কোরআন কেন মানুষের সৃষ্টি হতে পারে না – ২য় পর্ব

কোরআন কেন মানুষের সৃষ্টি হতে পারে না – ২য় পর্ব

 

আমরা কেন কোর’আনে বিশ্বাস করি

কোরআনের চ্যালেঞ্জ বলতে কী বুঝায়?

কোরআনের চ্যালেঞ্জ ছিল ‘কোরআনের অনুরুপ কিছু নিয়ে আস’। আর এই ‘চ্যালেঞ্জ’ বলতে অনেক কিছু বুঝায়, কেবল কিছু শব্দের সমষ্টিযুক্ত বাক্য নয় যা অনেক সমালোচনাকারীরা মনে করে-এটা নিতান্তই সরল ও অবুঝ উপলব্ধি।
এই চ্যালেঞ্জ অনেক কিছুই হতে পারে যেমন

১। কোরআনের সৌন্দর্যের মত সৌন্দর্যময় কিছু তৈরি করা।
২। কোরআনের মত শক্তিশালী জিনিস তৈরি করা।
৩। কোন ব্যক্তির উপর কোরআনের যে প্রভাব সেটা তৈরি করা।
৪। একটা সমাজের উপর কোরআনের যে প্রভাব পরিলক্ষিত হয়, সেরূপ প্রভাব সৃষ্টি করা।

অর্থাৎ এই চ্যালেঞ্জ এক ধরণের নয়, অনেক কিছুর হতে পারে।

এর মধ্যে একটি চ্যালেঞ্জ হল–

কোরআন কত বছরে অবতীর্ণ হয়েছিল? দীর্ঘ ২৩ বছরে।
আর এই ২৩ বছরে কোরআন কী করেছিল আরব সমাজে? কোন ধরণের পরিবর্তন এনেছিল তাদের মাঝে?

ঐতিহাসিক দৃষ্টি…

কোরআন নাযিল হয়েছিল দীর্ঘ ২৩ বছরে। আর এই কোরআনের প্রভাবে কি হল সেই সমাজ ও তার মানুষের উপর, তা একবার দেখুন…

  • ঐ সমাজ বহু ঈশ্বরবাদী সমাজ থেকে পরিবর্তিত হয়ে এক আল্লাহতে ইবাদাতকারী সমাজে পরিণত হল। একটা সমাজ পূর্ণরুপে পাল্টে গেল, একেবারে পূর্ণরুপে।
  • তাদের মধ্যে মানুষের মর্যাদায় কোন বৈষম্য রইল না …কালো, সাদা, আফ্রিকান, আরবী, অনারবী সবাই একই কাতারে নামাজ পড়তে শুরু করল।
  • তারা ভাবত নারীরা কিছুই না, কিন্তু সেই পরিবর্তিত সমাজের নারীরাই হল সর্বাপেক্ষা সম্মানিত।
  • আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ক্ষেত্রে ‘তাকওয়া’(সদা আল্লাহর উপস্থিতির চিন্তা) শব্দটা ব্যবহৃত হয়নি একমাত্র মায়ে’দের ছাড়া। আল্লাহ মায়েদের এত মর্যাদা দিলেন!
  • সকল গোত্র সমান হয়ে গেল।
  •  তাদের ব্যবসা, খাওয়া-পান করার মধ্যে সীমাবদ্ধতা আসল। তারা হালাল ব্যবসা ছাড়া অন্য কিছু ত্যাগ করল।
  • পিতা-মাতার সম্পর্ক কেমন হবে, সন্তানদের সাথে কেমন সম্পর্ক হবে, আত্মীয়দের সাথে কেমন সম্পর্ক হবে, বন্ধুদের সাথে কেমন হবে সম্পর্ক, অমুসলিমদের সাথে কেমন
  • সম্পর্ক ও ব্যবহার হবে, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কেমন হবে—এসবই ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী হতে থাকে।
  • সরকার ব্যবস্থা কিভাবে চলবে, গভর্নরের সাথে মানুষের সম্পর্ক কি, সরকার-জনগন কিভাবে একে অপরের প্রতি আচরণ করবে- এর সবই পরিবর্তিত হল।
  • ইসলাম আসার পরে নারীদের পোশাক-আশাকে আমূল পরিবর্তন আসল, তারাই হল সর্বাপেক্ষা লজ্জাশীলা।

