১ম পর্ব অডিও ডাউনলোড লিঙ্কঃ http://bit.ly/2ffFZWN কল্পনা করুন তো, সবর্োত্তম চরিত্রের অধিকারী মানুষটির সংস্পষর্ আপনি প্রতিনিয়ত অনুভব করছেন। তাঁর চরিত্রের মাধুযর্ ক্ষণে ক্ষণে আপনার মনকে ছুঁয়ে যাচ্ছে।… এ ধরণীতে তাঁর সান্নিধ্য লাভের এ সৌভাগ্য অর্জন আর সম্ভব না হলেও পবিত্র সেই জীবন এবং জীবনের রোমাঞ্চকর-চমকপ্রদ ঘটনাপ্রবাহ জানা, তাঁর প্রিয়দের অন্তভর্ুক্ত হবার চেষ্টা করা আর তাঁর প্রতি ভালোবাসাপূণর্ অভিবাদন প্রেরণের অবারিত সুযোগ এখনো উন্মুক্ত ২য় পর্ব অডিও ডাউনলোড লিঙ্কঃ https://www.mediafire.com/?56eesqn7l4823qx ৩য় পর্ব অডিও ডাউনলোড লিঙ্কঃ...
২য় বৃত্তটি হচ্ছে মৌলিক বাধ্যবাধকতা, মূল করণীয় এবং মূল বর্জনীয় কাজসমূহ। উদাহরণসরূপ: আমরা সবাই জানি যে আমাদের ধর্মের ৫ টি মূল স্তম্ভ আছে। সালাত এর মধ্যে একটি। সালাত হচ্ছে মৌলিক করণীয়। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে, এই বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে (১ম বৃত্তে বর্ণিত) ইসলামের অত্যাবশ্যকীয় মূলনীতিগুলোর একটিকে পূরণ করা যায়। আমাদের মনে রাখতে হবে যে পূর্বে বর্ণিত মূলনীতিগুলোই কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি আল্লাহ আমাদেরকে যেসব মৌলিক বাধ্যবাধকতা সেট করে দিয়েছেন এসবের উদ্দেশ্য হচ্ছে মূলনীতিগুলিকে সুদৃঢ় করা। যেমন ধরুন, আল্লাহ বলেছেন: ‘আকিমুসসালাতা লি যিকরি’ – ‘সালাত প্রতিষ্ঠা করো, যাতে করে তোমরা আমাকে স্মরণ করতে পারো’। আল্লাহকে স্মরণ করা কি একটি মৌলিক নীতি নয়? অবশ্যই! আল্লাহর স্মরণকে আমরা কিভাবে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নিয়ে আসবো? এমন কি উপায়ে আমরা এটা করতে পারি যা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করবে? এমনটি করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে সালাত। সালাত হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম যেটা আল্লাহকে স্মরণ করার বিমূর্ত ধারণাটিকে বাস্তবিক সত্যে রূপান্তরিত করে। সিয়াম পালন করার বিষয়ে আল্লাহ বলেন: ‘কামা কুতিবা আলাল্লাযীনা মিন কাবলিকুম লা আল্লাকুম তাত্তাকুন’ – ‘তোমাদের সিয়াম পালন করতে বলা হয়েছে, যাতে করে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো’। তাকওয়া হচ্ছে বিমূর্ত ধারণা। বাস্তবে এমন কি করা যেতে পারে যেটা তাকওয়ার এই বিমূর্ত ধারণাকে আমার জীবনযাত্রায় প্রতিফলিত করবে? কি সেটা? সিয়াম পালন করা এই ধরণের কাজসমূহের একটি। এইভাবে আপনারা দেখবেন যে, আল্লাহ প্রদত্ত প্রতিটি মৌলিক বাধ্যবাধকতা এক একটি মৌলিক নীতিকে সুদৃঢ় করে। বাধ্যবাধকতাগুলো দেয়া হয়েছে যাতে করে মৌলিক নীতিগুলিকে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নিয়ে আসতে পারি। দূর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা যা করেছি সেটা হচ্ছে, আমরা আল্লাহ প্রদত্ত এইসব বাধ্যবাধকতাগুলোকে সংশ্লিষ্ট নীতিমালগুলো থেকে আলাদা করে ফেলেছি। এর ফলে যেটা হয়েছে, মানুষ ঠিকই সিয়াম পালন করছে কিন্তু তাদের মধ্যে এই বোধটি নেই যে সিয়াম পালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকওয়া বৃদ্ধি করা। মানুষ সালাত...
