আপনার আওয়াজ নবীর আওয়াজের উপর উঁচু করবেন না


–নোমান আলী খান

সূরা হুজুরাত (৪৯) এর দ্বিতীয় আয়াতে, আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা নবি ﷺ এর আমাদের উপর একটি অধিকারের বর্ণনা করছেন –
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ
“হে ঈমানদারগণ, তোমরা নবীর আওয়াজের উপর তোমাদের আওয়াজ উঁচু করো না
وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ
“এবং তাঁর সাথে সেরকম উচ্চস্বরে কথা বলো না”
كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ
“যেমন তোমরা নিজেরা পরস্পর উচ্চস্বরে কথা বল,”
أَنْ تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ
“এ আশঙ্কায় যে তোমাদের সকল আমল-নিস্ফল হয়ে যাবে”
وَأَنْتُمْ لَا تَشْعُرُونَ
“অথচ তোমরা উপলব্ধিও করতে পারবে না।“
এই আয়াতের প্রেক্ষাপটের ব্যাপারে একটু বুঝে নেই, ঠিক আছে?
যারা মুসলিম হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে কিছু বেদুইনও ছিলেন
এবং তাঁরা ইসলামি আচার ব্যাবহার তো দূরের কথা, সাধারণ সহুরে আদব কায়দার ব্যাপারেও অতো সভ্য ছিলেন না।
তারা একরকম ভাবে জানতেন যে নবি ﷺ একজন রাসুল, কিন্তু তাঁকে শ্রদ্ধা করা, সঠিক সম্মান দেখানো, এসব ব্যাপারে তারা অজ্ঞ ছিলেন।
তাই তারা তাঁর বাড়িতে যান, তাঁর বাড়ি ছিল খুবই ছোট, এবং দরজায় ধাক্কা দিয়ে বলেন, “ইয়া মুহাম্মাদ! উখ্রুজ আলাইনা!”
“মুহাম্মাদ, বেড়িয়ে এসো, আমরা তোমাকে কিছু প্রশ্ন করতে চাই।“
সমস্যা হলো – আল্লাহ নিজে কখনো নবি ﷺ কে “ইয়া মুহাম্মাদ” বলে ডাকেননি।
আল্লাহ নিজে নবির প্রতি এতো শ্রদ্ধাশীল যে
তিনি তাঁকে ডেকেছেন “ইয়া আইয়ুহান-নাবি”, “ইয়া আইয়ুহাল-মুযযাম্মিল”, “ইয়া আইয়ুহাল-মুদ্দাসসির”, “ইয়া আইয়ুহার-রাসুল” বলে,
এমনকি যখন [কোরআনে] “মুহাম্মাদ” নামের উল্লেখ আসে, তিনি সাথে যোগ করেছেন “মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ”
(সূরা আস-সাফ:৬) – وَمُبَشِّرًا بِرَسُولٍ يَأْتِي مِن بَعْدِي اسْمُهُ أَحْمَدُ
তাই না?
(সূরা আল-আহযাব: ৪০) – مَا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِنْ رِجَالِكُمْ وَلَٰكِنْ رَسُولَ اللَّهِ
যেখানেই “মুহাম্মাদ” উল্লেখ করা হয়েছে সেখানেই “রাসুল”ও যোগ হয়েছে।
এবং মাত্র একবার আল্লাহ “মুহাম্মাদ”-এর সাথে “রাসুল” উপাধি যোগ করেন নি, সেটা হলো সূরা মুহাম্মাদ-এ, যেখানে আল্লাহ তাঁর নামটাকেই লক্ষণীয় করেছেন।
(QS. Muhammad: 2) – وَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَآمَنُوا بِمَا نُزِّلَ عَلَىٰ مُحَمَّدٍ وَهُوَ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ
এবং এখানে তাঁর নামের সাথে রাসুল যোগ না করার একটা বিশেষ কারণ আছে।
কিন্তু আল্লাহ কখনো তাঁর রাসুলকে [নাম ধরে ডাকেননি।]
অথচ আল্লাহ বলেছেন:
“يَا آدَمُ اسْكُنْ أَنْتَ وَزَوْجُكَ الْجَنَّةَ” (সূরা বাকারাহ:৩৫)
তিনি দাউদ (আঃ) কে ডেকেছেন “ইয়া দাউদ!”