— আরও যেসব পরিবর্তন আসল…

• তাদের ব্যক্তিগত খাওয়ার পদ্ধতি সেটা পরিবর্তিত হয়ে গেল,
• স্পিরিচুয়াল দিক পরিবর্তিত হল,
• আবেগ পরিবর্তিত হল,
• কি ভালোবাসে সেটা পরিবর্তিত হল,
• কি ঘৃনা করে সেটাও পরিবর্তি হল,
• কথাবার্তার ধরণ পরিবর্তিত হল,
• কিভাবে চলাফেরা করে সেটা পরিবর্তি হল,
• বিবাহের সিস্টেমে পরিবর্তন আসল,
• অন্যের সাথে কিভাবে কথা বলে সেটাতেও পরিবর্তন আসল,
• মৃত্যুকে কিভাবে দেখবে সেক্ষেত্রে পরিবর্তন আসল,
• কিভাবে সম্পদ বন্টন করবে সেটাও পরিবর্তন হল,
• জীবনের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কি, সেটা পরিবর্তিত হয়ে গেল,
• ব্যবসা, অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসল,
• সমাজের সবার সাথে ব্যবহার ও ইন্টারাকশনের পরিবর্তন আসল,
• রাজনৈতিক জীবনে পরিবর্তন আনল।

অর্থাৎ,

জীবন, ভালোবাসা, ঘৃণা, চরিত্র, ব্যবহার, তাদের কথাবার্তা, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজবিদ্যা সবই পরিবর্তিত হল !!! সবই। আর গোটা পরিবর্তনটাই হয়েছে মাত্র ২৩ বছরে।

একটা পূর্ণ সমাজের এসব কিছুই মাত্র ২৩ বছরে পরিবর্তিত হয়েছিল। আপনি পারলে পৃথিবীর ইতিহাসে দেখান যেখানে, একটি বই, একটি মেসেজ, সে সমাজের মানুষ যারা এটা পড়েছিল, যারা এটা অনুভব করত—সবাইকে ২৩ বছরে পরিবর্তন করেছিল তাদের ‪#‎সমস্ত_জীবনকে‬!! কোন সমাজ এত দ্রুত পরিবর্তিত হয় না। পৃথিবীর কোন সমাজ এভাবে ‪#‎পূর্ণরুপে‬ পরিবর্তিত হয় নি। কোরআনের পূর্বেও না, পরেও না।

আপনি পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম দেখাতে পারবেন না, এটা হয় নি।

কেউ বলতে পারে এরকম ‘ঘটতে পারে’ ভবিষ্যতে। আপনি “ঘটতে পারে” এরকম দর্শনে বাস করতে চান?!,চালিয়ে যান, কিন্তু ইসলাম “ঘটতে পারে” বা “ঘটবে না” এরকম দর্শনে বিশ্বাস করে না। ইসলাম যেটা প্রমোট করে সেটা হল “বাস্তবতা কী”, “কী ঘটেছে”। আমাদের বিচারিক দৃষ্টি ‘যদি হয়’ (what if) এর উপর নয়, বরং ‘এখন বাস্তবতা কি’ (what is) এবং সমস্ত বিশ্বে কি হচ্ছে, কি ঘটছে তার উপর। পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম পরিবর্তন কখনও হয় নি।