আপনার সন্তানকে কিভাবে ইসলামের শিক্ষা দিবেন? বাংলা ডাবিং। নু’মান আলী খান। অডিও ডাউনলোড লিঙ্ক...
...
আপনি কীভাবে জিব্রাইল আঃ এর নাম বলেন, কীভাবে উচ্চারণ করেন তার নাম? জিব্রীল, জিব্রাই–ল, জিব্রাইল, জিব্রাই’ল, জিব্রিইল এই পাঁচ ভাবে তার নাম উচ্চারণ করা হয়। আর এটা বিভিন্ন কিরাতের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে বার বার কি শোনা যাচ্ছে? ই-ল। ই-ল মানে আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালা। এ নিয়ে কোন মতপার্থক্য নেই। জিবরা মানে বান্দাহ, দাস। তাহলে জিব্রাইল অর্থ- আল্লাহর দাস। সুতরাং এটা হলো তার নাম এবং নামের অর্থ। রাসূল সঃ এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কিভাবে তাঁকে সম্বোধন করতেন? এটা আসলেই একটা মজার বিষয়। যখন আমি এই বিষয়ে গবেষণা করা শুরু করলাম, প্রথম দিন এটা দেখে খুব অবাক হলাম যে- কারণ আমি বুখারি শরীফ থেকে শুরু করেছিলাম। আমি বুখারি শরীফ থেকে জিব্রাইল আঃ সম্পর্কে বর্ণিত সকল হাদিস সংগ্রহ করলাম। প্রথম যে হাদিসে জিব্রাইল আঃ এর নাম উল্লেখ আছে, রাসুল সঃ বলেন, জিব্রিল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আমরা সাধারণত জিব্রিলকে আলাইহিস সালাম হিসেবে সম্বোধন করি। যার অর্থ তাঁর উপর শান্তি বর্ষিত হউক। কিন্তু রাসুল সঃ তাঁর উপর সালাওয়াত ও পেশ করলেন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে। রাসুল সঃ এটা করলেন জিব্রাইল আ এর উচ্চ মর্যাদার কারণে। আরেকটা ব্যাপার, রাসুল সঃ প্রায়ই তাঁর নাম বলে তাঁকে সম্বোধন করতেন না। জানেন, কিভাবে করতেন? তিনি বলতেন, যিনি আমার রবের নিকটে থাকেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বিভিন্ন উপায়ে তাঁকে সম্বোধন করতেন। সব গুলো আমার পক্ষে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। এটা আরেকটা বিশাল অধ্যয়নের ব্যাপার। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আলোচনা করা যাবে। তবে সবচেয়ে কমন যে বিষয়টি আপনি পাবেন তা হলো ‘রুহ’ শব্দটি, আত্মা, স্পিরিট। আল্লাহ তাঁকে বলেন আর রুহুল কুদুস(পবিত্র আত্মা), আর রুহুল আমিন(বিশ্বাসী আত্মা), রুহানা(আমাদের আত্মা), আল্লাহ তাঁকে আরও ডাকেন ‘রাসুলুন কারীম (সম্মানিত বার্তাবাহক) বলে। সর্বশেষ আর একটি নাম বলেই আমরা অগ্রসর...
পরিশেষে, ইমরানের পরিবারের সাথে। কোন কোন সময় জিব্রিল (আঃ) কে নবীর সাথে উল্লেখ না করে নবীর পরিবারের সাথে উল্লেখ করা হয়। তো, আমরা মারিয়াম (আঃ) এর ঘটনা জানি। মারিয়াম (আঃ) মসজিদের বাইরে পূর্বে দিকের কোন এক স্থানে যেতেনمَكَانًا شَرْقِيًّا । তিনি মাসে একবার মসজিদের বাইরে পূর্ব দিকের কোন এক জায়গায় যেতেন। অনেক আলেমের মতে, সেটা ছিল সূর্যোদয় দেখার উদ্দেশ্যে। তিনি সেখানে গিয়ে সূর্যোদয় দেখতেন আর আল্লাহর জিকর করতেন। তিনি সেখানে মাটিতে দুটি লাঠি গেঁড়ে পর্দা টাঙিয়ে দিতেন, যেন এই খোলা জায়গায় মানুষ বুঝতে পারে এটা তাঁর বসার জায়গা। কেউ যেন এটার নিকটে না আসে। তিনি অল্প বয়স্ক মেয়ে ছিলেন, ১৪- ১৮ বছর বয়সের। মোটকথা তিনি একজন টিনেজার ছিলেন। আর তিনি একা আল্লাহর উপাসনা করছেন, আল্লাহকে একা একা স্মরণ করছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, فَأَرْسَلْنَا إِلَيْهَا رُوحَنَا আমরা তাঁর কাছে আমাদের রুহকে (জিবরাইল আঃ ) পাঠালাম। فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا জিব্রিল (আঃ) তাঁর নিকট একজন সুন্দর পুরুষের আকৃতিতে আবির্ভূত হলেন। জিব্রিল (আঃ) মুখ খুলে কিছু বলার আগেই মারিয়াম (আঃ) তাকে দেখে বললেন, أَعُوذُ بِالرَّحْمَٰنِ مِنكَ إِن كُنتَ تَقِيًّا ”আমি পরম করুণাময়ের কাছে তোমার থেকে আশ্রয় চাচ্ছি, যদি তোমার অন্তরে আল্লাহর কোন ভয় থেকে থাকে।” মানে – যদি তোমার নূন্যতম কোন শালীনতা থেকে থাকে ভাগ এখান থেকে। কোন কথা বলতে যেও না। মনে কর যে এটা কখনো ঘটে নি। যাও, আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। তাই প্রিয় বোনেরা, যদি কোন ভাই আপনার নিকট এগিয়ে আসে, তাদের সাথে এভাবে আচরণ করার চেষ্টা করে দেখুন(আরবিতে এই কথাটা বলেন)। দেখুন, কি ঘটে। যদি তিনি আরবি নাও বুঝেন তিনি ভাববেন, না এই আপুর থেকে দূরে থাকাই উত্তম। আমরা এই গল্পে যদি আবার ফেরত যাই, তাহলে দেখবো যে মারিয়াম (আঃ) জিবরাইল (আঃ) এর সাথে পরে কথা বলেছিলেন।...
[শায়েখ ওমার সুলেইমান ও মুহাম্মাদ জিয়ারার তৈরি ইন্সপিরেশন সিরিজ] ”হে ঈমানদারগণ, তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক; আল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্যদান কর, তাতে তোমাদের নিজের বা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্নীয়-স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও। কেউ যদি ধনী কিংবা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ তাদের শুভাকাঙ্খী তোমাদের চাইতে বেশী। অতএব, তোমরা বিচার করতে গিয়ে রিপুর কামনা-বাসনার অনুসরণ করো না। আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বল কিংবা পাশ কাটিয়ে যাও, তবে আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ কর্ম সম্পর্কেই অবগত।” (সূরা আন নিসাঃ...
আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ (সঃ) এর সাথী ফেরেশতাদের মাঝে যিনি রাসূল (সঃ) এর সবচেয়ে নিকটবর্তী ছিলেন, যিনি রাসূল (সঃ) কে সহযোগিতা করেছেন, তাঁর প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন তিনি ছিলেন জিব্রিল আঃ। অন্য একটি বর্ণনায় রাসূল (সঃ) আরও বলেছেন, …… প্রত্যেক নবীকেই আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালা দুনিয়া থেকে দুইজন এবং আকাশ থেকে দুইজন মন্ত্রী দান করেছেন। আমাকে দেয়া আকাশের দুইজন মন্ত্রী হলেন – জিব্রিল এবং মিকাল। আর দুনিয়া থেকে প্রদত্ত দুইজন হলেন- আবু বকর এবং ওমর (রা)। জিব্রিল আ এবং রাসূল সঃ এর প্রথম সাক্ষাৎকারটি কেমন ছিল? আনাস ইবনে মালিক (রা) বর্ণনা করেন, রাসূল (সঃ) এর ছেলেবেলায় তিনি অন্য বাচ্চাদের সাথে খেলছিলেন, দৌড়াদৌড়ি করছিলেন – ঠিক সকল বাচ্চার মত। হঠাৎ করে এক ব্যক্তির আবির্ভাব হলো। তিনি রাসূল (সঃ) কে ধরে মাটিতে শুইয়ে দিলেন। এটা দেখে অন্য বাচ্চারা তাদের পিতা-মাতার কাছে দৌড়ে চলে গেল আর বলতে লাগলো – মুহাম্মাদ (সঃ) কে হত্যা করা হয়েছে। অন্য বাচ্চারা যখন দৌড়ে পালাতে লাগলো, তখন রাসূল (সঃ) দেখছিলেন যে এই লোকটি তাঁকে কি করতে যাচ্ছে। আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলেন, তিনি আমার বুক কেটে ফেললেন, তিনি আমার বুক খুলে ফেললেন। তিনি রাসূল (সঃ) এর হার্ট ধরলেন এবং তা থেকে কিছু একটা বের করে নিলেন আর বললেন- এটা হলো তোমার অন্তরের শয়তানের অংশ। তারপর তিনি এটাকে ফেলে দিলেন। তারপর তিনি সোনালি বর্ণের একটি পাত্রে রাখা জমজমের পানিতে আমার হার্ট ধুয়ে ফেললেন। আর এই বাচ্চাবস্থায় রাসূল (সঃ) সবকিছু অবলোকন করছেন। এরপর রাসূল (সঃ) এর হার্টকে আবার যথাস্থানে রেখে দেয়া হলো। অন্য বাচ্চারা ফিরে এসে দেখল যে রাসূল (সঃ) এর বুক সেলাই করে দেয়া হয়েছে। আর তাঁর মুখমণ্ডল নীল বর্ণ ধারণ করলো। রাসূল (সঃ) এর হার্ট বের করে পবিত্র করা হলো। সে সময় তিনি এই ঘটনার কোন ব্যাখ্যা খুঁজে পেলেন...
