Videos |
...
Tafsir |
...
Articles |
আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলে কত শত পথ আপনার জন্য খুলে যাবে! আসমানের দরজা আপনার জন্য এমনভাবে খুলে যাবে যে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। হেদায়েতের পথ খুলে যাবে, আপনি সবকিছু আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। আপনার ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো দূর হতে শুরু করবে। উদাহরণস্বরূপ, রাগের কথা ধরা যাক। রাগ হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া আসলেই অনেক কঠিন। বহু মানুষ খুবই সমস্যাপূর্ণ জীবন যাপন করে, কারণ তারা অল্পতেই রেগে যান। এর থেকে বের হতে পারে না। কিছু একটা তাদের সামান্যতেই ক্রোধান্বিত করে তোলে, আর তারা এর সাথে লড়াই করতে পারে না। তারা তাদের এই সমস্যাটা বুঝতে পারেন, কিন্তু নিজের কাছে অসহায় হয়ে পড়েন এবং মনে মনে ভাবেন যে, “না, আমার পক্ষে এই রাগ হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। আর মনে হয় আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন না, কারণ আমি এরকম রাগান্বিত একজন মানুষ। আমি ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য নয়। “ হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় সাহাবীরা খুবই রাগান্বিত হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের রাগ দূর করা সম্পর্কে আল্লাহ কী বলেছেন? তিনি বলেছেন – أَنزَلَ السَّكِينَةَ فِي قُلُوبِ الْمُؤْمِنِينَ – “তিনি আকাশ থেকে বিশ্বাসীদের অন্তরে প্রশান্তি নাযিল করেন।” প্রশান্তি আমাদের নিজেদের কাছ থেকে আসে না। আমরা নিজেদের প্রশান্ত করতে পারি না। মূসা (আ) এর মা ভয়ে এবং টেনশনে প্রায় মারা যাচ্ছিলেন, যখন তিনি তার ছোট্ট শিশুকে একটি বাক্সে বন্দি করে পানিতে ভাসিয়ে দেন। আর আল্লাহ বলেন – لَوْلَا أَن رَّبَطْنَا عَلَىٰ قَلْبِهَا – “যদি আমি তাঁর হৃদয়কে দৃঢ় করে না দিতাম,” আল্লাহ তার অন্তরকে দৃঢ় করেছিলেন। মূসা (আ) এর মায়ের পক্ষে স্বীয় অন্তরকে দৃঢ় করা সম্ভব হতো না। তিনি এতো বেশি ভেঙে পড়েছিলেন, এবং আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে তাঁর নিজের পক্ষে নিজেকে শান্ত করা সম্ভব হতো না। ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ বলে একটা ব্যাপার আছে,...
Articles |
কুরআন তিলাওয়াত শুরু করার পূর্বে সহ বিভিন্ন সময় আমরা বলে থাকি ”আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম।” এখানে اعوذ শব্দের যে অর্থ আমরা সাধারণত করে থাকি তা হলো – “আমি আশ্রয় চাই।” কিন্তু اعوذ শব্দটি ”উওআজ” শব্দ থেকে আগত। আর ”উওআজ” শব্দের অর্থ বোঝার জন্য আগে কয়েকটি উদহারণ দেখি। যেমন — এমন পাথর যা শেওলা দিয়ে ঢাকা থাকে, আর শেওলাগুলো সহজে উঠে আসে না। — অথবা এমন গাছ যা অন্য আরেকটি গাছের বাকলে জন্মে, আপনি জোরে টান দিয়েও উঠাতে পারেন না। — অথবা এমন হাড় যার সাথে কিছু গোশত আটকে থাকে, সহজে ছাড়ানো যায় না। এই রকম আটকে থাকাকে বলা হয় ”উওআজ।” এখান থেকেই আশ্রয় চাওয়ার ধারণাটি আসে। এখন প্রশ্ন হলো – এই দুইটার মাঝে কানেকশনটা কী? যখন আপনি আশ্রয় বা রক্ষা পাওয়ার জন্য কোনো কিছুকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে থাকেন, এবং জানেন যে ছেড়ে দিলেই মারা যাবেন, এই রকম জীবন বাঁচানোর জন্য শক্ত করে আঁকড়ে ধরে থাকাকে বলা হয় ”ইস্তিয়াজা।” যখন আমি বলি – ”আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম” – তখন আমি আসলে বলছি যে, আমি আমার জীবন বাঁচানোর জন্য আল্লাহকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে থাকবো যেভাবে শেওলা পাথরকে শক্ত করে ধরে রাখে, অথবা ছত্রাকের মত যা গাছের বাকলের সাথে শক্ত করে আটকে থাকে, অথবা ঐ গোশতের মতো যা হাড়ের সাথে আটকে থাকে। আমি শয়তানের কবল থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর বিধানকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে থাকবো। অনেক সময় আমরা সরাসরি আল্লাহর বিধানকে অমান্য করে চলি, তারপর কোনো সমস্যায় পড়লে বলে উঠি – ”আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম।” হ্যাঁ, হ্যাঁ আমি আল্লাহর দ্বীনকে শক্ত করে ধারণ করে আছি। ইয়া আল্লাহ! আমাকে রক্ষা করুন। তারপর বিপদ চলে গেলে আবার আল্লাহর বিধানকে ছেড়ে দেই। আপনি কীভাবে আল্লাহর বিধানকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে আছেন তা দেখানোর...
