রামাদান কর্ম পরিকল্পনা ৩য় পর্ব । (সমাপ্ত)

রামাদান কর্ম পরিকল্পনা ৩য় পর্ব । (সমাপ্ত)

  তারপর আল্লাহ বলেছেন,

وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَاكُمْ
যাতে তোমরা সেভাবে আল্লাহ তাআলার মহত্ত্ব বর্ণনা করতে পার যেভাবে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন ।

এখন, এটি অনেক কিছু বুঝায়, তবে আমি অন্তত একটি ব্যাপার তুলে ধরতে চাই, একটি উদাহরন দ্বারা, আমি যদি কোথাও চাকরি করি, আমি মাত্র একটি চাকরি পেয়েছি, এবং ধরুন, আমার কাজ হচ্ছে দুটা। আমাকে ফোনের উত্তর দিতে হবে এবং ইমেইলের উত্তর দিতে হবে। এটিই আমার কাজ। আমাকে আর কিছু করতে হবে না। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, নিজে-নিজেই সিদ্ধান্ত নিলাম, ভাল হবে যদি আমি কিছু ফটোকপির কাজ করি, ফ্রন্ট-ডেস্কে সাহায্য করি, এবং আমি আমার মূল কাজ বাদ দিয়ে এসকল এক্সট্রা কাজকর্ম করি। এবং আমার বস আমায় এসে প্রশ্ন ছুড়েন যে কেন আমি ফোনের উত্তর দিচ্ছি না। আমার উত্তর যদি হয় যে, আমি মনে করেছিলাম ওটা গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। কি মনে করেন আমার চাকরি থাকবে? না। আমাকে নির্দিষ্ট কিছু কাজ করার জন্য চাকরি দেয়া হয়েছে। আমার যে সকল কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, সেগুলো আমি ঠিক করি না। সেগুলো অলরেডি আমার বস আমার জন্য ঠিক করে দিয়েছেন। আমার বস আমাকে বলেন, এটি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ, ওটি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ, উনি যেটাকে গুরুত্ব দেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ এবং যেটাকে দেন না সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। সিদ্ধান্ত নেন তিনি, আমি না। 

আমি কেন এটি বলছি? কারন আমরা আল্লাহ্‌র মহিমা ঘোষণা করি। আল্লাহ মহিমান্বিত এবং আল্লাহ আমাদের জন্য অগ্রাধিকার নির্ধারণ করেন যেভাবে তিনি আমাদের পথনির্দেশ দেন তার উপর ভিত্তি করে। عَلَىٰ مَا هَدَاكُمْ কোন কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে সেই সিদ্ধান্ত আপনি বা আমি নিই না। কিছু ব্যক্তিদের জন্য রমযানের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে না খেয়ে থাকা, এক মাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজ (তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে)। মাঝে মাঝে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় সামাজিকতাকে, ‘আজকে আমরা কার ইফতারে যাচ্ছি?’ এটি একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজ(তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে)। বলুন তো, কোন কাজ কে অগ্রাধিকার দিতে হবে এটি ঠিক করেন কে? কি এই মাসকে গুরুত্বপূর্ণ বানায়? আপনি যদি কারও বাসায় নাও যান, রমযানে, যদি আপনার সালাত ঠিকমত হয়, আপনি নিজেকে ঠিক করেন, আল্লাহ্‌র কিতাবের নিকটে আসেন, তাহলে আপনার অগ্রাধিকারের কাজসমূহ ঠিক আছে। আপনি সামাজিকতা করে বেড়াবেন এবং সালাত বাদ দিবেন, ৩০ দিনে শুধু পার্টি। মুসলিম পার্টি। বিভিন্নি মানুষের বাসার। 