খাদিজা (রা) বললেন – চলুন, ওয়ারাকার কাছে যাই। তো, তাঁরা তার নিকট গেলেন। রাসূল (সঃ) যা দেখলেন তা ওয়ারাকার নিকট বর্ণনা করলেন। ওয়ারাকা সাথে সাথে বলে উঠলেন – ”ইনি নামুস! (আপনিই সেই রাসূল যার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে।) এই ফেরেশতাই (নামুস বা জিব্রিল) মূসার (আঃ) কাছে এসেছিলেন। ইস! আমি যদি যুবক হতাম! তাহলে আপনাকে সাহায্য করতে পারতাম! যখন আপনার সম্প্রদায় আপনার বিরোধিতা করবে।” এরপর কি ঘটেছিল? আয়েশা (রা) বর্ণনা করেন – এরপর বহুদিন যাবত ওহী অবতীর্ণ হওয়া বন্ধ থাকে। রাসূল (সঃ) অপেক্ষা করতে লাগলেন যেন সেই ফেরেশতা আবার দেখা দেন। রাসূল (সঃ) আবার ওইসব পাহাড়ে ঘুরতে লাগলেন। রাসূল (সঃ) নিজের ভাষায় তা এভাবে বর্ণনা করেন যে, ”(তাঁর মানসিক অবস্থা এমন ছিল যে) তিনি যেন চাইতেন নিজেকে পাহাড় থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে!” তিনি স্পষ্টরূপে জানতে চান কি ঘটছে! প্রতিবার রাসূল (সঃ) পাহাড়ে গেলে জিব্রিল (আঃ) এর কণ্ঠ শুনতে পেতেন। ”ও মুহাম্মাদ! আপনি আল্লাহর সত্য রাসূল।” এতে রাসূল (সঃ) কিছুটা সান্ত্বনা পেতেন এবং ঘরে ফিরে আসতেন। এরপর পরবর্তীতে তিনি শুধু যে ”ও মুহাম্মাদ! আপনি আল্লাহর সত্য রাসূল।” এ কথা বলতেন তা নয়, তিনি আরও বলতেন – ”আর আমি জিব্রিল”। তো, তিনি রাসূল (সঃ) এর নিকট বিষয়টা পরিষ্কার করলেন যে তিনি জিব্রিল (আঃ)। কিন্তু তবু কোন কুরআন বা ওহী অবতীর্ণ হয়নি। অবশেষে, অন্য একদিন রাসূল (সঃ) হাঁটছিলেন – আর এবার ‘ইয়া মুহাম্মাদ ইন্নাকা রাসূলুল্লাহি হাক্কা’- ”ও মুহাম্মাদ! আপনি আল্লাহর সত্য রাসূল” এ বাক্য নয়। বুখারি শরীফে জাবির (রা) থেকে বর্ণিত আছে- রাসূল (সঃ) হাঁটছিলেন তারপর হঠাৎ উপরের দিকে তাকিয়ে দেখলেন – জিব্রিল আলাইহিস সালাম তাঁর পরিপূর্ণ ফেরেশতার আকৃতি ধারণ করে সম্পূর্ণ আকাশ ঢেকে আছেন, সম্পূর্ণ দিগন্তকে ঢেকে আছেন। আল্লাহ জিব্রিল (আঃ) সম্পর্কে বলেছেন – ذُو مِرَّةٍ فَاسْتَوَىٰ প্রজ্ঞার অধিকারী, সে নিজ আকৃতিতে...
