আজকের খুতবায়, ইনশাআল্লাহু তা’য়ালা, আমি আপনাদের সাথে আমাদের দ্বীন এর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রসঙ্গে বলব। যে সম্পর্কে কুর’আনে বহুবার বলা হয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, অন্ততঃ আমার জানা মতে, অবশ্যই আল্লাহ আযযা ওয়াযাল ভাল জানেন, আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সাধারন মুসলিমরা বিশেষতঃ এই বিষয়টিতে বেশ বিভ্রান্ত (কনফিউজড), আর যে বিষয়টি কি না আমাদের ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত। কেননা এটা আমাদের কথাবার্তায় চলে আসে এবং ব্যাপারটি নিয়ে অনেকেই অনেক কষ্ট পেয়ে থাকেন শুধুমাত্র ঠিকমত এ বিষয়টি না বোঝার কারণে।
আর তাই আজকের খুতবার বিষয়টি হলঃ
“কেন বিপদাপদ ঘটে? কেন (জীবনে) বিপদাপদ আসে?”
আর আমরা যদি এই বিষয়টিকে আমাদের ঈমানের অংশ হিসেবে না দেখি, তখন আমরা অনেক সময় বিপদগ্রস্ত কাউকে এমন কিছু বলে বসি, যা কি না তাকে আরও বেশী কষ্ট দেয়।
উদাহরণস্বরূপ, এইতো ক’দিন আগেই আমি কথা বলছিলাম আমার এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের সাথে। কথা হচ্ছিল আমাদের প্রয়াতঃ দাদীকে নিয়ে। উনি মারা গেছেন (আল্লাহ ওনাকে রহম করুক)। মারা যাওয়ার আগ দিয়ে উনি অনেক কষ্ট পেয়েছেন। তো আমাদের পরিবারেরই এক চাচাতো ভাই (কাজিন) এর ধারণা হল, ওনার এই মৃত্যুকষ্ট পাওয়ার কারণ, উনি যখন অল্পবয়সের ছিলেন তখন কোন এক চাচী বা কারও একজনের সাথে ভীষণ খারাপ ব্যবহার করতেন! আর সেজন্যই আল্লাহ ওনাকে মারা যাওয়ার আগে এত কষ্টের ভেতর দিয়ে নিয়েছেন!
তারা এসব কথাচ্ছলে বলে। কথার কথায় বলে ফেলে। কিন্তু আসলে প্রথমতঃ এধরণের কথা খুবই বেদনাদায়ক, আর কাউকে নিয়ে এমন কথা বলা কতটুকু ন্যয়সঙ্গত যে আল্লাহ অমুক কারণে তাকে শাস্তি দিচ্ছেন, বিশেষত এমন কাউকে নিয়ে বলা যিনি ইতোমধ্যে মারা গিয়েছেন। সত্যি বলতে কী, আমি খেয়াল করে দেখলাম, আমাদের পারস্পরিক কথাবার্তায় আমরা অহরহ এধরণের কথা বলে থাকি একজন আরেকজনকে।
“জানো, কেন তোমার এমন হচ্ছে?? কারণ, আল্লাহ তোমার প্রতি নারাজ!”
এমনকী আমি বাবা-মাদেরকেও এধরনের কথা ব্যবহার করতে দেখেছি বাচ্চাদের সাথে।
“জানো, কেন তুমি সিঁড়ি থেকে পড়ে গেলে? কারণ কালকে যে তোমাকে নাস্তা শেষ করতে বলেছিলাম আর তুমি কর নাই, সেজন্য আল্লাহ তোমাকে শাস্তি দিলেন !! এজন্যই তুমি ব্যথা পেলে, কারন তুমি আমার কথা শোননি!”