আরবি ভাষায় “ইয়া” বলার অর্থ কাউকে ডাকা।
“يَا زَكَرِيَّا إِنَّا نُبَشِّرُكَ بِغُلَامٍ” (সূরা মারইয়াম: ৭)
“يَا عِيسَىٰ إِنِّي مُتَوَفِّيكَ وَرَافِعُكَ إِلَيَّ” (সূরা আলি-ইমরান: ৫৫)
ইয়া মুসা … “إِنَّنِي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا أَنَا ” (সূরা তাহা: ১৪)
প্রত্যেক নবিকে তিনি ডেকেছেন “ইয়া –” “ইয়া –” বলে।
কিন্তু যখন রাসুল ﷺ এর কথা আসে, তখন “ইয়া মুহাম্মাদ” বা “ইয়া আহমাদ” নয়, বরং “ইয়া আইয়ুহান নাবি”, “ইয়া আইয়ুহার রাসুল”
এখন ভাবুন, এই বেদুইনরা কোত্থেকে এসে দরজা ধাক্কাচ্ছেন আর বলছেন, “ইয়া মুহাম্মাদ! উখ্রুজ আলাইনা!”
আল্লাহ এটাতে এতোই ক্রুদ্ধ হলেন যে তিনি এই আয়াতটি নাজিল করলেন মুসলিমদের এই আদব শেখানোর জন্য।
প্রথমত, কক্ষনও নবীর আওয়াজের উপর তোমাদের আওয়াজ উঁচু করবে না।
মানে, আপনার মনে রাখা উচিত নবি ﷺ কীভাবে কথা বলতেন।
এবং যখন আপনি তাঁর সাথে কথা বলবেন, তখন নিজের গলার স্বর তাঁর উপর কোন ভাবেই তুলবেন না।
এর বর্তমান প্রয়োগ নিয়ে একটু পর বলছি, তার আগে আয়াতটির দ্বিতীয় অংশটিতে যাই –
وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ
তোমরা নিজেদের যেভাবে ডাকো সেভাবে তাঁকে ডাকবে না।
“ও ভাই! অ্যাই ব্যাটা! অ্যাই নোমান! একটু এদিকে এসো তো!”
তাঁকে এভাবে ঘুণাক্ষরেও ডেকো না। কারণ যদি এটা করো, তাহলে –
أَنْ تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ
তোমার সব নেক আমল কেড়ে নেওয়া হবে, সব শূন্য দিয়ে গুণ করা হবে।
আমি পরোয়া করি না তুমি বদরের বা উহুদের যোদ্ধা ছিলে কিনা, তুমি কি সাহাবীদের মধ্যে অন্যতম কিনা। এসব কিছুরই দাম থাকবে না, তোমার কোন ত্যাগেরই দাম থাকবে না [এগুলো সাহাবীদের বলা হচ্ছে], তোমরা যদি তোমাদের গলার আওয়াজ নবির উপর ওঠাও, এবং তাঁকে অন্য সবার মতো করে সম্বোধন করো, তাহলে তোমার কোন নেক আমলই গ্রহণযোগ্য হবে না।
وَأَنْتُمْ لَا تَشْعُرُونَ
“আর তুমি বুঝতেও পারবে না”
আপনি যতই হজ্জ বা উমরা করেন বা কোরআন পাঠ করেন না কেন,
আল্লাহর রাসুল ﷺ কে সম্মান করাটা আমাদের ধর্মের এতোই জরুরী একটি অংশ যে, আপনি এটাকে দাম না দিলে আপনার ইসলামই গ্রহণযোগ্য হবে না।
এটা ইসলামের কোন ছোটখাটো বিষয় নয়, বরং এটি গুরুতর বিষয়গুলোর একটি।
এখন দেখি আওয়াজ উঁচু না করার আমাদের যুগের প্রেক্ষাপটে কি অর্থ দাঁড়ায়,
সাহাবাদের সময়ে এটার অর্থ তো স্পষ্ট বোঝাই যাচ্ছে।
কিন্তু আমাদের সময়ে? আমরা কীভাবে নবির আওয়াজের উপর আওয়াজ ওঠানো থেকে বিরত থাকবো?
