আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে ‘প্রভাবসৃষ্টি’ এটাই হয়তো সর্বোচ্চ শিখর, কিন্তু না এর থেকেও বড় কিছু আছে। এর উপরে আছে চূড়ান্ত সত্য। কেউ কেউ ন্যায়ের খোঁজ করে। কেউ কেউ সত্যের খোঁজ করে। কেউ কেউ আদর্শের খোঁজ করে। তারা ন্যায়ে বিশ্বাস করে। আর ন্যায় এমন একটা জিনিস সেটা আপনি পরিপূর্ন ভাবে দুনিয়াতে দেখবেন না। দেখবেন কি? এটা কখনোই নেই পুরোপুরি ভাবে, কিন্তু তারা এর পরোয়া করেন না, তারা এটার জন্যই কাজ করেন। ও আরেকটি ব্যাপার, যখন আপনি এমন কিছু করতে চান যেটার দুনিয়াতে কোন নজীর নেই তখন সেটা করাটাই সবচেয়ে কঠিন কাজ হয়। আপনি যদি পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে চান, তখন যদি আপনি সামান্য একটুও পরিবর্তন দেখেন, তাতেও আপনি উদ্দীপিত হয়ে যান, আপনি অনুপ্রানিত হন এবং এটি আপনাকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু আপনি যখন এমন একটা আদর্শের জন্য কাজ করবেন, ন্যায়ের জন্য, আপনি হয়তো ন্যায় কখনো দেখবেনই না। এই লোকেরা কেমন করে নিজেদেরকে অনুপ্রেরনা দিবে যখন তারা এমন কিছুর জন্য কাজ করা যেটা দেখা যাচ্ছে না। এরাই হচ্ছে সবচাইতে অসাধারন, সহনশীল ব্যক্তি। একবার তারা একটা আদর্শের পেছনে পড়লো, সবাই তাকে পাগল ভাবলো কিন্তু তাতে তার কিছু এসে যায় না। তারা এগিয়েই চলেন। তাই এখন আমি শুরু করতে যাচ্ছি একদম সর্বোচ্চটা দিয়ে যেটা হল সত্যের খোঁজ। ন্যায়ের খোঁজ। প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি যে আমাদের সকল নবীদের (আঃ) এর পথই ছিল সত্যের অন্বেষণ। তারা মানুষের সাথে সত্যটা শেয়ার করতে আগ্রহী ছিলেন। এবং অনেক সময়ই, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম এর হাদীস থেকে আমরা জানি কেয়ামতের দিন অনেকেই, মানে অনেক নবীই আল্লাহর সামনে দাঁড়াবেন যাদের পেছনে কোন অনুসারীই থাকবেন না। একজন অনুসারীও নয়। এক না দুই না একেবারে শূন্য, শূন্য। তাদের লক্ষ্য টা কি ছিল? সত্য। তাদের প্রভাব কতটুকু ছিল? শূন্য। কিন্তু আল্লাহর দৃষ্টিতে তাঁরা পুরোপুরি সফল। হ্যাঁ নাকি না? এখন আমদেরকে একটা জিনিস বুঝতে হবে। আমরা আবার এই শ্রেণীভাগেই যাচ্ছি কিন্তু আমি শুধু শেষের ৪ টার উপরই ফোকাস করছি। অথবা হয়তো শেষ ৫টার উপর।
প্রথমেই কথা বলি ‘উৎকর্ষ/শ্রেষ্ঠতা’ নিয়ে। আপনি যখন উৎকর্ষের খোঁজ করেন তখন আপনি কাকে নিয়ে কখনো সন্তুষ্ট থাকেন না? নিজেকে । প্রশ্ন হল কেন আপনি নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট নন? কারণ আপনি নিজকে শুধু উন্নতই করতে চান। না, এটা কারণ নয়। যদি আপনি ইসলামের দৃষ্টি কোন থেকে আলোচনা করেন, আপনি নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট নন এই কারণে যে আপনাদের প্রত্যেকেরই ‘প্রভাবসৃষ্টির’ চেষ্টা করার কথা ছিল। আপনার নিজেকে নয় বরং অন্যকে নিয়ে চিন্তা করার কথা ছিল, আর এই কারণেই আপনি নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট হতেন না। আপনি যা ভাবছেন আল্লাহ আসলে আপনার উপর তার থেকেও বেশি দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি চাই যে আপনারা দুটো জিনিস নিয়ে চিন্তা করুন। এটা কুরআনের একটি অন্যতম শক্তিশালী বক্তব্য। যেহেতু এটা পরিষ্কারভাবে অনুবাদ করা হয়নি তাই এটি অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে। আল্লাহ বলছেন ‘لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا’ (সুরা বাকারাঃ২৮৬)। ‘আল্লাহ কোন ব্যক্তির উপরই বোঝা দেন না’ … এখন যেই অংশটা আসছে সেটাই হচ্ছে দুর্বল অনুবাদ. ..’তাদের সাধ্যের অতিরিক্ত’। আল্লাহ আপনার উপর সেই বোঝা চাপাবেন না যা আপনি বহন করতে পারবেন না। শুনেছেন এটা আগে? এই অনুবাদের জন্য আরবিটা হওয়া দরকার ছিল ‘লা ইয়ুকাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা বি উসইহা’, ‘তাদের সাধ্য পর্যন্ত’ বোঝাতে সেখানে একটা ‘ب/বা’ থাকার কথা ছিল। কিন্তু শব্দটা হচ্ছে ’ইল্লা উসআহা‘ অর্থাৎ ‘কাল্লাফাল্লাহু উসআনা’ অর্থটি এখন পুরোই পরিবর্তিত হয়ে গেছে। প্রচলিত অনুবাদটা একদম ন্যূনতম অর্থ প্রকাশ করে। কিন্তু আপনি জানেন এই আয়াতের সত্যিকার অর্থ কি? ”আপনার মাঝে যে সম্ভাবনা আছে তার অতিরিক্ত কোন কিছুর বোঝা আল্লাহ আপনাকে দেন নি।” ভেবে দেখুন আমি কি বলছি। আল্লাহ আপনাকে এমন কিছু বোঝা দেন নি, যেটা কি? যেটা আপনার মাঝে যেই সম্ভাবনা আছে তার অতিরিক্ত। অন্য কথায় আপনার মাঝে কি আরো উন্নতি করার সম্ভাবনা আছে? হ্যাঁ। আপনি কি আরো বেশি করতে পারতেন? হ্যাঁ। এবং যেটা করতে পারেন কিন্তু করেননি আল্লাহ আপনাকে সেটার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। শুধু একদম ন্যূনতম দায়িত্বটুকু নয়, বরং সর্বোচ্চটুকু। আল্লাহ চান যে আপনি নিজেকে উন্নত করতে থাকুন এবং থাকুন এবং থাকুন এবং দেখান যে আপনি আসলে কতটুকু নেওয়ার জন্য তৈরি ছিলেন। এটাই হচ্ছে এখানে ‘অন্বেষণের‘ ধারণা।
আমরা সুখের অন্বেষণে অস্থির নই, বরং ওটা এর সাথেই বোনাস হিসাবে আল্লাহ দেবেন। আমরা অন্যের কাছে ‘কুল/পরিপাটি’ হিসাবেও পরিচিত হতে চাই না। কারণ ‘কুল’ হওয়াটা একটা অনর্থক ব্যাপার, কেউ একজন একটা বোকার মত কাজ করেছে এবং আপনিও ঐ নির্বোধের মতই কাজ করতে চাচ্ছেন। আমরা কারো কাছে জনপ্রিয় হতেও আগ্রহী নই, কেন জানেন? অন্য সবার যাদের জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই, আপনি তাদের মাঝে জনপ্রিয় হতে চান মানে হচ্ছে আপনি তাদের মাঝে সবচাইতে বেশি বোকা। আমরা ‘সম্মানের’ কাঙ্গালও নই। কারণ আমরা জানি সম্মান আসে আল্লাহর তরফ থেকে, অনেক নবীই ছিলেন গৃহহীন, কিন্তু তাদের সম্মান ছিল। নবীদেরকে মানুষ ধিক্কার দিত, কিন্তু তারপরও তাদের ছিল উচ্চ সম্মান। এখন আমাদের কাছে সম্মানের সংজ্ঞাটাই ভুল। আমরা ভুল জিনিসের সাথে এটাকে জড়িয়ে ফেলেছি। ঠিক আছে। যখন উৎকৃষ্ট হবার চেষ্টা করার ব্যাপার আসে, আমাদের