স্বামী-স্ত্রী পরস্পর এধরনের কথা ব্যবহার করে আক্রমন করে একজন আরেকজনকে। একজন আরেকজনকে কথা শোনায়। আর এই বিষয়গুলো কি না আমাদের ঈমান এর সাথে সংশ্লিষ্ট!! আর তাই আমাদের কে একদম ঠিকমত, খুব ভালভাবে বুঝতে হবে বিষয়টি।
তো আমি যখন বলছি বিপদাপদ, আমি শুধুমাত্র ছোটখাট বিপদের কথা বলছিনা। আমি ছোট, বড় সবধরনের বিপদাপদ নিয়েই বলছি। আবার আমি শুধু সেসব ঘটনার কথাও বলছিনা যেগুলো আমাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে ঘটে থাকে। কারণ ব্যক্তিগতভাবে যেমন কারও, আল্লাহ না করুক, হয়ত একটা গাড়ি দূর্ঘটনা ঘটল, কারও হয়ত একটা দুরারোগ্য অসুখ ধরা পড়ল, কারও বা হয়ত প্রয়োজন পড়ল একটা অস্ত্রোপচার এর, কারও হয়ত নিজ পরিবারের কাছের মানুষ মারা গেল, কাউকে হয়ত শেষমেষ হাসপাতালে ভর্তি হতে হল, অথবা কেউ চাকরী হারাল এবং অর্থকষ্টে পতিত হল। অথবা কাউকে বাড়ি ছাড়তে হল, হয়ত বন্ধক করা ছিল যেটা বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে বা এরকমকিছু। এগুলো ছাড়াও আরও ব্যাপক পরিসরের ঝামেলা রয়েছে যেগুলোতে একটা সমাজ বা গোটা একটা শহর আক্রান্ত হয় , যেমন বন্যার কবলে পড়ল একটা শহর। আর পুরো শহরটা বিধ্বস্ত হয়ে গেল। একটা ভুমিকম্প হল, শতশত হাজার হাজার মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হল। অথবা দুই জাতির মধ্যে যুদ্ধ শুরু হল, কিংবা গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আর যা কি না ছিল একটা শান্তিময় পরিবেশ, হঠাৎ তা পতিত হল আগুনের মুখে, সম্পূর্ণ পুড়ে ছারখার হয়ে গেল! একদিন আগেও যেমন ছিল, পরেরদিন আর আপনি সেই জায়গা চিনছেন না। কাজেই এরকম ঘটনা হতে পারে ব্যক্তিগত পর্যায়ের প্রাত্যহিক ব্যাপার, আবার হতে পারে আরও বৃহৎ পরিসরের। তো আমি শুরু করব ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে, আর সম্ভবত এই খুতবায় আসলে এই পর্যায়টি নিয়েই বলার সময় হবে। আর সেটা বেশ গুরুত্বপূর্ণও, কারণ আমাদের নিত্য-নৈমিত্তিক কথাবার্তাতেই, অন্যদের কথা বাদই দিলাম, আমি মুসলিমদেরকেই বলতে শুনেছি, আমার নিজ কানেই, আমরা গাড়ি চালাচ্ছি, কোন কারণে দেরী হয়ে গেছে, ব্যস বলে ফেললাম, “আল্লাহ মনে হয় আজকে আমার সাথে খুব খারাপ মেজাজে আছেন! এজন্য একেবারে শেষ করে দিচ্ছেন! জানিনা কী এমন করে ফেলেছি…আর আল্লাহ আমার উপর রাগ হয়ে গেলেন!” মানুষ এইভাবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালাকে নিয়েও কথা বলতে পারে! বুঝলেন? আপনি নিজে সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেন নি, ভুল রাস্তায় গাড়ী উঠিয়েছেন…কেননা ঠিকমত খবরে শোনেননি যে এই রাস্তায় একটা দুর্ঘটনা আগেই হয়েছিল। আর এখন কি না, যা যা ঘটল তার সব দোষ আল্লাহ আযযাওয়াযাল এর!