জিব্রাইল আলাইহিস সালামের মৃত্যু। সুবহানাল্লাহ, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যুবরণ করেছেন এবং প্রত্যেকেই মৃত্যুবরণ করবে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এমনকি জিব্রীল-ও মৃত্যুবরণ করবে। চিন্তা করতে পারেন, জিব্রীল (আলাইহিস সালাম)- ও মারা যাবেন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সিংগায় ফুতকার দেওয়ার পর আল্লাহ যাদের চান তারা ছাড়া আর কেউ স্থির থাকতে পারবে না (অন্য সবাই মৃত্যুবরণ করবে)। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা তাদেরকে তাঁর সম্মুখে নিয়ে আসবেন, তারা হলেনঃ জিব্রীল, ইস্রাফিল, মিকাল ও মৃত্যুর ফেরেশতা … যারা আল্লাহর আদেশ সমূহের বাস্তবায়ন করে থাকেন। আল্লাহ মৃত্যুর ফেরেশতাকে জিজ্ঞেস করবেন, আর কারা কারা বাকী আছে? মৃত্যুর ফেরেশতা বলবেন, ওহ আল্লাহ, আপনার সম্মানিত পবিত্র চেহারা (পূর্ণ সত্ত্বা), আপনার বান্দা আমি, আপনার বান্দা জিব্রীল, আপনার বান্দা মিকাল, আপনার বান্দা ইস্রাফিল। আল্লাহ বলবেন, মিকালের আত্মা নিয়ে নাও। তখন মিকালের আত্মা নিয়ে নেওয়া হবে। তখন আল্লাহ পূনরায় বলবেন, আর কে কে বাকী আছে? তিনি বলবেন, ওহ আল্লাহ, আপনি, আমি, জিব্রীল এবং ইস্রাফিল। আল্লাহ বলবেন, ইস্রাফিলের আত্মা নিয়ে নাও। ইস্রাফিলের আত্মা তাঁর থেকে নিয়ে নেওয়া হবে। আল্লাহ আবারও বলবেন, আর কারা বাকী আছে? তিনি বলবেন, ওয়াজহুকাল বাকিল কারিম – ওহ আল্লাহ, আপনার পবিত্র চেহারা, আপনার এই বান্দা এবং আপনার বান্দা জিব্রীল। আমরা দুই বান্দা সবশেষে বাকী রয়েছি। আল্লাহ বলবেন, জিব্রীলের আত্মা নিয়ে নাও। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, জিব্রীল তাঁর চেহারা নিয়ে পতিত হবেন এমন অবস্থায় যে তাঁর ডানাগুলো বিস্তৃত অবস্থায় থাকবে আর সেগুলো আল্লাহর প্রশংসা করতে থাকবে। তিনি তাসবিহ (আল্লাহর প্রশংসা)-রত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবেন। তাঁর চেহারা নিম্নে পতিত হবে এমতাবস্থায় তিনি আল্লাহর প্রশংসারত থাকবেন। এরপর আল্লাহ বলবেন, আর কে বাকী আছে? তখন মৃত্যুর ফেরেশতা বলবেন, ইয়া আল্লাহ, কেবল আপনি আর আমিই বাকী আছি। আল্লাহ মৃত্যুর ফেরেশতাকে আদেশ করবেন মৃত্যুবরণ করার জন্য। আর...
