমাদের বিশ্বাসের একটি স্তম্ভ তথা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো – আল্লাহর ভয়, আল্লাহর শাস্তির ভয়। আপনি যদি কিয়ামতের দিন এমন একটি অন্তর নিয়ে আল্লাহর সামনে দন্ডায়মান হোন, যে অন্তর শুধু আশা এবং ভালোবাসার কথা জানে, মনে রাখুন, আপনার অন্তর কলুষিত। দূর্ভাগ্যবসত, আজ আমরা এমন এক কলুষিত সমাজে বসবাস করছি যেখানে কিছু মানুষ এসে বলে – হে শায়েখ, আমরা আল্লাহকে ভয় করতে চাই না, আমরা তাঁর ভয়ে ভীত থাকতে চাই না, দোজখের ভয়ে আতঙ্কিত হতে চাই না। আমি আপনার মতো নই, আমি আল্লাহর ইবাদাত করি ভালোবাসার কারণে। দূর্ভাগ্যবসত, কখনো কখনো এই ভাষা খুবই আকর্ষণীয় মনে হয়। তারা বলে – ”আমি অমুক অমুক আলেমকে পছন্দ করি, তিনি শুধু জান্নাতের কথা বলেন, আর আমার এটা খুবই ভালো লাগে। প্রিয় ভাইয়েরা, আমাদের বুঝতে হবে যে, সঠিক ঈমানের একটি শর্ত হলো – আল্লাহর ভয়। আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালা কুরআনে বলেছেন – وَإِيَّايَ فَارْهَبُونِ – “আর ভয় কর আমাকেই।” এটি একটি সরাসরি এবং সুস্পষ্ট আদেশ। হ্যাঁ, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা, এই মহাবিশ্বের মালিক চান যে, আমরা যেন তাঁকে ভয় করি, আমাদের অন্তরে যেন তাঁর ভয় থাকে। শুধু আশা এবং ভালোবাসা নয়, বরং আশা এবং ভালোবাসার আগে ভয় থাকতে হবে। এ জন্যই আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালা ঈমানদারদের গুণাবলী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন – يَدْعُونَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَطَمَعًا – (৩২: ১৬) তারা তাদের পালনকর্তাকে ডাকে ভয়ে ও আশায়। প্রথমে ভয়ের কথা...
Articles, other scholars |
প্রশ্ন হলো যখন আপনি মৃত্যুর ফেরেশতার সাক্ষাৎ লাভ করবেন….আপনি যদি এই মুহূর্তে মৃত্যুর ফেরেশতার সাক্ষাৎ লাভ করেন, আপনি কী করতে পারেন নি বলে সবচেয়ে বেশি আফসুস করবেন? এবং ঐটার কি আসলে ততটুকু মূল্য আছে? আপনি এখন যা করছেন, যেভাবে আপনার জীবন অতিবাহিত করছেন, যা কিছু অতীতে করেছেন আর যা করতে ব্যর্থ হয়েছেন সেগুলোর কি আসলে ততোটুকু মূল্য আছে? যত বেশি মূল্য আপনি তাতে দিয়েছেন? আল্লাহর সামনে আপনি কেমন রেজিউমি নিয়ে দাঁড়াবেন? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের বলেছেন – মানুষ যখন কোন মৃত ব্যক্তির কবরের পাশে দাঁড়িয়ে সে লোক সম্পর্কে ভালো ভালো কথা বলে, তখন ফেরেশতারা তাকে ধাক্কা দিয়ে জিজ্ঞেস করে – “আহাকাজা কুন্তা” তুমি কি সেরকম ছিলে? তারা যেমন তোমাকে বর্ণনা করছে? “আহাকাজা কুন্তা” তুমি কি সেরকম ছিলে? তারা যেমন তোমাকে বর্ণনা করছে? সুবহানাল্লাহ! একটু চিন্তা করে দেখুন। আপনি তো নিজেকে ভালো করেই চেনেন। আপনি কী নিয়ে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হচ্ছেন, আপনার মনের সত্যিকারের অবস্থা কী তাতো আপনি ভালো করেই জানেন। আপনার কাজগুলোর সত্যিকারের ব্যাখ্যা আর কেউ না জানলেও আপনি তো ভালো করেই জানেন। তা কি যথেষ্ট মূল্যবান ছিল? যে কাজে সময় ব্যয় করেছেন তা কি আপনার সময় পাওয়ার যোগ্য ছিল? যখন আপনি ঘুমাতে যান তখন কি প্রশান্ত মন নিয়ে ঘুমাতে যান? জানেন তো? প্রতি রাতে আপনার আত্মা আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করে। এটা হয়তো ফেরত নাও আসতে পারে। সারা দুনিয়াতে কত মানুষ ঘুমের মাঝে মৃত্যু বরণ করে। প্রতিটি রাত এক একটি ছোট মৃত্যু। এটা আসলেই এক ধরণের মৃত্যু। আজ রাতে আপনি মারা যাবেন, আমি মারা যাবো। আমরা কি সকালে জেগে উঠবো? আল্লাহ ভালো জানেন। আজ যা করছেন এবং যা করেন নি সেজন্য কি মানসিক তৃপ্তি নিয়ে ঘুমাতে যান? কারণ জীবনের এই সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতাটি আপনার এবং আল্লাহ সুব হানাহু...