এই প্রসঙ্গে বলব, প্রথমতঃ, এটা একটা বেশ জটিল বিষয়। দ্বিতীয়তঃ, এ ব্যাপারে কুর’আনে অসংখ্য আয়াত রয়েছে, ১/২টা নয়, আক্ষরিক অর্থেই ডজন খানেক আয়াত রয়েছে “আল-মুসিবাহ” এই বিষয়টির উপরেই। আল-মুসিবাহ…এটি আসলে কী, সে আলোচনায় আসছি, আমার মনে হয়, বাংলা/উর্দূ ভাষাভাষিগণ আন্দাজ করে নিয়েছেন শব্দটির মানে। যে এটা এক ধরনের দুর্যোগ, বা ভয়ানক কিছু ঘটে যাওয়া। আরবীতে আমরা মোটামুটি এরকম কাছাকাছি অর্থেই এই শব্দটি ব্যবহার করি। তবে প্রকৃতপক্ষে “মুসিবাহ” বলা হয় অনেক বড় মাপের বিপদ বা দুর্যোগ এর ক্ষেত্রে। কিন্তু পূর্ববর্তী আরবী ভাষায় আসলে, আগে চলুন শব্দটির সংজ্ঞা জেনে নেই।“মুসিবাহ” শব্দটি এসেছে আরবী ভাষার “আসাবা” ক্রিয়া থেকে। আর “আসাবা” হল কোন একটা লক্ষ্যবস্তু কে আঘাত করা। যখন আপনি একটি লক্ষ্যবস্তুকে একদম ঠিকমত আঘাত করতে পারবেন, তখন লক্ষ্যবস্তুতে এই আঘাত করাটা, এই জায়গামত আঘাত করাটাই হল “আসাব”। যার কারণে অন্য আরেকটি শব্দ “সঠিক” এর আরবী হল “সাওয়াব”/“সাহীহ”। সঠিক লক্ষ্যে আঘাত করার ক্রিয়াটি হচ্ছে “ইসাবা”। এখন “মুসিবা” শব্দটি হল, কিছু একটা যা আপনাকে আঘাত করে, আর আঘাতটা করে একেবারে জায়গামত এসে।
সুতরাং প্রথমেই যেই জিনিসটা যা আমরা এই শব্দের প্রয়োগ হিসেবে শিখি আল্লাহ আযযা-ওয়াযাল এর কাছ থেকে, তা হল আমাদের অবস্থা বা আমাদের সাথে ঘটেছে এমন কিছুর বর্ননা দিতে গিয়ে, কোন একটা কিছু কারিসাহ كارثة, হাদিসা حدث, ওয়াকিয়া وَاقِعَةُ, আমাদের সাথে একটা কিছু খারাপ হয়েছে, একটা অঘটন ঘটেছে, কিন্তু আল্লাহ অন্য শব্দগুলো তেমন প্রয়োগ না করে বেশীরভাগ সময় “আল- মুসিবা” শব্দটিই ব্যবহার করে থাকেন। কেন?
কেননা…আল্লাহ এটাই বুঝিয়ে দেন যে, যে পর্যন্ত তাঁর নির্ধারিত ক্বাদর(ভাগ্য) সম্পৃক্ত, যে পর্যন্ত তাঁর পরিকল্পনা জড়িত, ঘটে যাওয়া পুরো ব্যাপারটি তখন একটা ছুঁটে আসা তীরের মত, যেটা আপনাকে লক্ষ্য করেই ছোঁড়া হয়েছে আর এটা অবধারিতভাবে একদম আপনার গায়ে এসেই বিধঁবে, কখন, কোথায়, কীভাবে, কত গভীরে, কত খারাপভাবে এসে বিঁধবে সবকিছু নির্ধারিত হয়েই আছে। এটা একদম একটা নিখুঁত নিশানা ছিল। নিখুঁত। এরপর আবার শব্দটির শেষে রয়েছে তা’মারবুতা (ة), যারজন্য আমরা উচ্চারণ করি “মুসিবাহ”, “মুসিব” না কিন্তু। আর শব্দের শেষে এই তা’মারবুতা যোগ করে শব্দে “আল-হাদাস” ধারণাটিকে সংশ্লিষ্ট করা হয়, যার মানে হল প্রত্যেকটি ছোট ছোট ঘটনা বা প্রতিটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জিনিস। দেখুন আমি আপনি কিভাবে চিন্তা করি?