একটা প্র্যাকটিকাল উদাহরণ দেই।
আপনি কোন বিষয়ে এক ভাই বা বোনের সাথে কথা বলছেন, এবং সে একটি হাদিসের উল্লেখ করলো।
হয়তো এই মানুষটির হাদিস বর্ণনা করার যোগ্যতা নেই, তারপরও করছে।
সে বলছে, “বুখারি এটা বলেছেন”, বা “বুখারিতে একটি হাদিস আছে”, “সাহিহ মুসলিমে হাদিস আছে।“
“ইবনে মাজা-এ হাদিস আছে বা আবু দাউদে আছে”, কোন এক হাদিস বই থেকে,
সে নবি ﷺ এর কোন বাণীর বর্ণনা করলো।
হয়তো আপনারা দুজনেই কলেজের ছাত্র। আপনাদের কেউই হাদিসের শুদ্ধতা নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা রাখেন না। আপনারা মুহাদ্দিস নন। কিন্তু যেহেতু আপনি এটা শুনলেন যে সে যা বলছে তা আসলেই নবির বাণী হবার নুন্যতম সম্ভাবনাও আছে,
এমনকি যদি সে হাদিসটাকে ভুল প্রেক্ষাপটে ব্যবহার বা অপব্যবহারও করে থাকে,
তাহলে নিজের মতকে নত করুণ যতক্ষণ না আপনি এই ব্যাপারে ভালো করে জানছেন। বলুন, “আমি কিছু বলবো না। তুমি একটা হাদিস বলেছ। তুমি ঠিক। আমি আরও ভালো করে অনুসন্ধান করবো। কিন্তু তার আগে আমি আর কিছুই বলবো না। আমি পিছু হটলাম।“
মানে, আপনি এ ধরণের ঝগড়া বাঁধবেন না: “এই হাদিসটার কথা বলছ কিন্তু ওই হাদিসটা? এই হাদিসটার ব্যাপারে জানো কিন্তু ওইটার ব্যাপারে কী বলবে?” না, একদম না! এটা কোনো প্রতিযোগিতা নয়। ছেড়ে দিন। শুধুমাত্র রাসুল ﷺ এর প্রতি সম্মান জানিয়ে, ছেড়ে দিন, কিছুই বলবেন না।
একবার আমি সালাত পড়ছিলাম। আমার সালাত পড়ার ধরণ দেখে আমার পাশের ভাই খুব রেগে গেলেন। আমার সালাত শেষ হলে আমি তাঁকে বললাম, “আসসালামু আলাইকুম।“
তিনি: “আমাদের সালাতের পর সালাম দেওয়া উচিত না! এটা সুন্নাহর খিলাফ!”
আমি: “ঠিক আছে, আমি দুঃখিত।“
তিনি বললেন, “আপনি ভুল ভাবে সালাত পড়েছেন! আপনার হাত ভুল জায়গায় ছিল! হাত থাকা উচিত এখানে কারণ এরকম একটা হাদিস আছে।“
আমি সেই হাদিসটা পড়েছি, আমি জানি সেটার মানে কি। কিন্তু জানেন আমি তাঁকে কি উত্তর দিলাম?
“আপনি ঠিক বলেছেন। আমি দুঃখিত।“
ব্যাস এতটুকুই। আমি ছেড়ে দিলাম।
কেন? কারণ আমি একটি হাদিসকে একটি দ্বন্দ্বের অছিলায় পরিণত করতে চাই না।
আমি আমার রাসুল ﷺ কে এতো ভালোবাসি যে তাঁর বানীকে নিজের বা অন্য কারো অহংকার বৃদ্ধির বা তর্কের বস্তু হিসেবে ব্যাবহার করতে চাই না।
আমার মনে হয় এটা ঠিক না।
আমার মন সায় দেয় না।
তাই, আমাদের আওয়াজ উঁচু না করা মানে রাসুলের উচ্চারিত শব্দগুলোকে কুৎসিত নোংরা তর্কযুদ্ধের অস্ত্রে পরিণত হতে না দেওয়া।
গবেষণা করা অন্য ব্যাপার।
জ্ঞানসম্পন্ন সমালোচনা করা অন্য ব্যাপার।
আমরা বেশীরভাগই স্কলার না, গবেষক না।
তাই যখন আপনি নবি ﷺ এর কোন বাণী শুনবেন, সেটার প্রতি সম্মান জানিয়ে পিছিয়ে যান। আপনার মতকে ছেড়ে দিন যতক্ষণ না আপনি আরও ভালো করে জানছেন।
অনেক সময় কোন হাদিসের অনুবাদ পড়ে মনে হতে পারে, “এর কোন অর্থ কীভাবে হয়?”
“তিনি কীভাবে এমনটা বলতে পারলেন?” “তিনি কীভাবে এমনটা করলেন?”
