সে মনে করেছিল এই সব কিছু তাকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দিবে। কারো জন্য সেটা হয় পরবর্তী কোন মুভি, কোন খেলনা, নেক্সট স্মার্ট ফোন। যেমন- কোন স্টার ওয়ার মুভি বের হলে টিকেটের লাইন হজ্জের ভিসার লাইনের চেয়েও লম্বা হয়। কারণ তাকে এখনি এটা দেখতে হবে। যদি এখন না দেখা হয়, জীবন তো তাহলে পুরাই ব্যর্থ। যদি মুক্তি পাওয়ার রাতে দেখা না হয়, জীবনের তো তাহলে কোন মূল্য থাকে না। তাই এখনি দেখতে হবে। প্রসঙ্গতঃ সে ভেবেছিল এই মুভি দেখলে তা তাকে এক ধরণের মানসিক পরিপূর্ণতা দিবে, যা সে কোথাও পায়নি। সিনেমা হল থেকে বের হয়ে চোখ বড় বড় করে বলবে, “It was pretty awesome”!! পরক্ষনেই আবার বিষণ্ণ হয়ে যাবে। নিজেকে প্রশ্ন করবে, “এখন কি করবো? আবার দেখবো মুভিটা?!” প্রথম বারের মতো অতটা ভালো না লাগলেও মোটামুটি ভালো লাগলো। এভাবে সে নিজের ভেতরের শূন্যতা পুরণ করার জন্য নিত্য নতুন জিনিস খুঁজতে থাকে। কারণ যে জিনিসটা তাদের প্রকৃত শান্তি দেয়ার কথা – আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্বেষণ – সেটা তো আর তার জীবনের লক্ষ্য নয়। সে ইচ্ছাটাও আর অবশিষ্ট নেই। ‘وَغَرَّتْكُمُ الْأَمَانِيُّ حَتَّىٰ جَاءَ أَمْرُ اللَّهِ‘ অর্থাৎ “অলীক আশার (দুনিয়ার মোহ) পেছনে বিভ্রান্ত হয়েছ, অবশেষে আল্লাহর আদেশ পৌঁছেছে”। বিশ্বাসীদের মতে এটাই ছিল তার জীবন। মুমিনরা বলবে – এটাই ছিল তার জীবন। যারা তাদের ঈমান হারিয়ে ফেলেছিল।
যেটা শুরু হয়েছিল আপাতদৃষ্টিতে একটা ছোট্ট পদক্ষেপ থেকে, অসৎ সঙ্গ! এবং সেখান থেকে এটা একটা অটোমেটিক ডাউনওয়ার্ড স্পাইরাল সিঁড়ি, শুধুই নিচের দিকে নেমে যাওয়া! তারপর তার মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। এর পর সে তার গোটা জীবন শুধু কামনা বাসনা চরিতার্থ করা এবং দুনিয়াবী অর্জনের পেছনে ব্যয় করে। وَغَرَّكُم بِاللَّهِ الْغَرُورُ তারপর আল্লাহ বলেন, চূড়ান্ত প্রতারক… এখানে ‘গারুর’ শব্দটি ‘মুবালাগা’, চূড়ান্ত প্রতারক যে সফলভাবে তোমাদের প্রতারিত করে। সেদিন ঈমানদাররা দেয়ালের অপর পাশের মুনাফিকদের এটাই বলবে। সম্মানিত পাঠকগণ, এটি একটা ভয়ানক দৃশ্য যা কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। দেয়ালের একপাশে দাঁড়িয়ে মুনাফিকরা ভাবছে কেন আমাদের অপর পাশে যেতে দেয়া হচ্ছে না। তখন দেয়ালের অপর পাশ থেকে বিশ্বাসী সাথীরা ধাপে ধাপে বর্ণনা করবে, কেন তারা দেয়ালের ঐ পাড়ে আটকে গেছে! আর কুরআনের এই বর্ণনাটি আপনার আমার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি উপহার। এটা একটা উপহার যে কিয়ামত দিবসের এই মহা ভয়াবহ চিত্রটি এখানে তুলে ধরা হয়েছে। কারণ সেদিন আমি এই পরিস্থিতিতে পড়তে চাই না, আমার এখন জানাই উত্তম। তখন জেনে দিশেহারা, আতঙ্কিত, আশাহত এবং মুহ্যমান হয়ে পড়তে চাই না। কেন আমি দেয়ালের খারাপ পাশে? কেন আমি অপর পাশে না? আমার কাছে কোন আলো নেই কেন? কেন আমি আল্লাহ প্রদত্ত ঈমান হারিয়ে ফেললাম?