(উদাহরণ) প্রথম যে জিনিসটা ঘটল তা হল, অফিসে যাওয়ার পথে আমার গাড়ী নষ্ট হয়ে গেল, এর ফলস্বরূপ, আমি মিটিং এ পৌঁছালাম দেরী করে। আর তারপর এই দেরীতে পৌঁছানোর জের ধরে আমার চাকরীটাই চলে গেল! আর তার ফল হল আমার বিবাহ-বিচ্ছেদ। এর থেকে এই ফল…তার থেকে সেই ফল…সেই থেকে আরেক ফল! এক ভাই এর সাথে একবার দেখা হল, খুব বেশিদিন আগের কথা না, তার পাসপোর্ট সংক্রান্ত কিছু ঝামেলা চলছিল, সেই ঝামেলার ফলে সে তার পাসপোর্টটি হারিয়ে ফেলে। তার ফলস্বরূপ সে চাকরী হারায়, আর সেই সূত্র ধরে তার বউ এর সাথে তার বাদানুবাদ ঘটে, সে তখন সবকিছুর জন্য দোষ দেয় ঐ পাসপোর্ট কোম্পানীকেই। অথবা ভিসার কাজ যে করছে সেই কোম্পানীকে! “তাদের কারনেই আজ আমি চাকরী হারিয়েছি, বউ হারিয়েছি, আমার সবকিছু হারিয়েছি!” এভাবে তারা সবকিছুকেই এক সুতায় গেঁথে ফেলে, কর্ম-কর্মফল, কর্ম-কর্মফল, কর্ম-কর্মফল!(কস এন্ড ইফেক্ট)। সবকিছুরই অবতারণা কি না কেবল ঐ একটি জিনিস থেকে!
আর আমরাও কিন্তু এইগুলো থেকে মুক্ত নই। আল্লাহ-আযযা ওয়াযাল কিন্তু বলেছেন এই সমস্ত বিপদের মধ্যে যেই এক একটি বিপদ, এগুলো প্রত্যেকটি বিপদ পৃথক এবং একক। তাদের কোনটিই একে অপরের ফলস্বরুপ নয়, বরং তারা প্রত্যেকেই হল আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত প্রকল্পের ফল। আল্লাহ আযযা-ওয়াযালের ইচ্ছাতেই ঐ ঘটনা প্রবাহের প্রতিটি ঘটনা এক এক করে ঘটেছে। আবার এরকম অনেক মানুষই আছেন যাদের অবস্থা অনেকটা আপনার মতই, কিন্তু তাদের সাথে এমনটি হয় না! তাদের ঘটনা-প্রবাহ একরকম হয় না। আল্লাহ তাদের জন্য ভিন্ন কিছু নির্ধারণ করেছেন। তো তাহলে এটাই হল “আল-মুসিবাহ” শব্দটির প্রথম পাঠ/শিক্ষা যে বিপদটি সুনির্দিষ্টভাবে আপনার জন্যই ধার্য। দু’টো আয়াত, ডজনখানেকের মধ্যে অন্ততঃপক্ষে দুটো আয়াত রয়েছে যা কিনা কোন অবস্থাতেই আমাদের ভুলে যাওয়া উচিৎ নয়। “মুসিবাহ” শব্দটি প্রসঙ্গেই আল্লাহ তা’য়ালা সর্বপ্রথম বলেছেন, সূরাহ-বাকারা তে যে আয়াতগুলো তিলাওয়াত করেছিলাম আগেই,
وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ
– অভিনন্দন জানাও ধৈর্য্যশীলদের। (সূরাহ বাকারাঃ ১৫৫)