আর ফজর পড়তে আপনার যান বের হয়ে যায়, তাহলে কি লাভ? করছেন টা কি? কার সাথে ঠাট্টা করছেন? আপনি আল্লাহ কে আগে রাখবেন। আপনি আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করবেন যেভাবে তিনি আপনাকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সেভাবে নয় যেভাবে আপনি ভাল মনে করেন। যেভাবে আল্লাহ বলেছেন আপনি করবেন সেভাবে। অতঃপর চলে যাই শেষাংশে “وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ “। বাকি ৩-৪ মিনিট আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই আমার একটি সাম্প্রতিক সংক্ষিপ্ত ঘটনা। আমি গতকাল রাতে মেক্সিকোর একটি ছোট গ্রাম থেকে আসি। মেক্সিকোর ছোট একটি গ্রাম। ১৪টি মুসলিম পরিবার, আলহামদুলিল্লাহ, তারা সম্প্রতি (পুনরায়) মুসলিম হয়েছেন। এবং তারা জীবনযাপন করছেন অত্যন্ত দুর্বিষহ অবস্থায় হয়ত আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। বলতে চাচ্ছি যে, এখান থেকে সেখানের বিমান ভ্রমনের সময়কাল দুই ঘণ্টা। মেক্সিকো শহর দুই ঘণ্টার ভ্রমন এখান থেকে ফ্লাইটে এবং তারপর ফ্লাইটে সেই গ্রামে যেতে লাগবে দেড় ঘণ্টা। গ্রামটি মেক্সিকোতে অবস্থিত। আমরা যখন সেখানে গেলাম, গাড়ি প্রতি ঘন্তায় ৫ মাইলের অধিক যেতে পারে না, ৫ মাইলের বেশি গেলে চাকা ফেটে যাবে। আপনি মনে করতে পারেন আপনি পাকিস্তান বা বাংলাদেশে আছেন। তবে ব্যাপার হচ্ছে, আপনি এখানেই, এখানে সাউথ আমেরিকায়, একেবারে এই জায়গায়।

আপনি যদি তাদের কাছে যান, আপনাদের অনেকের বাড়ির পেছনে ব্যাকইয়ার্ডে খুপরি থাকে না, সেগুলো তাদের ঘর থেকে উত্তম। তাদের যেই ঘর রয়েছে তা হচ্ছে শুধু কাঠের তক্তা। আর আপনি সেগুলোর মাঝ দিয়ে এপার ওপার দেখা যায়। তাই তারা প্লাস্টিক ব্যাবহার করেন, ময়লার ব্যাগ, যাতে করে বৃষ্টি যেন ঘরে না প্রবেশ করতে পারে। দেয়ালগুলোতে। পুরো ঘরটি, ১০*১০ ও হবে না। এটা হচ্ছে বাসা। স্বামী-স্ত্রী এবং ৪ সন্তান। মেঝে ময়লা। মেঝে ময়লা। রান্নাঘর এক কোনায়। রয়েছে একটি স্টোভ, একটি বহনীয় স্টোভের মত, সাইডে রয়েছে গ্যাস ট্যাংক। এটি হচ্ছে তাদের রান্নাঘর। বাথরুম ঘরের বাহিরে। আরেকটি কুঁড়েঘর রয়েছে যা তাদের বাথরুম। বৃষ্টিকালিন সময় তারা ভিজে যায় গোসল করার সময়। এটি হচ্ছে তাদের অবস্থা। এভাবেই তারা বাস করেন। এতদসত্তেও, আপনি লক্ষ্য করবেন, তারা আমার জীবনে দেখা সবচাইতে সুখি মানুষ। তাদের বাচ্চাদের মতো হাশি-খুশি বাচ্চা আমি আমার জীবনেও দেখি নি। তারা যে কত কৃতজ্ঞ। প্রতিটি ছোট জিনিসের জন্য। রাতের খাবারের জন্য তারা একটি ছাগল জবেহ করেছিল। তা রান্না করা হোল। ১৫টি কর্মব্যস্ত পরিবার একসাথ হলো এবং আমরা সবাই মিলে আহার করি তাদের ছোট্ট মসজিদে। আমাদের এই মসজিদের জন্য কৃতজ্ঞ হওয়া উচিৎ। আমাদের জুতা রাখার জায়গা থেকেও তাদের মসজিদ ছোট। বুঝলেন। এবং তারা তাদের মসজিদ নিয়ে অনেক খুশি। তারা তাদের মসজিদ নিয়ে অনেক খুশি। এবং তারা যায় এবং আমরা ভেতরে বসে আহার করছি, সুবহান আল্লাহ, তারা খুব বেশি খায় না। খুব বেশি আহার করে না তারা। তো, তারা খেল কম, এবং অনেকে মানুষেরা, বাচ্চারা খাবার শেষ করতে পারল না। 

