উস্তাদ নুমান আলী খান

নুমান আলী খান একজন মুসলিম দা’ঈ। কুর’আন এর জ্ঞানে তার অসাধারণ গভীরতা এবং সুন্দর উপস্থাপনা শৈলীর কারণে সমগ্র বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশ এবং বাংলাভাষাভাষী অনেক ইসলাম অনুরাগী তরুণ তাঁর অসাধারণ আলোচনা থেকে উপকৃত হচ্ছে নিয়মিত …

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন

বর্তমানে আমরা ফেইসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল এ নুমান আলী খানের লেকচার গুলো নিয়মিত প্রকাশ করছি এবং এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে তা শ্রেণীবদ্ধ ভাবে সংরক্ষণ করছি। আপনি আমাদের ফেইসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল লাইক /সাবস্ক্রিপশন করে আমাদের সাথে আরো নিবিড় ভাবে সংযুক্ত থাকতে পারেন।

আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন…

সংযুক্ত থাকুন

ভিডিও + প্রতিলিপি

প্রত্যাশার মাস রামাদান – ২য় পর্ব

একটু কল্পনা করুন, আদম (আ) এর কেমন খারাপ লাগতো! যখন তিনি ভাবতেন যে, তিনি আল্লাহর কত নিকটে ছিলেন, আর এখন তিনি আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালা থেকে কত দূরে! তাকে এতো বেশি সম্মান এবং মর্যাদা দেয়া হয় যে ফেরেশতাদের পর্যন্ত নির্দেশ দেয়া হয় তাঁকে সেজদা করার জন্য। আর এখন তিনি এই পৃথিবীতে। প্রসঙ্গক্রমে, যে আয়াতে তাঁকে পৃথিবীতে নেমে যাওয়ার জন্য বলা হয় – اهْبِطُوا مِنْهَا جَمِيعًا ۖ – ” তোমরা সবাই নীচে নেমে যাও।” এখানে আমাদের পিতা আদম (আ), আমাদের মা হাওয়া (আ) এবং ইবলিশ তিনজনকেই নীচে নেমে যাওয়ার জন্য বলা হয়। অর্থাৎ – এখন আমাকে এই জায়গা ইবলিশের সাথে শেয়ার করতে হবে! আমি ফেরেশতাদের সাথে থাকতাম আর এখন ইবলিশ এবং তার চেলা-চামুন্ডাদের সাথে থাকতে হবে?? আমার অবস্থাটা কেমন হয়ে গেল। এটা অপমানকর। তাঁর উপর তিনি আল্লাহ আজ্জা ওয়া জ্বাল থেকে দূরে থাকার বেদনা তো অনুভব করতেনই। আল্লাহ তাকে এভাবে পাঠিয়ে দেয়ার সময় বললেন তোমার এবং তোমার সন্তানদের এখানে আবার উঠে আসার সুযোগ রয়েছে। তোমাদেরকে নিচে নামিয়ে দেয়া হয়েছে কিন্তু আবার উঠে আসার সুযোগ রয়েছে। তাই আল্লাহ তাকে বলেছেন – فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُم مِّنِّي هُدًى فَمَن تَبِعَ هُدَايَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ – “অতঃপর যখন আমার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে কোন হিদায়াত আসবে, তখন যারা আমার হিদায়াত অনুসরণ করবে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না’।” জান্নাত থেকে নেমে যাও। কিন্তু যখন আমার পক্ষ থেকে কোনো পথনির্দেশনা আসবে…এখানে বহুবচন ব্যবহার করা হয়েছে, অর্থাৎ শধু আদম (আ) নয় বরং তার সন্তানদের প্রতিও যদি কোনো পথনির্দেশনা আসে, ইতিহাসের যে কোনো সময়…. যখন আমি হেদায়েত পাঠাবো তখন যে কেউ তা মেনে চলার সিদ্ধান্ত নিবে তাদের কোন ভয় থাকবে না এবং তারা দুঃখিতও হবে না’। তাদের কোন ভয় থাকবে না...

