ভিডিও + প্রতিলিপি

জাহান্নামে অল্প কিছু দিন
এই দলটি খুবই সুন্দর যাদের আল্লাহ ভালবাসেন। কারণ তারা আল্লাহকে কেবলমাত্র একটি অনুরোধই করে, “হে আল্লাহ, আমি জাহান্নাম দেখতে চাই না।” আমি চাই আমাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখো। আমি এর খেকে দূরে থাকতে চাই। জাহান্নামের শাস্তি অনেক কঠিন। এটা অনেক বড় শাস্তি, আমি তা সহ্য করতে পারব না, আমি এর সম্পর্কে চিন্তাও করতে পারি না। ইহা একটি ভয়ঙ্কর জায়গা- অল্প বা অধিক সময়ের জন্য। আমি এই অংশটুকু আপনাদের কাছে ব্যাখ্যা করব। ইহা একটি ভয়ঙ্কর জায়গা “মুস্তাকাররান”-অল্প সময়ের জন্য, “ওয়া মুকামা”-অধিক সময়। এমন কিছু লোক আছে, যেমনটি আমি ছিলাম, আমি নিশ্চিত আপনারা এটা ইউটিউবে দেখেছেন, যদি আপনারা আমার ভিডিও ফলো করে থাকেন, ফ্লোরিডায় এক যুবতী মেয়ে একটি ইউথ প্রোগ্রামে আমাকে একটি লিখিত প্রশ্ন করেছিল। সে বলেছিল, “আমি অনেক হারাম কাজ করেছি, কিন্তু আমি চিরদিনের জন্য জাহান্নামে যাব না, তাই নয় কি? কারণ আমি মুসলিম। তাই আমি জাহান্নামে গেলেও তা চিরদিনের জন্য নয়।” এই দোয়াটি বলে, “আমি জাহান্নামে যেতে চাই না, অধিক সময়ের জন্যও নয়, অল্প সময়ের জন্যও নয় আমি তা দেখতে চাই না”। আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা বোঝে যে , তারা জাহান্নামের কোন অংশই চায় না- ছোট কিংবা বড়।কিছু মুসলিম আছে যারা বলে, “অবশ্যই আমি চিরদিনের জন্য জাহান্নামে যেতে চাই না। হয়তো এক সপ্তাহের জন্য। হয়তো আমরা এতটুকু খারাপ কাজ করতে পারি।” আপনারা জানেন, এটা ইহুদীদের থেকে এসেছে।তারা বলেছিল, “অল্প দিনের জন্য আমরা তা সামলাতে পারব।এর পরেই জান্নাত।তাই দুনিয়ায় ফুর্তি কর, এক সপ্তাহ শাস্তি ভোগ কর এবং অতঃপর জান্নাতে ফিরে যাও! এ আর এমন কি?” আল্লাহ বলেন, “তারা করুণাময়ের প্রকৃত গোলাম নয়”। করুণাময়ের প্রকৃত গোলাম সেই বিশেষ লোকেরা। যারা বলে, “হে আল্লাহ, আমি জাহান্নাম দেখতে চাই না, এক দিন বা দুই দিনের জন্য নয়, এক মিনিট বা এক সেকেন্ডের জন্যও...