Articles |
কুরআনে আল্লাহ তাআলা অসংযতভাবে ব্যয়কারীদের কথা উল্লেখ করেছেন এবং এর জন্য দুটি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।একটি হল ‘ইসরাফ।ইসরাফ মানে হল প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খরচ করা।আপনি যদি শপিং এ যান কারণ আপনার একটি শার্টের প্রয়োজন আর আপনি একটি শার্টের পরিবর্তে ২০ টি শার্ট কিনলেন কেবলমাত্র আপনার সামর্থ্য আছে বলে।এ কাজটি এক ধরনের ইসরাফ। অবশ্যই শার্ট আপনার কাজে লাগবে আপনি সেগুলো পরতে পারবেন ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত কিছু করে ফেলেন সেটাই হল ইসরাফ।কুরআনে ইসরাফ ব্যাপারটিকে নিচু চোখে দেখা হয়েছে। কিন্তু আরেক ধরনের খরচের বাতিক আছে। মানুষের মাঝে যা এর থেকেও অনেক খারাপ।যেটাকে আল্লাহ বলেছেন ‘তাবযীর। তাবযীর মানে হল আপনি এমন জিনিসে খরচ করছেন যা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় এটা কোন মৌলিক চাহিদা নয়।আপনি জিনিসটি একেবারেই অর্থহীন কারণে কিনছেন।কোন উল্লেখযোগ্য চাহিদাও পূরণ হচ্ছে না আপনি যা কিনেছেন এই তাবযীর দ্বারা।তাবযীর শব্দটির মানে আপনি বলতে পারেন অতিরিক্ত ব্যয় করা কিংবা অপব্যয় করা, ফালতু জিনিসে খরচ করা। কিন্তু আল্লাহ যেভাবে তাবযীর শব্দটি বর্নণা করেছেন তা হল…”ইন্নাল মুবাযযিরীনা কানু ইখওয়ানাশ শায়াতীন” যারা অপ্রয়োজনীয় খরচ করে তারা শয়তানের ভাই।এই ঘোষণাটি খুব নিষ্ঠুর মনে হতে পারে। আমি শুধু খরচ করছি বলে ধরুন খরচ করছি ভিডিও গেমস এর উপর কিংবা Las Vegas এ একটি ট্রিপে যেতে অনেক টাকা খরচ করছি ইত্যাদি ইত্যাদি।এগুলোর জন্যে আমাকে শয়তানের ভাই হিসেবে কেন আখ্যা দেওয়া হল!আল্লাহ বলেননি এটা হারাম কিংবা এটা করো না কিংবা এ থেকে দূরে থাক।সরাসরি আমাকে শয়তানের অনুগত হিসেবে বিবেচিত করলেন!আল্লাহ এমনটা কেন বললেন! এর পিছনে অনেক কারণ আছে।চলুন ধীরে ধীরে আয়াতগুলো বুঝার চেষ্টা করি। প্রথমেই আল্লাহ বলছেন “রব্বুকুম আ’লামু বিমা ফী নুফূসিকুম ইন তা কুনু সলিহীন”। “তোমাদের রব জানেন তোমাদের অন্তরের গভীরে কী আছে যদি তোমরা প্রকৃত নেককার হয়ে থাক” ।”ফা ইন্নাহু কানা লিল আওওয়া বি...