প্রত্যাশার মাস রামাদান – প্রথম পর্ব

আজ আমি আপনাদের সাথে এই অসাধারণ মাসের কিছু ইতিহাস শেয়ার করতে চাই যে মাসটি আমরা প্রত্যেকে প্রত্যক্ষ করবো বলে আশা করছি। আমি প্রথমেই আল্লাহর কাছে এই দোয়া করে শুরু করছি যে, আল্লাহ যেন আমাদেরকে এই আসন্ন মাস থেকে সর্বোচ্চ উপকার গ্রহণের তৌফিক দান করেন। এবং তিনি যেন এই মাসটিকে আমাদের সারা বছরের হেদায়েতের ও ক্ষমা পাওয়ার উৎসে পরিণত করেন। আর এর মাধ্যমে আমাদের অন্তর যেন আল্লাহর প্রতি আরো কোমল হয়ে উঠে এবং আমরা যেন একে অপরের প্রতি আরো সহনশীল হয়ে উঠতে পারি। কুরআন মাজিদের একমাত্র সূরা যেখানে রামাদান সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে, সূরাতুল বাকারা, সেই সূরার কিছু অংশ আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চাই। রামাদানের আয়াতটি সূরা বাকারার যে অংশে উল্লেখ করা হয়েছে, তা আসলে বেশ আগে থেকে চলে আসা একটি বক্তব্যের বর্ধিতাংশের অন্তর্ভুক্ত। এই বক্তব্যটি আসলে আদম আলাহিস সালামের আলোচনা দিয়ে শুরু হয়েছে। আল্লাহর এই অসাধারণ সৃষ্টি আদম আলাইহিস সালাম…তিনি এমনকি ফেরেস্তাদের ও বলেছিলেন তাঁর এই বিস্ময়কর সৃষ্টিকে সেজদা করার জন্য। এই অসাধারণ সৃষ্টিকে জান্নাতে বসবাসের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। সবকিছুর শেষে আমরা যেখানে ফেরত যেতে চাই। এই বিষয়টা উপলব্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আল্লাহ বলেছেন – أُولَٰئِكَ هُمُ الْوَارِثُونَ – الَّذِينَ يَرِثُونَ الْفِرْدَوْسَ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ – “তারাই উত্তরাধিকার লাভ করবে। তারা শীতল ছায়াময় উদ্যানের উত্তরাধিকার লাভ করবে। তারা তাতে চিরকাল থাকবে।” উত্তরাধিকার মানে আপনার পূর্বপুরুষরা এটার মালিক ছিল। এটাই এর অর্থ। সেই জান্নাতের বাসস্থান আমাদের পিতা আদম আলাইহিস সালাম কে দেয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই মানব জাতির যাত্রা শুরু। তাই আমরা যখন জান্নাতে ফেরত যাব আমরা আসলে সেটা উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করবো। যা ইতিমধ্যে আমাদেরকেই দেয়ার কথা ছিল। আমরা সবাই জানি যে, দুনিয়াতে এক ধরণের কিছু অর্থ/সম্পদ আছে যা আপনাকে পরিশ্রম করে উপার্জন করতে হবে। আবার অন্য ধরণের...

প্রবন্ধ

একজন মানুষ কিভাবে তাওবা করবে?