রাসূল ﷺ যখন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন জিব্রিল কিভাবে সান্ত্বনা দিতেন? রাসূল ﷺ যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন, তিনি বলেন, জিব্রিল আমার কাছে আসলেন এবং বললেন- ও মুহাম্মাদ! আপনি কি অসুস্থ? আমি বললাম – হ্যাঁ। তখন জিব্রিল তাঁর হাত দিয়ে আমার মুখমণ্ডল এবং বক্ষ মুছে দিলেন এবং বললেন- ‘বিসমিল্লাহি আরকিকা মিন কুল্লি শাইয়িন ইয়ুজিকা’। আল্লাহর নামে আমি আপনার জন্য আরোগ্য প্রার্থনা করছি সবকিছু থেকে যা আপনার ক্ষতি করছে – ”মিন সাররি কুল্লি নাফসিন আও আইনিন, আও হা-সিদ।” সকল খারাপ জিনিস থেকে অথবা বদ নজর থেকে বা হিংসা থেকে। আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দান করুন। আল্লাহর নামে আমি আপনার জন্য আরোগ্য প্রার্থনা করছি। কিন্তু তখন ব্যাপারটা কেমন ছিল যখন জিব্রিল (আঃ) রাসূল ﷺ কে জীবন সম্পর্কে কোন উপদেশ দিতেন! এখন আমি আপনাদেরকে যে বিষয়টি বলবো সেটি রাসূল ﷺ এর জীবনের শেষ দিককার। জিব্রীল (আলাইহিস সালাম) রাসূল ﷺ এর নিকট এসে বললেনঃ হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আচ্ছা, আল্লাহ কি কুরআনে কখনও এভাবে বলেছেন ‘হে মুহাম্মাদ’? না। ইয়া নাবিয়াল্লাহ, ইয়া রাসূলাল্লাহ – ও আল্লাহর নবী, ও আল্লাহর রাসূল (এভাবে বলেছেন)। তাহলে জিব্রীল (আলাইহিস সালাম) কি করে ‘ইয়া মুহাম্মাদ’ বলার সাহস করলেন? আলেমরা বলেন যে, যখন জিব্রীল (আলাইহিস সালাম) বলেন, ‘ইয়া মুহাম্মাদ’, এর মানে হলোঃ তিনি নবীﷺ কে এটা বুঝাতে চাচ্ছেন যে, এখনকার বিষয়টি ওহীর বাইরের বিষয়। যখন আমি আপনাকে ‘ইয়া মুহাম্মাদ’ বলি, তার মানে বিষয়টি আপনি মুহাম্মাদ আর আমার মধ্যকার। সুতরাং এটা হলো কেবল এমন একক সময় যখন জিব্রাইল ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ’ বলে সম্বোধন করলেন না। কারণ এখন আমি এমন কথা বলবো যা কেবল আপনার আর আমার মাঝে। বিষয়টি বুঝতে পারছেন আশা করি। সুতরাং তিনি বলেনঃ হে মুহাম্মাদ, ৫টি উপদেশ দিচ্ছি আপনাকে। ১। আপনি যেভাবে খুশি জীবন যাপন করুন। কিন্তু একথা মনে...
...
জানেন, মানুষ যখন খুশিতে থাকে তখন তারা কি চিন্তা করে? তারা বসে বসে ভাবে ইসস.. জীবনটা যদি সব সময় এরকম হত। তারা জানে যে এরকম হবার নয়, জীবনের বাঁকে বাঁকে সমস্যা আছে। কিছু না কিছু সমস্যা হবেই, শারীরিক বা মানসিক, কিছু একটা হবেই। জীবনে আর কোন সমস্যাই আসবে না এটা যদি জানা যেত!! আমার অত্যন্ত অত্যন্ত প্রিয় একটা বর্ণনা জান্নাত সম্পর্কে, এটা সুরা সাফফাত থেকে (আয়াত ৫০-৫৯) এক ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করলো এবং সে দেখলো সেখানে তার বন্ধুরাও আছে। তারা একজন একজনকে দেখে উচ্ছসিত হয়ে বলল ”আরে তুমিও সফল হয়েছও” তারপর তারা একে অপরকে অভিনন্দিত করলো। তারা একজন আরেকজনকে বলতে থাকবে ও আল্লাহ! তুমি, ও তুমিও। তারা আবার একজন আরেকজনের সাথে পরিচিত হতে থাকবে। আমি তোমাকে ওখানে চিনতাম। এরপর সে চিন্তা করবে আচ্ছা আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু যে তার কি হল? তাকে তো দেখছি না। অর্থাৎ সে তার পুরোনো জীবনের কথা স্মরণ করবে আর ভাববে যে তার এক বন্ধু এখানে নেই। তখন সে বাকীদেরকে জিজ্ঞাসা করবে তোমরা কি জান ওর কি হয়েছে? কিন্তু কেউই এই ব্যাপারে জবাব দিতে চাইবে না। কিন্তু সে আসলেই জানতে চায় যে তার পুরাতন বন্ধুর কি হল। ব্যাপারটা এমন হবে যে আল্লাহ জান্নাতে একটা জানালা খুলে দিবেন যাতে সে জাহান্নামে তার বন্ধুকে দেখতে পায়। এই ধরনের একটা চিত্রই ৩৭ নম্বর সুরাটিতে বর্ণিত হয়েছে। সে দেখবে যে তার সবচেয়ে ভাল বন্ধু জাহান্নামে জ্বলছে। হ্যাঁ, আপনি জান্নাত থেকে এটি দেখতে পারবেন, কারণ জান্নাতে আপনি যা চাইবেন তাই পাবেন। আর সে তার বন্ধুকে দেখতে চাইলো আর তার ইচ্ছাও পূরণ হল। তাই সে জাহান্নামের একটি ঝলক দেখতে পেল এবং সেখানে তার বন্ধুকে দেখলো। তখন সে বলবে إِن كِدتَّ لَتُرْدِينِ তুমিও আমাকে প্রায় ওখানেই নিয়ে যাচ্ছিলে। সে তার বন্ধুকে দেখলো...