রামাদান কর্ম পরিকল্পনা ৩য় পর্ব । (সমাপ্ত)
তারপর আল্লাহ বলেছেন, وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَاكُمْ যাতে তোমরা সেভাবে আল্লাহ তাআলার মহত্ত্ব বর্ণনা করতে পার যেভাবে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন । এখন, এটি অনেক কিছু বুঝায়, তবে আমি অন্তত একটি ব্যাপার তুলে ধরতে চাই, একটি উদাহরন দ্বারা, আমি যদি কোথাও চাকরি করি, আমি মাত্র একটি চাকরি পেয়েছি, এবং ধরুন, আমার কাজ হচ্ছে দুটা। আমাকে ফোনের উত্তর দিতে হবে এবং ইমেইলের উত্তর দিতে হবে। এটিই আমার কাজ। আমাকে আর কিছু করতে হবে না। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, নিজে-নিজেই সিদ্ধান্ত নিলাম, ভাল হবে যদি আমি কিছু ফটোকপির কাজ করি, ফ্রন্ট-ডেস্কে সাহায্য করি, এবং আমি আমার মূল কাজ বাদ দিয়ে এসকল এক্সট্রা কাজকর্ম করি। এবং আমার বস আমায় এসে প্রশ্ন ছুড়েন যে কেন আমি ফোনের উত্তর দিচ্ছি না। আমার উত্তর যদি হয় যে, আমি মনে করেছিলাম ওটা গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। কি মনে করেন আমার চাকরি থাকবে? না। আমাকে নির্দিষ্ট কিছু কাজ করার জন্য চাকরি দেয়া হয়েছে। আমার যে সকল কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, সেগুলো আমি ঠিক করি না। সেগুলো অলরেডি আমার বস আমার জন্য ঠিক করে দিয়েছেন। আমার বস আমাকে বলেন, এটি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ, ওটি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ, উনি যেটাকে গুরুত্ব দেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ এবং যেটাকে দেন না সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। সিদ্ধান্ত নেন তিনি, আমি না। আমি কেন এটি বলছি? কারন আমরা আল্লাহ্র মহিমা ঘোষণা করি। আল্লাহ মহিমান্বিত এবং আল্লাহ আমাদের জন্য অগ্রাধিকার নির্ধারণ করেন যেভাবে তিনি আমাদের পথনির্দেশ দেন তার উপর ভিত্তি করে। عَلَىٰ مَا هَدَاكُمْ কোন কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে সেই সিদ্ধান্ত আপনি বা আমি নিই না। কিছু ব্যক্তিদের জন্য রমযানের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে না খেয়ে থাকা, এক মাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজ (তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে)। মাঝে মাঝে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় সামাজিকতাকে, ‘আজকে আমরা কার ইফতারে যাচ্ছি?’ এটি একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজ(তাদের...
রামাদান কর্মপরিকল্পনা (২য় পর্ব)
যারা এখানে বাবা-মা আছেন, আপনাদের বাচ্চাদের আপনারা পুরস্কৃত করুন কুর’আন মুখস্ত করার জন্য এই মাসে। এখন, প্রথম কথা হচ্ছে, আপনাদের উচিৎ সুনির্দিষ্ট সময় ঠিক করা যখন আপনার বাচ্চারা কুর’আন মুখস্ত করবে। এবং তারপর, মুখস্ত শেষ করার জন্য তাদের পুরস্কৃত করুন। এবং আরও ভিডিও গেমস দিয়ে তাদের পুরস্কৃত করবেন না। ভাল কিছু দিন। বুঝছেন তো। তাদের ঘুরতে নিয়ে যান। ঈদে বিশেষ কিছু করুন। কিছু তো করুন। তবে আপনার সন্তানদের উৎসাহের জন্য ব্যবস্থা করতে হবে আপনার। এটি না হয় ছিল শিশুদের জন্য নূন্যতম কিছু। আপনি যদি শেষ করতে পারেন, অলরেডি মুখস্ত করে ফেলেছেন, ব্যাপারটি যদি আপনার জন্য সহজ হয়, আমি একটি বাড়তি সুপারিশ করতে পারি, এটি পুরো পরিবারের জন্য, শুধুমাত্র শিশুদের জন্য নয়, এটি গোটা পরিবারের জন্য, আপনার উচিৎ দৃঢ় সংকল্প করা যে আপনি ২০টি দোয়া মুখস্ত করবেন। এবং, আমি চেষ্টা করব হ্যান্ডআউট তৈরি করতে এই সপ্তাহে যাতে করে তারা আগামি জুমু’ওয়াতে আপনাদের তা পৌঁছে দিতে পারেন, ইন শাা আল্লাহ্। ২০টি দোয়া। ঘরে প্রবেশ করা, ঘর থেকে বের হওয়া, মসজিদে প্রবেশ করা, মসজিদ থেকে বের হওয়া, বাথরুমের জন্য, পানাহারের জন্য, কাপড় পরিবর্তনের, শুধু ২০টি দোয়া। রমযান মাসে। জানেন তা আপনার জন্য কি করবে? তা আপনার বাকি জীবনে পরিবর্তন এনে দিবে। তো, আপনি যখন এই কাজগুলো নিয়মিত করবেন, আল্লাহ্কে স্মরণ করা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। আমাদের সবার কাছে দোয়ার বই-পুস্তক আছে, কিন্তু দোয়াগুলো থাকতে হবে আমাদের মাথায় এবং অন্তরে, কাগজে নয়। আপনাকে দোয়াসমূহ মুখস্ত করতে হবে। তো, পরিবারের জন্য কুরআন মুখস্ত করার প্রজেক্ট এবং দোয়াসমূহ মুখস্ত করুন যদি হাতে সময় থাকে। এটি আপনাদের সবার জন্য সত্যিকার অর্থে কল্যাণকর হবে। এখন আমি বোনদের প্রতি একটু মনোনিবেশ করতে চাই। প্রথম উপদেশ যা আপনাদের দেব তা হোল, আপনার সন্তানদের যা করতে দেবেন, আপনি নিজেও...
