নোমান আলি খান
وان الذين اورثوا الكتاب من بعدهم لفي شك منه مريب
তিনি বলেন – কোন সন্দেহ নেই যে যারা তাদের পরবর্তীতে বংশগতভাবে কিতাব পেয়েছিল, যাদের কিতাব দেয়া হয়েছিল উত্তরাধিকার সূত্রে
اورثوا الكتاب من بعدهم
শব্দগুলো নিয়ে একটু ভেবে দেখুন। সাধারণভাবে এখানে পরের প্রজন্ম নিয়ে তিনি বলছেন, ঠিক কিনা ? পরবর্তী জেনারেশানের মুসলিমরা। কিন্তু তিনি এটা কিভাবে বলছেন ? তিনি বোঝাতে চাচ্ছেন যে, যারা উত্তরাধিকারসূত্রে এই দ্বীন পেয়েছিল প্রথম প্রজন্ম থেকে – সেই প্রথম প্রজন্ম ব্যাস্ত ছিল অনৈক্য ও বিভাগ-বিভাজনে। তো এ থেকে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কী শিখবে ? বুঝতে পারছেন? তারা তাদের বড়দের যা যা করতে দেখেছিল, যেভাবে তাদেরকে দ্বীন অনুসরণ করতে দেখেছিল – সেটা এতটাই কুতসিত ছিল, এতটাই সামঞ্জস্যহীন ছিল.. কেননা আমরা জানি ধর্ম হওয়ার কথা এমন কিছু যা কিনা খুবই চমৎকার, এটা সমাজে ঐক্য নিয়ে আসে। উম্মাহর ভেতর একতার বিকাশ ঘটায়। এটা
اشداء على الكفار رحماء بينهم
সৃষ্টি করে। হ্যা এমন অবস্থারই প্রবর্তন করে । এটা পুরোপুরি উলটো বিষয়ের প্রবর্তন ঘটায়।
কিন্তু পরবর্তীতে এমন প্রজন্মের আবির্ভাব ঘটলো যারা বিভেদ, অনৈক্যের মানুষদের থেকে দ্বীন শেখা শুরু করলো। হ্যা এটা নতুন প্রজন্ম। এখন এই নতুন প্রজন্মের ব্যাপারে তিনি কী বলেন !?… তারা দেখতে পেল সেই বিষয়ের কদাকার চিত্র যা তাদের হাতে পৌছেছিল । তারা এখন আর এই কিতাবকে চমৎকার কিছু হিসেবে দেখে না। এই দ্বীনকে সুন্দর কিছু বলে মনে করে না। তারা আসলে ভয়ঙ্কর একটা রুপ তাদের সামনে দেখে থাকে। তো তাদের কী অবস্থা হয় জানেন ? এই পরবর্তী প্রজন্ম ?
لفي شك منه
তারা এ ব্যাপারে সংশয়তে ভোগে ।
পরবর্তী প্রজন্ম, তারা নিজেদের দ্বীনকেই সন্দেহ করতে শুরু করে। সুবহানাল্লাহ। এ কেমন মূল, যা পরিশোধ করতে হচ্ছে, এই অপরাধের দরুন ! এখানে এমন মানুষজন রয়েছে যারা দ্বীন শিখছে, আর তারাই কারন হয়ে দ্বারাচ্ছে,.. শিক্ষিত মানুষরাই এই আয়াতে.. যেটা অবশ্যই ভয়ংকর বাস্তবতা, অবিশ্বাস্য, আর আমি বলছি না এশা আল্লাহ বলছেন! কোন প্রজন্মের শিক্ষিত মানুষরাই কারন – যাদের দরুন তাদের পরবর্তী প্রজন্ম বিশ্বাস হারাচ্ছে। এটা আসলেই অবিশ্বাস্য বাস্তবতা। আপনাদের মনে আছে হয়তো, প্রথমে আমি বলেছিলাম – কিছু বিষয় এমন থাকবে যা যেকোন সমাজেই, যেকোন শতকেই, যেকোন সময়েই ভাল থাকবে ? মানব সভ্যতায় এটাও এমন একটা ব্যার্থতা যা সর্বদাই সত্য থাকবে। যখন কোন নির্দিষ্ট প্রজন্ম ভুল কারন নিয়ে, বিতর্কিত বিষয়ে এবং ভুল পথে ব্যাস্ত থাকবে – তাদের পরবর্তী প্রজন্ম তাদের বিশ্বাসের ক্ষেত্রে শুরুতেই সংশয়ে ভুগবে। হ্যা শুরুতেই দ্বিধাতে ভুগবে ।