●| প্রশ্নঃঐসব লোকদেরকে আপনি কী বলবেন, যারা বলে, কুর’আন একটি আদি আমলের বই যার কিনা আধুনিক যুগে কোনো দরকার নেই ?
●| উত্তর দিচ্ছেন নুমান আলী খানঃ
আমি আপনাদের সাধারণ কোন উত্তর দিচ্ছি না বরং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে উত্তর দিচ্ছি।
যখন আমি কলেজে ছিলাম, একটা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম।
২ বছর আমি নাস্তিক ছিলাম, ২ বছর! একদম পরিপূর্ণ, নিখাদ নাস্তিকতা।
ফিলোসফি (দর্শন) নিয়ে আমি একদম ডুবে ছিলাম।
আর আপনি জানেন কেন তরুনরা ফিলোসফিপড়ে? কারণ তাদের ধর্মের প্রতি এলারজী আছে। এটাই হল ভিতরকার কাহিনী। তারা দর্শন পড়ে যাতে করে তারা আরও হাতিয়ার পায়, যা দিয়ে তারা আক্রমণ করে সেই সব মানুষকে, যারা কোনো একটা ধর্ম অনুসরন করে। ধর্ম নিয়ে আমার নিজের যত দার্শনিক সমালোচনা ছিল,
সবগুলোই ধ্বংস করে দিয়েছে কুর’আন। সবগুলোই। আমার আর কিছুই বাকি ছিল না। একটাও না।
যখন কেউ বলে কুর’আন হল আদি আমলের, এবং তা আমাদের সময়ের যৌক্তিক সমস্যাগুলোর সমাধান দেয় না তাদের প্রতি আমার একমাত্র জবাব হল, আপনি কুর’আন পড়েননি। এটাই আমার একমাত্র জবাব। আপনি পড়েননি। আপনি জানেন না এটি কী বলছে। অথবা, আপনি মনে করছেন যে, আপনি পড়েছেন।
যেমন, আমার এক পাদ্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল, যে আমাকে বলছিল, “আমি কুর’আন পড়েছি।” আমি বললাম, “না আপনি পড়েননি। এটা কি আপনি পড়েছিলেন?” “এই অংশটা কি আপনি পড়েছিলেন? না, আপনি পড়েননি।” সে আমাকে বলছিল, “কুরআনে কোথাও বলা নেই যে গড হল ভালোবাসার প্রতীক।
আমাদের কাছে গড হল ভালোবাসা।”
তাই??
“ওয়া হুয়া গফুরুল ওয়াদুদ”- সুরাতুল বুরুজ।
যে তিনি ক্ষমাশীল, স্নেহময়, যিনি অত্যাধিক ভালোবাসেন।
আর সে হেটে চলে গেল… কী পড়েছেন আপনি!
সত্যি আমার আর কোনো জবাব নেই যে, আপনি কুরআনকে কোনো সুযোগ দেননি। আপনি অন্যান্য ধর্মের সাথে একে মিশিয়ে ফেলেছেন, যাতে লোকাচার আছে, কল্পনা আছে, আছে কুসংস্কার। আর আপনি ভাবছেন: সব ধর্মই একই।
এটা একটা রোগ,সেই আগেকার আমল থেকে চলে আসা বুদ্ধিগত চিন্তার রোগ যে, সব ধর্মই মানুষের তৈরি। আর এগুলোকে একইভাবে আমাদের পর্যালোচনা ও গবেষণা করতে হবে যে এগুলো শুধুই লোকাচার আর সংস্কৃতি থেকে এসেছে, যে তাদের কোনো বুদ্ধিগত ভিত্তি নেই।
ইসলাম আলাদাভাবে ভাবতে আপনাকে বাধ্য করে। আমরা প্রমানের উপর দাড়াই।
বরং আমরা অন্য সবাইকে চ্যালেঞ্জ করছি যে, আমাদের বিপক্ষে প্রমান নিয়ে আসো।
প্লিজ নিয়ে আসুন। পড়ুন, আর সমালোচনা করুন।
আমরা অপেক্ষা করছি। এটা কুরআন সবাইকে করতে বলছে। সুবহানাল্লাহ।
অনুবাদ করে দিয়েছেনঃ মুনেম চৌধুরী