...
আজকের খুতবার আলোচ্য বিষয় সূরা নুরের দুটি আয়াত থেকে একটু কম। এই আয়াতগুলোতে এমন এক মূলনীতি আলোচনা করা হয়েছে যার দ্বারা আমরা শুধু বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটিকে বুঝবো না, বরং সমাজে কিভাবে মানুষকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা যায় তাও বুঝবো। আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল এর চেয়ে কেউ বেশি অলংকারপূর্ণ ভাষায় কথা বলে না। অল্প কিছু শব্দের মাধ্যমে তিনি এ বিষয়টা চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন যে কিভাবে মুসলিম কমিউনিটি এবং মুসলিম পরিবারগুলো তাদের ছেলে মেয়েদের বিয়ে দেয়ার বিষয়টি চিন্তা করবে। বস্তুতঃ এটা শুধু আপনার ছেলে বা মেয়ের বিয়ে দেয়ার ব্যাপার নয়। যখন এই আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয় তখন বহু মানুষ মাত্র ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। সুতরাং অনেকের কোন মুসলিম পরিবার ছিল না। এমন অনেক মহিলা ছিলেন যাদের পিতামাতা মুসলিম ছিল না, তারা তাকে সমর্থন দিচ্ছিলেন না। তাঁরা এখন সাহাবিয়াত এবং তাঁরা অবিবাহিত। অথবা যাদের বিবাহ ভেঙ্গে গেছে, অধিকন্তু সন্তান সন্ততি আছে, ইত্যাদি। সাধারণ পরিবারগুলোতে আপনার ছেলে বা মেয়ে থাকে, তারা বড় হয় অতঃপর বিয়ের বয়সে পৌঁছায় আর আপনি তাদের বিয়ে দেয়ার কথা ভাবেন। কিন্তু বৃহত্তর পরিসরে আমাদের পরিবার হল গোটা উম্মাহ। রাসূল (সঃ) সমগ্র উম্মাহকে একটি শরীরের সাথে তুলনা করেছেন। আর আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালা একে ‘ইখওয়া’ বা প্রায় রক্ত সম্পর্কীয় ভ্রাতৃত্ব বলে অভিহিত করেছেন। আমরা একে অপরের ভাই। তার মানে আমরা সবাই মিলে বড় একটি পরিবারের মত। সুতরাং আমাদের সমাজে যখন পুরুষ মহিলারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে না সেটা আমাদেরই সমস্যা। যার দায়ভার সম্মিলিতভাবে আমাদের সকলের কাঁধে অর্পিত হয়। তো, আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালা বলেন – وَأَنكِحُوا الْأَيَامَىٰ مِنكُمْ তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও। এভাবেই বক্তব্যের শুরু। আরবিতে ‘আইম’ শব্দটি নারী পুরুষ উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। বেশিরভাগ সময় এটা নারীদের জন্য ব্যবহৃত হত আর কম...
...
আল্লাহ সুব হা নাহু ওয়া তায়ালার সবচেয়ে গৌরবজনক নাম হলো আল্লাহ। এটাই আল্লাহ সুব হা নাহু ওয়া তায়ালার প্রধান নাম। আর আল্লাহ নামটি এসেছে আল-ইলাহ থেকে অর্থাৎ যার উপাসনা করা হয়, যার ইবাদাত করা হয়। এজন্য সমগ্র কুরআন জুড়ে আল্লাহ নামটির ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। আপনাকে আমাকে এই কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য যে, যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, যিনি আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন, যাকে আমরা বিপদের সময় ডাকি – একমাত্র তিনিই আমাদের উপাসনা পাওয়ার যোগ্য। আমাদের এই মালিক, যাকে আমরা আল্লাহ নাকে ডাকি, তিনি সকল সুন্দরতম নাম এবং উপাধির অধিকারী। আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালা হলেন – আল ওয়াদুদ- ভালবাসাপূর্ণ, স্নেহময় এবং