অনেক শিশুরা তাদের খাবার শেষ করতে পারল না এবং মা-বাবারাও। তাদের সাথে ছিল প্লাস্টিক ব্যাগ যা তারা ধুয়ে পুনরায় ব্যাবহার করে। তারা মাংস ব্যাগে ঢুকিয়ে নিল কারন তারা এগুলো পরের দিন খাবে। তারা কিছু ফেলে দেই নি। খাবারের কিচ্ছু ফেলে দেয়া হয় নি। কেন আমি আপনাদের এবং নিজেকে এটি বলছি? কারন রমযান আসছে। আল্লাহর শপথ করে বলছি, কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে, আমরা যাই, আনন্দ করি, এবং সেখানে প্রচুর খাবার থাকে যেগুলো ফেলে দেয়া হয়। অনেকখানি ঝুটা খাবার। সবজায়গায় প্লাস্টিক কাপ। লোকেরা আধা বোতল পানি পান করে ফেলে দিচ্ছে। লোকেরা খাচ্ছে, ‘ওহ দেখ এটা অন্য কারও প্লেটের খেজুর, একটু ডাস্টবিনে ফেলে দাও তো।’ জায়গায় জায়গায় ফল পড়ে থাকে। আল্লাহর দানের প্রতি আমাদের এক ফোটাও কৃতজ্ঞতা নেই। আল্লাহ রমযান বিষয়ক আয়াতটির শেষাংশে বলেন, (وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ), “যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।” আপনি এটাকে কৃতজ্ঞতা বলেন? কৃতজ্ঞতা অর্থ আপনি সবকিছু বাঁচিয়ে রাখবেন। কৃতজ্ঞতা অর্থ আপনি প্রয়োজনীয় কিছু ফেলে দিবেন না। কৃতজ্ঞ অর্থ এই নয় যে আপনি ব্যাগের পর ব্যাগ শুধু ময়লা ফেলবেন। কিন্তু সেগুলো ময়লা নয়! সেগুলো ভোগ যোগ্য খাবার! এটি ঠিক না! এটি কোন ভাবেই মেনে নাওয়া যায় না। রমযানে খাবার অপচয় করবেন না। যতটুকু খেতে পারবেন ততটুকুই প্লেটে নিন। সবসময় প্লেটে কম খাবার নিন। খাবার শেষ হয়ে গেলে একটু করে আবার নিন। (আবার) খাবার শেষ হয়ে গেলে একটু করে আবার নিন। আপনাদের কারও কারও বাজে অভ্যাস আছে যেখান থেকে আপনারা আসেন, আপনারা কোনও বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে যতটুকু পারেন প্লেট পুরো করে খাবার নেন। কারন পাশের লোকটি হয়ত খাবার পেয়ে যাবে আর আপনি দ্বিতীয় সুযোগ পাবেন না। সেভাবে চিন্তা করবেন না। সেভাবে চিন্তা করবেন না।

খুব অল্প করে খাবার নিন, শেষ করুন, পুনরায় গিয়ে আবার নিন। এবং এটি রমযানের শিক্ষার একটি অংশ। কারন আল্লাহ বলেছেন যে আল্লাহ আমাদেরকে এই মাসটি দিয়েছেন যেন আমরা কৃতজ্ঞ হতে পারি। এবং অকৃতজ্ঞতার সর্বনিকৃষ্ট ধাপ হচ্ছে আল্লাহর উপহারসমূহ অপচয় করা। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যাপারটি আমাদেরকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। 

তাই আমি দোয়া করি, আরেকটা কথা, বোনেরা, যখন আপনরা সকালে খাবার তৈরি করেন, কিছু রান্না করেন, অথবা সেহেরীর সময় আপনি কিছু রান্না করেন এবং হয়ত আপনার পরিবার তা শেষ করতে পারে না, তারা সেই খাবার ইফতারের সময় খাবে, খাবারগুলো ফেলে দিবেন না। খাবারগুলো ফেলে দিবেন না। সকালের রুটি ফেলে দিবেন না। অর্ধেক ব্রেডটি ফেলে দিবেন না। দুধটি ফেলে দিবেন না। জিনিসগুলো ফেলে দিবেন না। বলবেন না যে আমি সন্ধ্যায় আবার নতুন করে খাবার রান্না করব, না না না। আল্লাহ আপনাকে যেই রিজিক দিয়েছেন সেটি নিয়ে কৃতজ্ঞ থাকুন। নিজেকে নিজে বলবেন না যে, আমার তো সামর্থ্য আছে! আমি তো সামলাতে পারি! এই রিযকের মালিক আমি বা আপনি নই। আমরা অকৃতজ্ঞ হলে, আল্লাহ নিয়ে যাবেন। আল্লাহ বলেন যে আমরা যদি কৃতজ্ঞ হই, আল্লাহ আমাদেরকে আরও দিবেন। আপনি যদি অকৃতজ্ঞ হন, তাহলে কিন্তু ভাল হবে না।‘’আর যদি অকৃতজ্ঞ হও, আল্লাহর শাস্তি বড়ই কঠিন।‘’ তো, আল্লাহ যেন আমাদেরকে সেরকম মানুষ বানান যেরকম আমাদের হওয়া উচিৎ এই রমযানে। এবং এই রমযানকে একটি মাধ্যম বানান যাতে আমরা নিজদের পরিবর্তন করি, উত্তম মানুষ হই, আল্লাহর নৈকট্য লাভ করি, আল্লাহর মহিমা সত্যিকার অর্থের ঘোষণা করতে শিখি, কুর’আনের নিকটে আসি। 