খুব সংক্ষেপে বলছি।  এক নাম্বার: তাওবা করার ক্ষেত্রে আন্তরিক হওয়া। তাওবা হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।  দুই নাম্বার: সত্যিকারের অনুশোচনা থাকতে হবে এবং নিজেকে অপরাধী মনে করতে হবে। এটা ছাড়া কোনো তাওবা নেই। তাওবা অন্তর থেকে আসতে হবে। আর অন্তরকে উপলব্ধি করতে হবে যে, আমি অন্যায় করেছি। আমি ভুল করেছি। আমার ঐ টাকাটা নেওয়া উচিত হয়নি। আমার অমুক কাজটি করা ঠিক হয়নি। আমার ঐটা খাওয়া বা পান করা উচিত হয়নি। যে কাজটি আমি করেছি তা করা উচিত হয়নি। অন্তরে খাঁটি অনুতাপ থাকতে হবে।  আমাদের রাসূল (স) বলেছেন – তাওবার মূল হল অনুশোচনা অনুভব করা। (আন-নাদামু তাওবা) অনুতাপ অনুভব করা তাওবার অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য। তাহলে, দুই নাম্বার হল, অনুশোচনা অনুভব করা।  তিন নাম্বার: ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করা জিহ্বা দিয়ে। আপনি আল্লাহর কাছে এভাবে চাইবেন – ইয়া গাফ্ফার! ইয়া তাউয়াব! ইয়া রাহমান! আমাকে মাফ করে দিন। এরপর, তাওবা যথাযথ করতে হলে ….. এতক্ষণ যা বলেছি তা হল সর্বনিম্ন। আর তাওবাকে পূর্ণ করতে হলে….আর আল্লাহ আমাদের কাছে পূর্ণাঙ্গ তাওবা আশা করেন, তিনি বলেন – হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা কর, খাঁটি তাওবা। একটি যথাযথ তাওবা। আর তাওবাকে যথাযথ করতে হলে আমাদেরকে আরো দুইটি শর্ত এর সাথে যোগ করতে হবে।  যদি এই দুইটি শর্ত পূরণ করা না হয়, তাহলে তাওবা পরিপূর্ণ হবে না। এটা হয়তো সি গ্রেইড, এ গ্রেইড নয়। তাওবাটা পূর্ণাঙ্গ নয়।  শেষ দুইটি শর্ত একটি যথাযথ তাওবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তা হল, পাপটি ভবিষ্যতে আর না করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা। কারণ, যে ব্যক্তি এটা জেনে তাওবা করে যে সে এই পাপটি আবার করবে, সে তাওবাকে পূর্ণ করলো না। এটি পরিপূর্ণ আন্তরিক তাওবা নয়। আমি বলছি না যে এটা মিথ্যা তাওবা। না, এটা অর্ধ-হৃদয়ের তাওবা। এটা খাঁটি তাওবা নয়। কোন...

নূরুন ‘আলা নূর

— উস্তাদ নোমান আলী খান  আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালা বলেন –  اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ مَثَلُ نُورِهِ كَمِشْكَاةٍ فِيهَا مِصْبَاحٌ الْمِصْبَاحُ فِي زُجَاجَةٍ الزُّجَاجَةُ كَأَنَّهَا كَوْكَبٌ دُرِّيٌّ يُوقَدُ مِن شَجَرَةٍ مُّبَارَكَةٍ زَيْتُونِةٍ لَّا شَرْقِيَّةٍ وَلَا غَرْبِيَّةٍ يَكَادُ زَيْتُهَا يُضِيءُ وَلَوْ لَمْ تَمْسَسْهُ نَارٌ نُّورٌ عَلَى نُورٍ يَهْدِي اللَّهُ لِنُورِهِ مَن يَشَاء وَيَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ لِلنَّاسِ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ আল্লাহ হলেন সমস্ত আসমান ও যমীনের নূর (আলো)। তাঁর নূরের দৃষ্টান্ত হলো যেন একটি তাক – যার ভিতরে রয়েছে একটি প্রদীপ; প্রদীপটি রয়েছে একটি স্বচ্ছ কাঁচপাত্রের আবরণের ভিতরে; কাঁচটি (নিজেও) যেন একটি উজ্জ্বল তারকা, যা প্রজ্জ্বলিত করা হয় বরকতময় যায়তুন গাছ (থেকে নিসৃত তেল) দ্বারা; যা পূর্বমুখি নয়, আবার পশ্চিমমুখিও নয় (বরং উভয়দিক থেকেই আলোপ্রাপ্ত, সর্বদা প্রজ্জ্বলিত)। আগুন তাকে স্পর্শ না করলেও সেই তেল এতই বিশুদ্ধ স্বচ্ছ যে (তাতে আগুন না দিলেও) তা যেন নিজে নিজেই জ্বলে উঠার নিকটবর্তী। আলোর উপরে আলো। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে করেন তার নূরের দিকে পথ দেখান। আল্লাহ মানুষের (বোঝানোর) জন্য (এসব) দৃষ্টান্ত পেশ করেন। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ।  [সূরা নূরঃ ৩৫] আপনাদের অনেকেই এই আয়াতের সাথে পরিচিত। এর সাধারন অনুবাদ করা হয় “আল্লাহ হলেন আকাশ এবং পৃথিবীর জ্যোতি।” পরবর্তী কয়েক মিনিটে আমি এই আয়াতগুলো নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলতে চাই।  ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে আমি বলতে পারি, আল্লাহর কিতাবকে গভীরতার বিভিন্ন ধাপে অধ্যয়ন করা যায়। আর আল্লাহর এই কিতাবের গভীরতার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। এর কোনো শেষ নেই। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে এই কিতাব নিয়ে অধ্যয়ন করছি। এই অভিজ্ঞতার ফলে আমি একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, এমনকি একটি আয়াত নিয়ে অনেক অধ্যয়ন করার পরও আপনি কেবল আপনার সামর্থ অনুযায়ী অল্পই জ্ঞান লাভ করতে পারেন। তারপর যখন এই আয়াত নিয়ে এমন কারো ব্যাখ্যার সন্ধান পান...