রামাদান কর্মপরিকল্পনা (১ম পর্ব)
আলহামদুলিল্লাহ্, আমি মনে করি আপনারা সবাই অবহিত যে রমযান মাস খুব দ্রুতই এগিয়ে আসছে। এবং এটাই উপযুক্ত সময়, আমরা যাতে আমাদের প্রত্যেকটি সুযোগকে কাজে লাগাই নিজেকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য এবং যতটুকু সম্ভব নিজেদেরকে প্রস্তুত করে নিই এই মাসটির সম্পূর্ণ সুযোগ গ্রহণের জন্য। ক্ষমার প্রাপ্তির সুযোগ, আল্লাহ্র জান্নাত লাভের সুযোগ, এবং আমাদের ঈমানকে নতুন করে তরতাজা করার সুযোগ — আমরা যেন এই সুযোগগুলো কোন মতে না হারাই। আর তাই আমি মনে করেছিলাম এটি একটি উপযুক্ত সময় আমার নিজের এবং আমার পরিবারের স্মরণের জন্য এবং আপনি এবং আপনার পরিবারের স্মরণের জন্য, যে কী কী উপায়ে আমরা রমযান থেকে সবচাইতে বেশি লাভবান হতে পারি। সেই কারনেই আমি খুৎবার শুরুতে রমযান সম্পর্কিত আয়াতটি তেলাওয়াত করেছি, এটি কুর’আনে উল্লেখিত রমযান সম্পর্কিত একমাত্র আয়াত। তবে সম্পূর্ণ আয়াতটি বর্ণনা না করে, আমি আয়াতটির শেষাংশের দিকে দৃষ্টিপাত করতে চাই। সাধারনত খুৎবার সময়টুকু হয় আধঘণ্টা বা তার কম, এবং আয়াতের শুরুর অংশ বর্ণনা করতে করতে এত সময় পেরিয়ে যায় শেষের দিকে গেলে আপনি অত মনোযোগ দিতে পারেন না, অথবা খতীবের কাছে খুব কম সময় থাকে রমযান সম্পর্কিত এই আয়াতটির শেষাংশের প্রাচুর্যটা তুলে ধরার। তাই, ইন শাা আল্লাহু তা’য়ালা, আমার আজকের খুৎবা হবে শুধুমাত্র আয়াতটির শেষের অংশ নিয়ে, সুবর্ণ এই রমযান মাস সম্পর্কিত আল্লাহ আজ্জা ওয়া জালের বাণীগুলো নিয়ে। আল্লাহ বলেন, “আল্লাহ আপনার জন্য সহজ করতে চান, তিনি আপনার জন্য কাঠিন্য চান না”। কাউকে এটা বলাই যথেষ্ট যে ‘আমি চাই তোমার কাজগুলো সহজ হোক’, তার উপরে এটা না বললেও হয় যে ‘আমি চাই না যে তোমার কাজগুলো কঠিন হোক’ । আপনি বলতে পারেন ‘আমি চাই খাবার টা সুস্বাদু হোক’। আপনার বলতে হবে না, ‘আমি চাই না খাবার টা খেতে খারাপ হোক’। ব্যাপারটা বলা হয়ে যায় যখন আপনি বলেন,...