অন্যান্য রেভুলেশনে পরিবর্তন আসতে অনেক অনেক সময় লাগে, অনেক। আর সে পরিবর্তন আসে কেবল একটা বা দুইটা ক্ষেত্রে…পূর্ণ সমাজের পরিবর্তন নয়। হয়ত সেটা ধর্মীয় পরিবর্তন (রাশিয়ান রেভুলেশন), বা প্রযুক্তিগত পরিবর্তন (ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলেশন) বা দার্শনিক রেভুলেশন (ফ্রেঞ্চ রেভুলেশন)…কিন্তু পূর্ণ সমাজের পরিবর্তন হয় না…এমনকি একটা দিক পরিবর্তিত হতেই অনেক অনেক সময় লাগে…সময়ের গতিতে অনেক দীর্ঘ সময়ের সাথে অন্যান্য জিনিস পরিবর্তিত হতে পারে কিন্তু এক সাথে তাদের একটা বা দুইটা জিনিসের পরিবর্তন আসে…হয়ত অর্থনৈতিক, ধর্মীয় বা রাজনৈতিক আর দিন শেষে অন্যান্য জিনিস আগের মতই অপরিবর্তিত থাকে (ভালোবাসা, জীবন দর্শন, চিন্তা, জীবন-মৃত্যু ভাবনা, ঘৃণা, অভ্যাস)।

আপনি যদি বৈশ্বিক রেভুলেশনগুলো পড়েন তবে দেখবেন কেবল আইডিয়াই সমাজে প্রবেশ করতে অনেক দীর্ঘ সময় লাগে। এমনকি সাধারণত যারা আইডিয়ার প্রবক্তা-দার্শনিক বা লেখক, তারা কেউ যুদ্ধের ময়দানে থাকে না। আইডিয়ার প্রবক্তা ও পরিবর্তন আনয়নকারীরা ভিন্ন থাকে।
কিন্তু কোরআনের ক্ষেত্রে কি দেখেন?

যিনি ওহী মানুষের কাছে দেন সেই নবী (সা) বা পশ্চিমারা যাকে দার্শনিক বলেন, সেই একই মানুষ ৪০ বছরে নবুয়াত পান এবং তাঁর জীবদ্দশায়ই একটা সমাজের পূর্ণ পরিবর্তন আনেন, যিনি আইডিয়া বিচ্ছুরণকারী এবং আইডিয়াকে বাস্তবায়নকারী। পৃথিবীর ইতিহাসে এটা আর কখনই ঘটেনি। অন্যান্য যেসব রেভুলেশন হয়েছে, সেখানে আইডিয়াদাতারা হয়ত দার্শনিক, সাহিত্যিক বা লেখক ছিলেন, কিন্তু তারা ময়দানে ছিলেন না। তাদের চিন্তার দ্বারা পরিবর্তন এসেছে অনেক বছর পরে, তাও একটা বা দুইটা ক্ষেত্রে…পূর্ণ সমাজের পূর্ণাংগ সব জিনিসের পরিবর্তন নয়। কিন্তু ইসলামের ক্ষেত্রে এটা সম্পূর্ণ ভিন্নচিত্র…কারণ মানবিক দিক থেকে এই পরিবর্তন অসম্ভব। এত ক্ষুদ্র সময়ে মানুষ এধরণের সামগ্রিক পরিবর্তন আনতে পারে না, মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়, এমনকি এর কাছাকাছিও না।

আর কোরআনের চ্যালেঞ্জ মানে- এর সব কিছুই ঐ চ্যালেঞ্জের অন্তর্ভূক্ত!! কেবল আক্ষরিক সূরা নয়, একটা সমাজের এসব কিছুর পরিবর্তনই ওই চ্যালেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত। আর সেটা হয়েছে কোরআনের মাধ্যমেই।

আরেকটি বিষয় হল মানব রচিত কোন কিছুই পারফেক্ট নয়। সুইডিশ ডেমক্রেসি, আমেরিকান ডেমক্রেসি, কানাডিয়ান ডেমক্রেসি ইত্যাদির রকমফের রয়েছে। কোন পূর্ণাংগ গনতন্ত্র নেই। একেকজনের একেক ধরণের সিস্টেম চালু রয়েছে। যেমন পূর্ণাংগ ধনতন্ত্র বা ক্যাপিটালিজমে মার্কেট সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করবে। কিন্তু আদৌ কি তা করে? করে না। সরকারের নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থা, কপিরাইট ল, মার্কেট নির্ধারিত করে দেওয়া ইত্যাদি রয়েছে অর্থাৎ পূর্ণাংগ আইডিয়ার বাস্তবায়ন নেই। অন্যভাবে বলতে গেলে এদের পিউর সিস্টম বাস্তবে নেই।