মৌমাছির মত হও।

— নোমান আলী খান  আল্লাহ তায়ালা বলেন – وَأَوْحَىٰ رَبُّكَ إِلَى النَّحْلِ أَنِ اتَّخِذِي مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا وَمِنَ الشَّجَرِ وَمِمَّا يَعْرِشُونَ – আর তোমার রব মৌমাছিকে আদেশ দিলেনঃ ‘তুমি পাহাড়ে ও গাছে এবং তারা যে গৃহ নির্মাণ করে তাতে নিবাস বানাও।’  ثُمَّ كُلِي مِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ فَاسْلُكِي سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلًا ۚ يَخْرُجُ مِن بُطُونِهَا شَرَابٌ مُّخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِّلنَّاسِ ۗ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ – “অতঃপর প্রত্যেক ফল থেকে আহার কর, অতঃপর তোমার প্রতিপালকের (শিখানো) সহজ পদ্ধতি অনুসরণ কর। এর পেট থেকে রং-বেরং এর পানীয় বের হয়। এতে মানুষের জন্য আছে আরোগ্য। চিন্তাশীল মানুষের জন্য এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে।” (16:68-70)   একজন মুসলিমের চিন্তাপদ্ধতি অন্য সবার চেয়ে ভিন্ন। এর কারণ হল আল্লাহর বই। এটা আমাদের চিন্তা ধারাকে রূপদান করে। বস্তুত, আজ আমি আলোচনা শুরু করতে চাই সূরা মূলকের একটি আয়াত দিয়ে। যেখানে বলা হয়েছে –  লোকেরা জাহান্নামে প্রবেশ করছে, আর প্রবেশ করা কালে তাদেরকে তাদের অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। তখন, তারা উত্তরে বলবে,  وَ قَالُوۡا لَوۡ کُنَّا نَسۡمَعُ اَوۡ نَعۡقِلُ مَا کُنَّا فِیۡۤ اَصۡحٰبِ السَّعِیۡرِ  – বিখ্যাত একটি আয়াত –  “এবং তারা বলবেঃ যদি আমরা শুনতাম…চলুন, এখানে একটু থামি। এখানে কী শুনার কথা বলা হচ্ছে? যদি কুরআন শুনতাম! যদি ইসলামের বার্তা শুনতাম! যদি উপদেশগুলো শুনতাম! এই অংশটি সবাই বুঝে। কিন্তু এরপর আয়াতে ‘ও না’কিলু’ বলা হয়নি, বলা হয়েছেঃ ‘আও না’কিলু’, লাও কুন্না নাস্মাউ’ আও না’কিলু। আর আরবিতে ‘আও’ অর্থঃ অথবা। যদি আমরা শুনতাম অথবা বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম। অর্থাৎ, যদি শুনতাম অথবা অন্ততপক্ষে চিন্তাভাবনা করতাম।  কথাগুলো এভাবে উপস্থাপনের পেছনে শক্তিশালী উদ্দেশ্য রয়েছে। একদিকে, মুসলমানরা কিছু শুনলে সেখান থেকে শেখার চেষ্টা করবে। আমরা খুৎবা শুনি, রিমাইন্ডার শুনি, লেকচার শুনি, কিছু পড়লেও আমরা ঐখান থেকে শিখি। এগুলো থেকে আমরা...