আমি দোয়া করি, আপনার আমার সবার পরিবার, রমযান শেষ হওয়ার আগে আমরা যেন আরও বেশি কুর’আন জানি, আরও বেশি কুর’আন মুখস্ত করি, আরও বেশি দোয়া শিখি, যাতে আমরা ধীরে ধীরে আল্লাহর কাছাকাছি চলে আসি এবং আল্লাহর কিতাবের কাছাকাছি চলে আসি, প্রায়োগিক ভাষায় যদি বলি। আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাদের সকলের পরিবারকে তা করার সামর্থ্য দান করেন এবং দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে রিজিক দান করেন যেন আমরা এই পবিত্র মাসখানা পেতে পারি, এবং লাইলাতুল ক্বাদর পেতে পারি। আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল যেন এই মাসটির দিকে তাকিয়ে আমাদের সকলের এবং আমাদের পরিবারদের গুনাসমূহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল যেন মুসলিমদের যে যেখানে আছে তাদের সাহায্য করেন। একটি জিনিস যেটা বলা হয় নি যা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই খুৎবা শেষ করার পূর্বে, আলহামদুলিল্লাহ, কয়েক সপ্তাহ আগে, আমাকে আমন্ত্রন করা হয়েছিল এখানে ডালাস এ একটি ইভেন্টে, যা পরিচালনা করেছিল ‘মারুফ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এবং তারা সিরিয়ার কয়েকটি পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় নিয়োজিত যেই পরিবারগুলো এখানে। আশ্রয়ের উপলক্ষে তাদেরকে এখানে আনা হয়। এবং এরা হচ্ছে এমন পরিবার যারা তাদের বাসাবাড়ি থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন। এবং তারা রমযান পালন করবেন ডালাস এ। একটি কাজ যা আপনারা করতে পারেন তা হোল, ‘মারুফ ডালাস ’ নামটি মনে রাখুন, যদিও ভুল বানান করেন, গুগল ব্যাবহার করেন, আপনি প্রতিষ্ঠানটি খুঁজে পাবেন। তাদের লোকদের সাথে কথা বলুন, এবং সেই সকল পরিবারকে আপনার বাসায় দাওয়াত দিন ইফতারের। দাওয়াত দিন তাদের। তারা সেসকল মুসলিম যাদেরকে তাদের ঘর থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমাদের কর্তব্য হচ্ছে তাদের ভাই-বোন হওয়া , আমাদের শিশুরা তাদের সাথে খেলবে, ঠিক বলছি না? আর আপনি যদি নিমন্ত্রন জানাতে না পারেন, তাদের কাছে যান। তাদের কাছে যান। এবং যখন নিজের সন্তানদের জন্য উপহার কিনবেন ঈদে, তাদের বাচ্চাদের জন্যও উপহার কিনুন। এটুকু করুন তাদের জন্য। কারন এরা আমাদের পরিবার। এক উম্মাহ। আল্লাহ আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন, যেই সকল লোকেরা অভাবে আছেন, তারা যখন আমাদের শহরে আসেন, আমরা (এই কাজগুলো করে) তাদের উপকার করছি না, তারা আমাদেরকে সম্মানিত করছেন। কারন শেষবিচারের দিনে, যখন আমরা তাদেরকে ভ্রাতৃত্ব দেখাবো, হতে পারে আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করবেন কারন আমরা এই সকল লোকদের প্রতি পরোপকারিতা পোষণ করেছি। এরা আমাদের জান্নাতের টিকিট। তারা আমাদের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন। আমরা তাদের সম্মান দিচ্ছি না, আমরা তাদের প্রতি কোন অনুগ্রহ করছি না। তারা আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করছেন তাদের উপকার করবার একটি সুযোগ দিয়ে। আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল যেন মুসলিমদের যে যেখানে আছে তাদের সাহায্য করেন। বিশেষ করে সিরিয়ার মত জায়গায়। আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল যেন ইসলামকে সাহায্য করেন যেখানেই থাকুক ইসলাম। আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল যেন আমাদের সন্তানদের এবং পরবর্তী প্রজন্মদের ক্ষমতা দেন এই দ্বীনকে তুলে ধরার (এবং এগিয়ে নেওয়ার)।