কিছু মানুষ বলাবলি করে যে ইসলাম যদি এতটাই নিখুঁত হয় তবে এত স্বল্প সময় স্থায়ী হল কেন(খুলাফায়ে রাশিদিন পর্যন্ত) এবং এটার অবনতি ঘটল কেন?। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিপরীত আর্গুমেন্ট হল পৃথিবীর ইতিহাসে ইসলাম ই একমাত্র একসেট আইডিয়া যা ১০০% কার্যকরী হয়েছিল যা তাঁর নির্ধারিত সব দিক…আংশিক বা অল্প নয়। কিন্তু অন্যান্য মানবরচিত মতবাদ কখনই পূর্ণাংগ বাস্তবায়িত হয়নি এত স্বল্প সময়ে।

এবার দেখুন সেই কোরআনে অসাধারণ মু’জিযা। কোরআন রাসূল (সা) কে দেয়া হয়েছিল।

• তিনি পড়তে বা লিখতে জানতেন না। কোরআন বই আকারে ছিল না। সাহাবারা যখন কোরআনের কথা ভাবতেন, তারা রাসূল সা কে ছাড়া এটা কল্পনা করতে পারতেন না। তারা কোরআন বলতে কেবল রাসূল সা এবং তাঁর ভয়েস বা শব্দোচ্চারণকে বুঝতেন…কোন বই নয়- বই জিনিস্টা আমরা এখন ভাবি রাসূল সা কে ছাড়াই…কিন্তু এটা সাহাবাদের কল্পনায়ও ছিল না। তাদের কাছে মেসেজ বা বার্তা এবং বার্তাবাহক অভিন্ন ছিল, পার্থক্য করার মত ছিল না।

• কোরআন ছোট্ট ছোট্ট করে নাযিল হয়, তাও আবার ২৩ বছরব্যাপী,

• তা কোন ডাটাবেইজে ছিল না,

• কোন সার্চ ইঞ্জিনে ছিল না,

• আমরা না হয় কম্পিউটার, ইন্টারনেট, রিডার আসার পর শব্দতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করতে পারি এবং কোন জিনিস কোরআনে কতবার এসেছে তা সার্চ করে বের করতে পারি…কিন্তু ঐসময় একজন হাফেজ কি এটা বলতে পারত সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্ত পড়ে?…এভাবে সম্পূর্ণ কোরআন কতবার পড়ে কতবার কি এসেছে সেটা বলা কি আদৌ সম্ভব ছিল?…না, এটা সম্ভব নয়। কারণ কেউ একজন দীর্ঘ ২৩ বছর বকৃতা দিয়েছে এবং তাঁকে যদি জিজ্ঞেস করেন সে এই শব্দ তাঁর ২৩ বছরে কতবার বলেছে তা কি কখনও বলা সম্ভব? না, এটা কোন মানবের পক্ষে বলা অসম্ভব।

• আর ঐ সময় কোন শব্দ কতবার এসেছে এরকম কোন গেইম বা সাহিত্যিক মাপ ছিল না।

এখন কোরআন নাযিলের কয়েকশ বছর পর, যখন এটা আমাদের কাছে বই আকারে রয়েছে, কম্পিউটারাইজড করা আছে তখন আমরা নীচের কিছু জিনিস পাই…