ছেলেরা কিভাবে মেয়েদের কৌশলে ফাঁদে ফেলে?

إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌۢ بِمَا يَصْنَعُونَ ﴾ নিশ্চয় তারা যা পরিকল্পনা তৈরি করে আল্লাহ তা খুব ভালোভাবে খবর রাখেন।﴿ [সূরা নূর: ৩০] “এবং তিনি জানেন যা তোমরা ম্যানুফ্যাকচার (Manufacture) করো”। আল্লাহ এখানে ছেলেদের একটা উদ্দেশ্যের কথা বলছেন। সেটা হলো ছেলেরা যে কৌশল অবলম্বন করে একটা মেয়েকে নিজের ফাঁদে টানে; প্রেম, যিনা বা মেলামেশার দিকে টানে। এই কৌশলী পরিকল্পনার ইংরেজি প্রতিশব্দ Manufacture (ম্যানুফ্যাকচার)। এই ‘ম্যানুফ্যাকচার’ মানে কী? ‘ম্যানুফ্যাকচার’ মানে উৎপাদন করা, উদ্ভাবন করা। উৎপাদনে কী থাকে? একটা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা! হ্যাঁ, একটা ছেলে যেকোনো মেয়েকে কৌশলে নিজের আয়ত্বে আনতে পরিকল্পনা অনুযায়ীই আগাতে থাকে। ধরুন, একটা গাড়ি তৈরি করতে কতগুলো অংশ (পার্টস) লাগবে, কী কী রঙ লাগবে, কোন অংশ আগে জোড়া দিতে হবে, কোন অংশ শক্ত হতে হবে, কোন অংশ নরম হবে, কোনটিকে কত বছরের জন্য টেকসই হিসেবে দিতে হবে, গাড়িটি তৈরি করতে কত সময় লাগবে, মার্কেটিং কীভাবে করবো, বিক্রি করবো কোথায়, কীভাবে ইত্যাদি সবই পূর্ব-পরিকল্পনা করা থাকে। এই প্ল্যান (পরিকল্পনা) আশাপূর্ণ ফল লাভের জন্য খুবই কার্যকরী আর সুপরিকল্পিত কাজ না থাকলে কোম্পানির জিনিসটি ভালো চলে না। এভাবে একটা ছেলে যখন মেয়েকে নিয়ে গেমের মতো বিস্তারিত প্ল্যান করে, সেটাও আল্লাহ জানেন বলে এই আয়াতে উল্লেখ করেছেন। প্রথমে ছেলেটা মেয়ের দিকে তাকায়। এরপর পিটপিট করে করে তাকানো, মিটমিট করে হাসা চলতে থাকে। তারপর একটু কৌশলে জিজ্ঞেস করে তোমার ফেইসবুকে আইডি আছে? কী নামে? এভাবে কৌশলে একটু কাছে এসে বলে, ‘আমি আসলে তোমাকে ইসলাম বিষয়ে জানতে আরো সহযোগিতা করতে চাই’। ‘ঐ জায়গায় কিন্তু ইসলামী আলোচনা হয়, চলো না যাই একদিন’। ‘ঐ ফেইসবুক গ্রুপে অনেক সুন্দর আলোচনা হয়, ঐখানে জয়েন করাই?’ আর মেয়েটিও এভাবে বলে, ‘হ্যা, অবশ্যই, এই যে আমার ফেইসবুক একাউন্ট, আমাকে ভালো ভালো গ্রুপে এড করে দিবেন দয়া করে’। এভাবে ছেলের সাথেও ফেইসবুকে বন্ধু...