মুসলিমদের মাঝারি ধরণের জিনিসে সন্তুষ্ট হবার কোন অবকাশ নেই। কোন সুযোগ নেই। আপনি একজন মুসলিম হিসেবে, নিজেকে আরো উন্নত করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করতে হবে। আপনি যে কাজই করে থাকেন না কেন। আপনি যদি মুখস্ত করে থাকেন তাহলে আপনি আরো বেশি মুখস্ত করার চেষ্টা করুন, আপনি যদি পড়াশুনা করে থাকেন তাহলে আপনি আরো বেশি পড়াশুনার করার চেষ্টা করুন, আপনি যদি কাজ করে থাকেন তাহলে আপনি আরো বেশি কাজ করার চেষ্টা করুন, আপনি যদি স্বেচ্ছাসেবী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আরো বেশি স্বেচ্ছাসেবা করার চেষ্টা করুন, চেষ্টা করতে থাকুন নিজেকে আরো উন্নত করার জন্য। বিশেষত যখন আপনার বয়স কম। কারণ এখন দায়িত্ব অনেক কম, ‘ কিন্তু আমার হোম ওয়ার্ক আছে’ , হ্যাঁ, কিন্তু সেটা এমন কোন দায়িত্ব নয়। দায়িত্ব তখনই আসবে যখন আপনি বিয়ে করবেন। যখন আপনার সন্তান থাকবে, এখন আপনি মুক্ত। এখন আপনার যে স্বাধীনতা আছে সেটা জীবনের আর কোন পর্যায়েই আর থাকবে না।
এটাই সময় নিজেকে উন্নত করার, পেছনে বসে থেকে ভিডিও গেমস খেলার সময় নয়। এখন শুধু বসে থেকে মুভির পর মুভি দেখার সময় নয়। এখন সময় নয় যে নতুন ‘অ্যাভেঞ্জার’ বা এরকম কিছু নিয়ে আপনি ব্যস্ত হয়ে গেলেন। এটা সেই সময় নয়। আপনার জন্যতো নয়ই, আপনার অনেক বড় আরও কিছু করার রয়েছে। পুরো পৃথিবী অপেক্ষা করছে আপনি কি প্রভাব ফেলবেন দুনিয়াতে সেটার জন্য। আপনি এমনি এমনি বসে সময় নষ্ট করতে পারেন না। অন্যরা করতে পারে, ভাল, তাদের কোন বৃহত্তর লক্ষ্য নেই, কিন্তু আপনাকে হতে হবে ‘শ্রেষ্ঠ’ কারন আপনি এখন থেকেই প্রভাব সৃষ্টি করা নিয়ে চিন্তা করছেন। দর্শকদের মাঝে বসে থাকা প্রত্যেক তরুণ ছেলে এবং মেয়ের চিন্তা করা উচিত আল্লাহ আমাকে কি দিয়েছেন, আমাকে আল্লাহ কোন গুণটি দিয়েছেন, এবং এই গুণটি দিয়ে আমি দুনিয়াতে কী পরিবর্তন আনতে পারি। এই গুণ দিয়ে আমি কী করবো? আর আপনি যখন এটা নিয়ে চিন্তা করবেন তখন আপনি সত্যিকার ভাবে বুঝতে পারবেন আপনি কিসের জন্য কাজ করছেন। আপনি কাজ করছেন আল্লাহর সাথে দেখা হবার স্বপ্ন নিয়ে এবং সেটাই হচ্ছে আমাদের আসল সত্য। আপনি আল্লাহকে এটা দেখাতে চান যে আপনি আপনার সামর্থ্যের মাঝে যা আছে তার সবটুকু করেছেন। আপনার সেটাই করতে পারা উচিত। সবচেয়ে ভাল ঘুমের অভ্যাস আপনাদের থাকা উচিত, সবচেয়ে ভাল খাবারের অভ্যাস আপনাদের থাকা উচিত, সবচেয়ে ভাল ব্যায়াম করার অভ্যাস আপনাদের থাকা উচিত, আপনাদের হওয়া উচিত সবচেয়ে ভাল ইবাদতকারী, আপনাদের হওয়া উচিত পড়াশুনায় সবচেয়ে ভাল, আপনার জীবনে আপনি যা যা করে থাকেন তার প্রত্যেকটি কাজে আপনার উৎকর্ষ অর্জনের প্রচেষ্টায় রত হতে হবে। আপনার বাজে জাঙ্ক খাবার অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত, আপনি এমন কেউ হবেন না যারা অযথা ঘুরে ফিরে, আড্ডা দিয়ে সময় নষ্ট করে। হ্যাঁ, আপনি অবশ্যই অবসর কাটাবেন, কিন্তু এমনকি যখন আপনি খেলবেন, তখনো সবচেয়ে ভাল খেলুন। সবচেয়ে ভাল। স্কুলের বা কলেজের অন্য ছেলেরা যখন তাকে দেখবে তারা বলবে আমি এর মত হতে চাই, তার সবকিছু অসাধারন। তার সবকিছুতেই সে চ্যাম্পিয়ন। আপনাদের তেমনলোক হওয়া উচিত। উম্মাহর এরকম লোক দরকার। ‘শ্রেষ্ঠ’ লোক। এবং এধরণের লোকেরাই প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম।