কী অদ্ভুত সুন্দর ভাষাই না আল্লাহ আযযা-ওয়াযাল ব্যবহার করে থাকেন!! যখন আপনার কিংবা আমার কোন একটা কঠিন সময় এসে পড়ে, তখন আমাদের ধৈর্য ধারণ করা কর্তব্য। সুখের সময়ে তো ধৈর্যের প্রশ্ন আসে না, কিন্তু আপনার ধৈর্য ধারণের দরকার যখন কি না আপনি বিপর্যস্ত, যখন কিছু একটা সমস্যা হয়। যখন খারাপ কিছু ঘটে। আপনার গ্রাজুয়েশন করার কথা, আল্লাহ বিলম্বিত করলেন, আপনি একটা ক্লাসে পাস করতে পারলেন না। এখন আপনাকে কিছুটা ধৈর্য ধরতে হবে। আপনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন, আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। যেকোন একটা খারাপ কিছু ঘটলেই আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। এখন আপনারাই বলেন, আমি, আপনি…যখন নিজেরা নিজেরা কথা বলি, কেউ একজন হয়ত এমন একটা কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হল যখন ধৈর্য ধরা ছাড়া পথ নাই, মনে করুন একই অবস্থায় আপনি আমি, আর সে মুহূর্তে আমাদের জন্য কি না একমাত্র একটাই পরামর্শ, তা হল ধৈর্য-ধারণ। এখন এ অবস্থায় কেউ কি গিয়ে ওই ব্যক্তিকে বলবে যে, “আপনাকে অভিনন্দন”?! দেখুন…এর কী কোন মানে হয়? কিছুই তো বোঝা যাচ্ছে না!!
“ভাই, আমার খুবই খারাপ লাগছে আপনার এই দুঃসময়ে, দু’আ করি আল্লাহ আপনাকে আরও ধৈর্য দান করুক।” আপনি এ অবস্থার কারও সাথে হেসে হেসে কথা বলেন না, বা তাকে অভিনন্দনও জানান না। আপনি সাধারণত কখন কাউকে অভিনন্দন জানান? যখন কি না তার একটা খুশির কিছু ঘটে, যখন কি না সবকিছু তার পরিকল্পনা অনুযায়ী সংঘটিত হয়। কেউ তার পছন্দের চাকরিটা পেয়ে যায়, কারও পদোন্নতি হয়, বেতন বেড়ে যায় অথবা কেউ বিয়ে করার কথা ভাবছে, পছন্দমত সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যায় এমন আনন্দের মুহূর্তগুলোতেই আমরা অন্যদের অভিনন্দন জানাই।
অথচ আল্লাহ পাক কি বলছেন! তিনি বলছেন, যারা ধৈর্য ধরে আছে, তাদের অভিনন্দন জানাও! সুবহানআল্লাহ। কেন? কারণ একজন মুমিনের আচরণই হবে আলাদা।
হয়তো যেই বিপদের মাঝে দিয়ে আপনি যাচ্ছেন, পুরো ঘটনাটার উদ্দেশ্য একটাই। যাতে আপনি ধৈর্য ধরতে পারেন। আর যদি আপনি ধৈর্য ধরতে পারেন, তখনই আপনি অভিনন্দন পাবার যোগ্য।
আমরা ভাবি আমাদের লক্ষ্য এই দুনিয়ার একটি বিশেষ জিনিস পাওয়া। হয়তো আমার লক্ষ্য ঐ চাকরিটা পাওয়া অথবা কিছু বিক্রি করা কিন্তু হয়তো আল্লাহ পাকের কাছে সত্যিকারের লক্ষ্য হল যে আমরা ধৈর্য ধরতে শিখব। এটা আর সব লক্ষ্যের চেয়ে বড়। সুবহানআল্লাহ! আর যদি আপনি ঐ লক্ষ্যে পৌঁছে যান, তাহলেই আপনিই অভিনন্দন পাবার যোগ্য!
(চলবে)