আপনারা যারা এখানে বসে আছেন সকল ঈমানদারের অন্তরে আল্লাহ আলো দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদের এটা দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা এই নূরকে অন্তরে এবং কর্মে ধারন করতে পারছি কিনা? আমাদের নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখতে হবে আমরা কোথায় আছি? কেউ কেউ হয়তো অসৎ সঙ্গের ফিতনার সাথে জড়িয়ে আছি। হতে পারে আপনি মাত্র প্রথম ধাপে অর্থাৎ অসৎ সঙ্গের (ফিতনাময় পরিবেশে) সাথে মেলামেশা শুরু করেছেন। অথবা বেশ কিছু দিন অসৎ সঙ্গের সাথে জড়িয়ে আছেন আর ভাবছেন ‘যাক না আরও কিছু দিন’। হয়তো এটাই ঘটেছে। অথবা আপনি এখন সন্দেহ করা শুরু করেছেন। আমরা হয়তো এমন দূরে চলে গিয়েছি। এমনও হতে পারে আপনি এখন শেষ ধাপে আছেন, তাই শুধু দুনিয়াদি জিনিসের (toys, pleasure, entertainment etc.) মাঝেই আপনি চূড়ান্ত সাফল্য ও মানসিক প্রশান্তি খুঁজে বেড়ান। এই আলো ছাড়া আমাদের যা কিছু অর্জন অথবা উপার্জন, শেষ বিচারের দিনে এইসব কিছু হবে মূল্যহীন। তাই এই অনুচ্ছেদের প্রথমে আল্লাহ’তাআলা এটাকে আলো হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিচার দিবসে এই আলোরই একমাত্র মূল্য থাকবে। কুরআনের আরেকটি সুরায় যেমনটি বলা হয়েছেঃ إِلَّا مَنْ أَتَى ٱللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ – কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে। যে অন্তর তাদের সম্মুখে আলোর দ্যুতি ছড়াবে। এই দুনিয়াতে আপনার আমার আর বাকি যা কিছু আছে সবই অর্থহীন। শেষ বিচারের দিন আল্লাহর সামনে এর সবই গুরুত্বহীন। কিছুদিনের জন্য আমরা এইসব উপভোগ করতে পারি, কিন্তু যদি এর ফাঁদে আটকে যাই এবং আমাদের অন্তরের সব জায়গা দখল করে নেয়, তাহলে অন্তরে আলোর জন্য কোন জায়গা বাকি থাকবে না। অন্তরে আর কোন জায়গা বাকি থাকবে না।
আর তাই এরপরের আয়াতে আল্লাহ’তাআলা বলছেন, فَالْيَوْمَ لَا يُؤْخَذُ مِنكُمْ فِدْيَةٌ وَلَا مِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا ۚ مَأْوَاكُمُ النَّارُ ۖ هِيَ مَوْلَاكُمْ ۖ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ – ‘’আজকে তোমাদের কাছে থেকে কোন মুক্তিপণ, কোন ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করা হবে না…।’’ কোন কিছু বন্ধক দেয়ার চেষ্টা কোরো না আজকে। ঐ দরজাগুলোতে তোমাদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ। কোন ধরণের জরিমানা বা মুক্তিপণ দিয়ে দরজাগুলো দিয়ে ঐ পাশে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। ‘’তোমাদের থেকে নয়, কাফেরদের থেকেও নয়।’’ এই আয়াতের ভীতিকর দিক হলো – لَا يُؤْخَذُ مِنكُمْ فِدْيَةٌ وَلَا مِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا – আজকে তোমাদের এবং কাফেরদের একই পরিণতি। আপনি এবং কাফেররা আজ একই দলে পড়ে গেছেন। ‘’আমি তোমাদের নিকট থেকে কোন মুক্তিপণ গ্রহণ করবো না, কাফেরদের থেকেও নয়। তোমাদের সবার আবাস্থল জাহান্নাম। ‘’ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ – ‘’কতই না নিকৃষ্ট এই প্রত্যাবর্তন স্থল।’’