আর আরেকটি ব্যাপার কি জানেন, আমাদের বাবা-মারা, দুঃখজনক ভাবে, কারণ তাদেরকে কখনো এটা শেখানো হয়নি, তারা কখনো এই যে সিঁড়ি এটার সাথে পরিচিত হননি, তাই তাদের কাছে সর্বোচ্চ শিখর হচ্ছে ‘সম্মান’ আর এরও উপরে গেলে টাকা-পয়সা। শেষ। তাই আপনাদেরকে নিয়ে তাদের একমাত্র চিন্তা হচ্ছে ‘সম্মান’ আর ‘অর্থ’ । একটা চাকরী খোঁজো, যেন তুমি ‘সম্মান’ পেতে পার আর আমরা বলতে পারি আমাদের ছেলে একটা চাকরী করে। সে ডাক্তার, সে এটা…সে ওইটা…। আর হয়তো আমাদের একসময় অনেক টাকাও হবে আর আমরা সেটা দেখাতে পারব মানুষকে। শেষ। এটাই তাদের একমাত্র চিন্তা। আর তারা সবসময় জিজ্ঞসা করে তুমি কোথায় কাজ করবে, কেমন করে তুমি আরো টাকা রোজগার করবে? কখন আমরা বাড়ী কিনবো? তাই না? সবকিছুই শেষ হয় সম্মান এবং অর্থ তে গিয়ে। কিন্তু জীবনে এর উপরেও কিছু আছে। ‘ অর্থের ‘ উপরে কি? ‘উৎকর্ষ’। কে আপনাকে ‘উৎকর্ষ/শ্রেষ্ঠত্ব’ অর্জনের দিকে ধাবিত করবে? ‘প্রভাব’ ফেলা নিয়ে কে চিন্তা করবে? আমরা শুধু ‘অর্থ’ এবং ‘সম্মান’ নিয়ে চিন্তা করতে করতেই জীবন শেষ করে ফেলি। মুসলিমদের মাঝে কত ছেলে মেয়ে ডাক্তার হয়েছে, আমি সব সময় তাদের উদাহরন টাই দেই কারণ এদেরকেই সবচেয়ে বেশি হতাশ দেখি আমি। তারা ডাক্তার হয়েছে শুধু মাত্র এ কারণে যে তাদের মা বলেছে কিংবা বাবা বলেছে, আমি কখনোই আমার কোন সমস্যা হলেও এরকম ডাক্তারের কাছে যেতে আগ্রহী না। আমি বরং এমন কারো কাছে যাব যে ডাক্তার হয়েছে কারণ তারা মানবতার সেবা করতে চায়। তারা তাদেরকে নিয়ে চিন্তা করে, তারা দুর্নীতি গ্রস্ত ইনসুরেন্স কোম্পানী থেকে পরবর্তী টাকা আসার অপেক্ষা করে না। তারা আসলে মানবতা নিয়ে চিন্তিত। আমি এ ধরণের ডাক্তারের সাথে সম্পর্ক রাখতে এবং নিজে এবং বাচ্চাদেরকে নিয়ে যেতে আগ্রহী। বুঝেছেন? প্রভাব সৃষ্টিকারী ব্যক্তি। এখন এই ব্যাপারে আমার শেষ কথা, ‘ওয়াল্লাইসা লিল ইন সানি ইল্লা মা সাআ’ মানুষের কিছুই থাকবে না শুধু মাত্র তারা যা চেষ্টা করেছে তা ছাড়া’ তাদের যে ইচ্ছা ছিল সেটা ছাড়া। আবার শুরু করি ১। সুখের সন্ধান ২। ‘কুল/সামাজিক/পরিপাটি’ হবার বাসনা ৩। ‘জনপ্রিয়’ হবার আকাঙ্ক্ষা ৪। ‘সম্মান‘ পাবার আকাঙ্খা ৫। ‘অর্থ প্রাপ্তির’ ইচ্ছা ৬। ‘উৎকর্ষ’ লাভের ইচ্ছা ৭। ‘প্রভাবসৃষ্টিকারী’ হবার ইচ্ছা এবং ৮। ‘সত্য’ পাবার প্রচেষ্টা। জানেন আল্লাহর কাছে সবচেয়ে মূল্যবান কোনটি? এ সবকিছুর মাঝে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে, আপনার ‘অন্বেষণ’ টাই, নিরন্তর প্রচেষ্টায় রত থাকাটাই ।