জেলখানা থেকে এক ভাইয়ের চিঠি।

— নোমান আলী খান সবাইকে আসসালামু আলাইকুম। আজকে আলোচনা করার প্ল্যান ছিল না। আমি একটা চিঠি পেয়েছি। এরপর আর নিজেকে থামাতে পারিনি। আপনাদের চিঠিটি পড়ে শুনাচ্ছি। আমি আমার ভাইয়ের নাম গোপন রাখবো। “আমার নাম …(আমি তাকে আমার প্রিয় ভাই বলবো।) চিঠির পোস্ট মার্ক থেকে আপনি বুঝবেন, আমি বর্তমানে জেলে বন্দী আছি। জীবনে এমন কিছু ভুল কাজ করেছি, যা নিয়ে আমি গর্বিত নই। কিন্তু এই রামাদানে, আমার মন বলছে আল্লাহ্‌ আমাকে পরিবর্তন করে দিবেন, আমার জানার চেয়েও বেশি উপায়ে। আপনাদের সবার মত ইসলাম সম্পর্কে আমি অতটা জ্ঞানী নই। দেখুন, আল্লাহর রহমতে আমি অনেকটা স্বশিক্ষিত, আমার প্রতিনিয়ত অনুসন্ধান এবং অধ্যয়নের মাধ্যেম। আমার অন্তরে ইসলাম আমার ধর্ম এবং মুহাম্মাদ (স) আমার নবী, শেষ নবী হিসেবে। আমি গত বছর থেকে কুরআন এবং হাদিস অধ্যয়ন করার চেষ্টা করছি। আমি অন্য ভাইদের কাছে সাহায্যের আবেদন করিনি। কারণ, আমি ভয় পাচ্ছি সমাজের লোকজন আমাকে অপমান করে থামিয়ে দিবে। সত্যি বলতে, আমার সাহায্য দরকার আরও শিখার ক্ষেত্রে। কারণ, আমি একা একা ভালভাবে শিখতে পারবো না। যে কারণে আমি আপনাকে এই চিঠি পাঠিয়েছি, আমি জেলে থেকে আমার ট্যাবলেটে নোমান আলী খানের অডিও পডকাস্ট শুনছি। এই খুৎবাগুলো প্রতিদিন আমাকে শক্তি এবং অনুপ্রেরণা যোগায়। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আমি এগুলোর জন্য অনেক বেশি বাধিত এবং কৃতজ্ঞ। কারণ, আল্লাহ আমাকে আমার এই ভ্রমণে এতো বেশি সাহায্য করেছেন যে, আমি নিজের ভেতরে পরিবর্তন অনুভব করছি। আর আমার ঈমান দিন দিন আরো শক্তিশালী হচ্ছে। এমনকি এমন দিনগুলোতেও যখন মুসলিম থাকা খুবই কঠিন। যাইহোক, আগামী কাল রামাদান। (চিঠিটি রামাদান শুরু হওয়ার পূর্বে লিখা হয়।) আমার কাছে পড়ার উপকরণ খুবই কম। এবং ভালোভাবে শেখানোর জন্য তেমন কোনো ভাইও নেই। তাই, আমি আমার বোনকে বলেছি গুগুলে আপনার ঠিকানা খুঁজতে। যাইহোক, ভাই প্লিজ, আমি কি...

মু’জিযা

No Results Found

The page you requested could not be found. Try refining your search, or use the navigation above to locate the post.

Facebook Like

সাথেই থাকুন

 

<—-Facebook & YouTube —->

Youtube Subscriber