শেষ বিচার দিবসের এই পূর্ণচিত্র তুলে ধরার পর আল্লাহ্ সুবাহান’তাআলা এভাবে উপসংহার টানেন, আমিও এই আয়াত দিয়েই আজকের আলোচনার সমাপ্তি টানবো। কীভাবে আমরা এই আলোর সংরক্ষণ করবো এবং নিজেদের বার বার মনে করিয়ে দিব যে সেই নিম্নমুখী পথটি অনুসরণ করা যাবে না এবং আমাদের অন্তরে যেটুকু ক্ষুদ্র আলো এখনো বর্তমান আছে তা কীভাবে দিন দিন আরও শক্তিশালী করবো। আল্লাহ নিজেই বলেন – أَلَمْ يَأْنِ لِلَّذِينَ آمَنُوا أَن تَخْشَعَ قُلُوبُهُمْ لِذِكْرِ اللَّهِ – অর্থাৎ “যারা মুমিন, তাদের জন্যে কি আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য অবর্তীর্ণ হয়েছে, তার কারণে হৃদয় বিগলিত হওয়ার সময় আসেনি”? সত্যিকার অর্থে আল্লাহকে স্মরণ করলে অন্তর নরম হবে। আপনার অন্তর যত বেশি আল্লাহকে স্মরণ করবে… কারণ – اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ – ‘’আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের জ্যোতি’’। আল্লাহকে আমরা যত বেশি স্মরণ করবো ততবেশি আমাদের অন্তরে নূর ধারণ করতে পারবো। বুঝতে পারছেন? তাই তিনি বলছেন আল্লাহকে স্মরণ কর।
তারপর তিনি বলেন কিভাবে তুমি আল্লাহকে স্মরণ করবে? আরবিতে এটাকে ‘আতফে বায়ান’ বলা হয়। وَمَا نَزَلَ مِنَ الْحَقِّ যে সত্য অবর্তীর্ণ হয়েছে, তার কারণে হৃদয় বিগলিত হওয়া উচিত। ওহীর কারণে, কুরআনের কারণে। কুরআন নিয়ে গভীর চিন্তা করুন, কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করুন। যখন কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত করবেন তখন কান্নাকাটি করুন। আল্লাহ যে উপহারটি আপনাকে দান করেছেন আপনার জীবনে তাঁর অর্থ কি তা নিয়ে চিন্তা করুন। কুরআনে শুধু আল্লাহকে জ্যোতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি, কুরআনকেও জ্যোতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। فَآمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَالنُّورِ الَّذِي أَنزَلْنَا – অতএব তোমরা আল্লাহ তাঁর রসূল এবং অবতীর্ন নূরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। সরাসরি কুরআনকেই ‘নূর বা জ্যোতি’ বলা হয়েছে। আপনার নিজের ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য কুরআনের সাথে যে সময় ব্যয় করেন… যখন আমরা বসে কুরআন পড়বো, আয়াত নিয়ে চিন্তা করবো, গভীর ভাবে ভাববো যে আমাদের প্রভু আমাদের কী বলছেন তাহলে এ অনুশীলন আমাদের হৃদয়কে আলোকিত করে তুলবে। আর আমাদের জীবনে এই আলোর চেয়ে দামী কোন সম্পদের অস্তিত্ব নেই। আমরা এখন এর মূল্য বুঝতে পারছি না। কিন্তু সেদিন এর মূল্য বুঝা যাবে যেদিন আমাদের চারপাশ গহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকবে। আমাদের বক্ষ এবং ডান হাত থেকে নির্গত আলো ছাড়া আর কোন আলো থাকবে না। وَلَا يَكُونُوا كَالَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلُ فَطَالَ عَلَيْهِمُ الْأَمَدُ فَقَسَتْ قُلُوبُهُمْ ۖ وَكَثِيرٌ مِّنْهُمْ فَاسِقُونَ তারা তাদের মত যেন না হয়, যাদেরকে পূর্বে কিতাব দেয়া হয়েছিল। তাদের উপর সুদীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হয়েছে, অতঃপর তাদের অন্তঃকরণ কঠিন হয়ে গেছে।” তাদের নিকট বই ছিল কিন্তু তারা এর কোন মূল্য দেয়নি।