কোরআনে
‘দুনিয়া’ শব্দটা এসেছে ১১৫ বার
‘আখিরাত’ শব্দটা এসেছে ১১৫ বার
‘ফেরেশতা’ শব্দটা এসেছে ৮৮ বার
‘শয়তান’ শব্দটা এসেছে ৮৮ বার
‘জীবন’শব্দটা এসেছে ১৪৫ বার
‘মরণ’ শব্দটা এসেছে ১৪৫ বার
‘ভালো কাজ’ এসেছে ১৬৭ বার
‘মন্দ কাজ’ এসেছে ১৬৭ বার
‘অবিশ্বাস’ এসেছে ১৭ বার
‘বিশ্বাস’ এসেছে ১৭ বার
‘ইবলিস’ নাম এসেছে ১১ বার
ইবলিস থেকে ‘আশ্রয় চাওয়া’ এসেছে ১১ বার(অথচ নামের পাশে সর্বাবস্থায় আসে নি!!!!)

“তারা বলে” এসেছে ৩৩২ বার
“বল” এসেছে ৩৩২ বার
“মাস” এসেছে ১২ বার
“দিন” এসেছে ৩৬৫ বার
“নামাজ” এসেছে ৫ বার!!!!

আপনি একবার একটা মিলে গেলে বলতে পারেন কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে, দুইবার হলেও বলতে পারেন কোনভাবে মিলে গেছে কিন্তু এতবার কিভাবে সম্ভব দীর্ঘ ২৩ বছরের বক্তৃতায়?! এটাই প্রমান করে এটা মানবরচিত কোন বই নয়, কোন মানবের পক্ষে এভাবে রচনা করা অসম্ভব, তাও আবার দীর্ঘ ২৩ বছরে !!!

এটা কোন মানবের পক্ষে অসম্ভব !!! কারণ

– কোরআন কোন বই আকারে ছিল না

– দীর্ঘ ২৩ বছরের বক্তব্যে (লেখায় নয়) কোন শব্দ কতবার বলা হয়েছে তা পূর্ণটা মুখস্ত রাখা অসম্ভব!!

– আরবদের মাঝে কোন শব্দ কতবার এসেছে এরকম কোন গেম ছিল না…আর মুখস্ত বা বক্তব্যে, তাও দীর্ঘ ২৩ বছরের বক্তব্যে, ৬০০০ এর উপর আয়াতে, এটা গনণা করা অসম্ভব (এমনকি কম্পিউটারে পড়ার উপযোগি করার আগে এটা কল্পনাতেও ছিল না)।

– একশব্দ এসেছে সমস্ত জীবনে ৫ বার (৫ ওয়াক্ত সালাত-যা প্রতিদিন পড়া হয়!), আবার দীর্ঘ ২৩ বছরের জীবনে মাস কেন মাত্র ১২ বার আসবে অথচ অন্যান্য জিনিস অনেক বেশিও এসেছে!!! অথচ কোনটাই অমিল নয়!!
এটাই প্রমান করে কোরআন কোন মানবের রচিত গ্রন্থ নয়!!! এটা কোন মানুষের পক্ষে রচনা করা অসম্ভব।

– কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় দীর্ঘ ২৩ বছরে কোন শব্দ কতবার বলেছে এটা মনে রাখা! তাও এমন মানবের পক্ষে যিনি নিজেই লিখতে জানতেন না বা নিরক্ষর থাকার কারণে পড়তেও জানতেন না!!!

এছাড়া কোরআনের অধিকাংশ নাম অনারবী (৫০টির মত), এর মাঝে অনেক ভাষা মৃত ছিল (মিশরীয় বা গ্রিক ইত্যাদি ) কিন্তু সেসব শব্দের অর্থও কোরআন নিখুতভাবে করেছে। অথচ সে সব শব্দের অর্থ তখন কেউ জানত না ঐসব ভাষা মৃত থাকার কারণে…আর মুহাম্মাদ (সা) এর তো জানার কথাই ছিল না, কারন তিনি পড়তে বা লিখতে কোনটাই জানতেন না !!!!!

নেওয়া হয়েছে “Quran for Young Adults”, Day 11, Session ২ (Bayyinah.tv) থেকে।

১ম পর্বের লিংকঃ কোরআন কেন মানুষের সৃষ্টি হতে পারে না – ১ম পর্ব