প্রিয়তম। এই পৃথিবীতে আপনার জন্য যত ভালবাসাই থাকুক না কেন – সেটা হতে পারে আপনার বন্ধুদের নিকট থেকে, আপনার স্ত্রীর কাছ থেকে, আপনার মাতা পিতার কাছ থেকে, এই দুনিয়ার অন্য সবার কাছ থেকেই হউক – আপনার অন্তর সবসময় অপূর্ণ থেকে যাবে। আর এই অপূর্ণতা একমাত্র আল্লাহর ভালবাসার মাধ্যমেই পূর্ণ হতে পারে। এ বিষয়টি ইবনে কাইয়েম (র) এভাবে বর্ণনা করেছেন- ”প্রকৃতপক্ষে অন্তরের শূন্যতা একমাত্র আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালার ভালবাসার মাধ্যমেই পূর্ণ হতে পারে।” এই ব্যাপারটি আমাদের অনেকেই উপলব্ধি করতে সমর্থ হয় না। মানব জাতির অনেকেই এটা উপলব্ধি করে না। তাই তারা অন্তরের এই শূন্যতা দুনিয়াবী লালসা দ্বারা পূর্ণ করতে চায়। হতে পারে সম্পদের মাধ্যমে, নারীর মাধ্যমে বা অন্য যে কোন মাধ্যমে- তারা প্রবৃত্তির লালসা দ্বারা এটা পূর্ণ করতে চায়। কিন্তু এতোসব কিছু দ্বারা চেষ্টা করা সত্ত্বেও এই শূন্যতা তারা আরও তীব্রভাবে অনুভব করে। তারা হয়তো এই শূন্যতা মদ্যপানের মাধ্যমে পূরণ করতে চায় বা যে কোন নেশাজাতিয় দ্রব্যের মাধ্যমে- কিন্তু এর পরিণতি কি? আবার সেই শূন্যতা। তারা দুনিয়াবি সব কিছু দ্বারা অন্তরের এই ফাঁকা জায়গাটা পূর্ণ করতে চায়...
তরুণ-তরুণীরা দয়া করে মনোযোগ দিয়ে শুনুন। আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালা সূরা ফুরকানের ৭২ নং আয়াতে বলেন – وَالَّذِينَ لَا يَشْهَدُونَ الزُّورَ ”তারা এমন মানুষ যারা কখনো অর্থহীন বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে থাকে না।” ‘যুর’ শব্দটির অর্থ হলো মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া কিংবা এর আর একটা মানে হলো এমন সঙ্গী যারা অকেজো, যাদের দ্বারা কোনো উপকার আশা করা যায় না, তারা ‘বাতিল’। অন্যভাবে বললে তারা রাতের ২টা পর্যন্ত আড্ডাবাজি করে না। তারা রাত ৩ টা পর্যন্ত অর্থহীন কথাবার্তা বলতে থাকে না। তারা এমনটা করে না। কিন্তু কেন করে না? কারণ তারা তাওবা করেছে। আর যখন কেউ তাওবা করে সে জানে… আপনি যখন কোন বড় পাপ করে ফেলেন, জানেন? সেই বড় পাপ কাজ করতে কিভাবে উদবুদ্ধ হয়েছেন? আপনি শুরু করেন খুব ছোট গুনাহ দিয়ে আর সেটা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে তারপর আপনি বড় গুনাহ করে ফেলেন। আর একসময় বুঝতে পারেন আপনার গুনাহ গুলো সঙ্গদোষের কারণেই হয়েছে। যাদের সাথে আপনি সময় কাটান তারা আপনার জন্য এসব পাপ করা খুব সহজ করে দিয়েছিলো। তো আল্লাহ বলেছেন যখন তারা তাওবা করে ফেলেছে তারা নিশ্চিত করে যেন কখনোই কোন অশুভ আড্ডায় বসতে না হয়। তারা কখনো কোন মিথ্যার আসরে সময় কাটায় না। কখনো কখনো আপনি পার্টিতে যাওয়ার দাওয়াত পেয়ে যান, আর যারা দাওয়াত করে তারা হয়ত খুব একটা ধার্মিক নয়। তো সেখানে কান ফাটানো বাজনা বাজে, মেয়েরা মেকআপ করে আসে, ছেলে মেয়ে সবাই একসাথে। আর আপনি এই পার্টির মাঝে আটকা পড়েছেন। আপনি নিশ্চয়ই দাঁড়িয়ে বলবেন না, ‘ওয়াল্লাযীনা লা ইয়াশহাদুনা আয্যুরা’ আর বলে হন হন করে বেরিয়ে গেলেন! কিন্তু আপনি অযুহাত দেখাতে পারেন। ‘আমার একটু বের হতে হবে’ বলে বেরিয়ে পড়লেন। আপনি মসজিদে মাগরিব পড়লেন আর ইশা পর্যন্ত সেখানেই রইলেন। ইশা পড়ে পার্টিতে ফেরত এসে দেখলেন সবাই...