নিজের মতকে নত করতে শিখুন।
এখানে আল্লাহর রাসুলের কথা হচ্ছে। তিনি যদি করে থাকেন, তাহলে নিশ্চয় কোন কারণ আছে। আর জেনে নিন, তিনি কিছু করে থাকলে, এর থেকে ভালো কাজ আর কিছুই নেই। তাঁর ব্যাবহারের থেকে যৌক্তিক আর কোন ব্যাবহার হতে পারে না।
এটাই আমরা আমাদের রাসুলের ব্যাপারে বিশ্বাস করি। ﷺ
তিনি কারো কোন সমালোচনার অধীন নয়, আমার আপনার তো বাদই দিলাম।
নবি ﷺ এর কাজ ও কথার সামনে নিজের মতকে নিচু করুণ।
যারা সত্যিই তাঁকে সম্মান করেন, আল্লাহ যেন আমাদের তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করেন।
এভাবে আমাদের সব আমল সংরক্ষিত থাকবে।
কাজ ও কথার আগে জ্ঞান
একজন গণহত্যাকারি, সে নিজের দু-হাত দিয়ে ৯৯ জনকে খুন করেছিল, গলা টিপেছিল, ক্ষতবিক্ষত করেছিল। নিজের হাত দিয়ে ৯৯ জন কে মারা! ৯৯ তো দূরের কথা, রাস্তাঘাটে ঘুরে ফিরে ৩০ বা ৪০ জনকেও খুন করেছে এমন কোন খুনির কথা আধুনিক যুগের ইতিহাসে অন্তত শোনা যায়নি। [কুক্ষাত খুনি] জ্যাক দ্যা রিপারের মোট খুনের সংখ্যা ২০ এর ঘরে, আর সেটাকেই বিরাট ব্যাপার মনে করা হয়।
সেখানে এই ব্যাটার কুকাজের সংখ্যা ৯৯!
তারপর সে তওবা করে, এবং একজন আবেদের কাছে যায়। গিয়ে বলে, “আমি আমার এই দুটি হাত দিয়ে ৯৯ জন মানুষ খুন করেছি। আল্লাহ কি আমায় কোনদিন ক্ষমা করবেন?”
এই শুনে আবেদ বলেন, “৯৯ জন! আল্লাহ কক্ষনও তোমাকে ক্ষমা করবেন না।“
তারপর খুনি রাগে অন্ধ হয়ে ওই আবেদকে দিয়েই ৯৯ কে ১০০ তে পরিণত করে। মানে আবেদকে খুন করে।
সে আবারও তওবা করে, তারপর সে একজন আলেম বা জ্ঞানীর কাছে যায়। গিয়ে বলে, “হে আলেম, আমি ১০০ জনকে খুন করেছি। আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করতে পারেন?”
আলেম বলেন, “তোমার এবং তওবার মাঝে আসে এমন কার সাধ্য আছে?” *
[মানে,] আল্লাহর রহমতকে তোমার কাছে পৌছাতে আটকায় এমন কার বুকের পাটা? আল্লাহর রহমতের ওপর কার জোর থাকতে পারে? অবশ্যই আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করতে পারেন!
কিন্তু তুমি একটা খারাপ জায়গায় বাস করছো। এমন জায়গা যেখানে খুন আর খারাপ কাজ করার লোভ তোমাকে টানে, যেখানে কোন আইন কানুন মানা হয় না, তাই তো খুনিও বেঁচে বের হয়ে যায়। কোন অনুশাসন ব্যাবস্থা নেই এমন।
তাই আলেম বলেন, “তুমি অমুক এক জায়গায় চলে যাও, সেখানে গিয়ে আল্লাহর ইবাদত করো।
এরপর হাদিসটিতে আরও আছে যে সেই ভালোর দেশে যাবার পথিমধ্যেই লোকটি মারা যান, তারপর রহমতের ফেরেশতারা এবং আজাবের ফেরেশতাদের তাকে নিয়ে তর্ক বাধে, অবশেষে রহমতের ফেরেশতারাই তার রূহ নিয়ে যান, কারণ সে তো তওবা করতে চেয়েছিল, যদিও সে ভালোর দেশে পৌঁছতে পারেনি, তবু আল্লাহ তা’আলা তার মনের পরিবর্তন দেখেছেন।
এই হাদিসটি আবারও প্রমাণ করে নিছক ইবাদতের থেকে জ্ঞানের মর্যাদা বেশী। ইবাদতের আগে জ্ঞানের দরকার। তাই তো ইমাম বুখারি তার বই “সহিহ”, যে বই কোরআনের পর সবচেয়ে বরকতময় এবং বিশুদ্ধ বই, সেখানে একটি অধ্যায়ের নামই রেখেছেন “কাজ ও কথার আগে জ্ঞান”।
মুখ খোলার আগে সঠিক জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়।
কোন কাজ করার আগে সঠিক জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়।