এটা সম্ভব যে, কোন জাতির নিকট আল্লাহর কিতাব থাকতে পারে… আমাদের পূর্বে বিভিন্ন জাতির নিকট বই ছিল। তাদের নিকট তাওরাত ছিল, ইঞ্জিল ছিল, …তাদের নিকট ছিল। কিন্তু তারা সেটা থেকে কোন উপকার গ্রহণ করেনি। ‘লাম ইয়ান্তাফিয়ু মিনহা’ তারা ঐ বইগুলো থেকে কোন উপকার নেয়নি। ঐ বইগুলো দিয়ে তাদের অন্তর আলোকিত করার কোন চেষ্টা করেনি। হয়তো তারা ভুল উদ্দেশ্যে ঐ বইগুলো ব্যবহার করেছিল, হতে পারে শুধু আনুষ্ঠানিকতা পালনের উদ্দেশ্যে করেছিল। হয়তো তারা মাঝে মধ্যে শুধু তিলাওয়াত করে আনন্দ নিত। আল্লাহর কিতাবকে তারা এমন বিষয়ে পরিণত করেছিল। কুরআনও আজ আমাদের নিকট এমন হয়ে গেছে। শুধু বিয়ে-শাদীর অনুষ্ঠানে এটা তিলাওয়াত করি। আমাদের অন্তর বিগলিত করার জন্য আজ আর কুরআন অধ্যয়ন করি না। এটা ইতিহাসের এক নির্মম ট্র্যাজেডি যে, মানুষ আল্লাহর কিতাব থেকে উপকৃত হয়নি। যা এসেছিল মানুষের অন্তরকে কোমল করে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে দণ্ডায়মান হওয়ার জন্য প্রস্তুত করতে। আর তাই এটা এখন আপনার আমার দায়িত্ব। এ জন্যই বলা হয়েছে وَلَا يَكُونُوا كَالَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلُ فَطَالَ عَلَيْهِمُ الْأَمَدُ فَقَسَتْ قُلُوبُهُمْ অতঃপর তাদের অন্তঃকরণ কঠিন হয়ে গেছে। যখন অন্তর কঠিন হয়ে পড়ে তখন সেখানে কোন আলো থাকে না। কিয়ামতের দিন সে অন্তর আপনার কোন উপকার করবে না। وَكَثِيرٌ مِّنْهُمْ فَاسِقُونَ তাদের অধিকাংশই পাপাচারী।
আল্লাহ আজ্জা ওয়া জ্বাল এই কয়েকটি আয়াতে একজন বিশ্বাসীর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি চিত্র তুলে ধরেছেন। আজকে আমি-আপনি যে ঈমানকে ধারন করি, সেটা ধ্রুব না। আমাদের অন্তরে যে ঈমানের জ্যোতি দেয়া হয়েছে সেটা আজীবন থাকবে এমন কোন গ্যারান্টি নাই। আজকে আমার ঈমান আছে বলেই আমি নিরাপদ, সেটা ভাবারও কোন অবকাশ নেই। কেউ আমাদের মুসলিম মনে করে সালাম দেয় আর আমরাও জবাবে ওয়ালাইকুমুস সালাম বলি, ফলে আমরা মনে করি যে, আমরা সবাই মুসলিম, আমাদের সবার অন্তরে আলো রয়েছে, কিন্তু এই আয়াতগুলোর মতে, কিছু মানুষ কিয়ামতের দিন জেগে উঠে হতচকিত হয়ে পড়বে!! সে বলবে, আমি মনে করেছিলাম আমি তোমার সাথে। কিন্তু সে তার সাথে নয়। তাই ভালো হয় আমরা যদি এখনি বুঝতে পারি যে, এটা স্বয়ংক্রিয় নয়, এটার গ্যারান্টি নেই। আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে এর জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আমাকে ব্যক্তিগতভাবে এর জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বিচার দিবসে আপনার ঈমান যেমন আমাকে সাহায্য করবে না, তেমনি আমার ঈমানও আপনাকে সাহায্য করবে না। আমরা সবাই নিজ নিজ চিন্তায় অস্থির থাকবো, নিজেদের আলোর জন্য চিন্তিত থাকবো। ارْجِعُوا وَرَاءَكُمْ فَالْتَمِسُوا نُورًا – তোমরা পিছনে ফিরে যাও ও আলোর খোঁজ কর। এখন আমরা একে অন্যকে সাহায্য করতে পারি, এখন আমরা একে অন্যের ঈমান শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখতে পারি। কিন্তু সে দিন আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোন সাহায্য থাকবে না।
আল্লাহ আজ্জা ওয়া জ্বাল আমাদের তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন যারা তাদের আলোর সংরক্ষণ করবে। আল্লাহ আজ্জা ওয়া জ্বাল আমাদের তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন যারা দেয়ালের ক্ষতিকর পাশে থাকবে না। আল্লাহ’তাআলা আমাদের নিজেদের এবং আমাদের প্রিয় মানুষদের মুনাফেকি থেকে রক্ষা করুন। আল্লাহ আমাদের অন্তরকে কঠিন হওয়া থেকে রক্ষা করুক। আল্লাহর স্মরণে এবং কুরআনের বানীতে অন্তরকে আদ্র, নমনীয় ও জ্যোতির্ময় করে দিক।