এক কানে শুনা, আরেক কান দিয়ে বের করা
উস্তাদ নুমান আলী খানের কুরআন উইকলি তে দেয়া “Quranic Gems” সিরিজ থেকে নেয়া। আজ আমি আপনাদের সাথে সুরা আনফালের দুটি আয়াত আলোচনা করব। আয়াত ২১ ও ২২। এই দুটি আয়াতে আল্লাহ রব্বুল আলামীন শ্রবণের গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ বলেন, “আর তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না, যারা বলে যে, আমরা শুনেছি, অথচ তারা শোনে না।” অতএব শুধু শুনলেই হবে না, মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। এই আয়াতে মনোযোগী শ্রোতা হওয়ার ব্যাপারে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আপনারা জানেন যে, আজকাল আমরা মিডিয়ার উপরখুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। আপনি হয়ত একই সময়ে কিছু শুনছেন এবং অন্য কিছু দেখছেন, আবার হয়ত আপনার বাবা-মার কথাও শুনছেন। আমরা একই সময়ে বিভিন্ন জিনিস নিয়ে ব্যস্ত আছি, কিন্তু আসলে কোনোটাই মনোযোগ দিয়ে করছি না। আমাদের এমন ভাবে নিজেদের তৈরি করতে হবে যে, যখন আমরা কিছু শুনব, আমরা যেন তাতে পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারি। আজকাল এটা খুবই সাধারণ ঘটনা যে, এমনকি জুমুয়ার নামাজে, লেকচারে বা ধর্মীয় আলোচনার আসরেও শ্রোতারা মনোযোগ দিচ্ছেন না। এমনকি আপনারা যখন আমার এই লেকচার শুনছেন আপনারা মোবাইলে মেসেজ চেক করছেন। কেউ কেউ হয়ত মোবাইল ঘাঁটছেন বা ফেইসবুক আপডেট করছেন ।এই ভিডিওটিও শুনার সময়ই আপনি হয়ত অর্ধেক মনোযোগ দিয়ে আমার লেকচার শুনছেন। বাকি অর্ধেকটা দিয়ে অন্য কিছু করছেন। আল্লাহ বলেন, “তাদের মত হয়ো না যারা বলে যে, শুনছি কিন্তু আসলে মনোযোগ দিয়ে শুনে না।” রাসুলাল্লাহকে (সাঃ) তাদের যে সম্মান দেখানোর কথা এখানে তার কথাই বলা হচ্ছে। তাহলে আয়াতের প্রথম অংশে মনোযোগ দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। প্রথম উপদেশ হচ্ছে যে, “আমরা যখন কারো কথা শুনব…” দেখুন, এখানে কিন্তু সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি যে, কার কথা শুনব,এখানে এই মুহূর্তে শুধু শিষ্টাচারের কথাই বলা হচ্ছে। আমাদের ভালো মনোযোগী শ্রোতা হতে হবে। আপনার মা আপনার সাথে কথা বলছেন, ফোন সরিয়ে রাখুন।...প্রবন্ধ
দুঃখিত হওয়া দোষের কিছু নয়
আসসালামু আলাইকুম, সবাইকে স্বাগতম ‘বিস্ময়কর কুরআন’ সিরিজে। কুরআন অধ্যয়নের সময় বিস্ময়কর কিছু পেলে আমি এই সিরিজে তা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আজ আমি কুরআনে উল্লেখিত ইয়াকুব আঃ এর একটি উক্তি নিয়ে কথা বলতে চাই। উনি উনার সন্তানদের সাথে কথা বলার সময় এই উক্তিটি করেন, যখন তার সন্তানরা তার উপর হতাশ হয়ে পড়ছিল এ কারণে যে উনি ইউসুফ আঃ এর কথা ভুলতে পারছিলেন না, আর এটা নিয়ে সবসময় দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে থাকতেন। تَاللَّهِ تَفْتَأُ تَذْكُرُ يُوسُف আপনি কি ইউসুফের কথা মনে করতেই থাকবেন যতক্ষণ না মৃত্যুবরণ করেন ? আপনি কি এটা থেকে নিবৃত হবেন না? তখন তিনি এর জবাবে বলেন – قَالَ إِنَّمَا أَشْكُو بَثِّي وَحُزْنِي إِلَى اللَّهِ আমি আমার দুঃখ এবং অস্থিরতা শুধু আল্লাহর সমীপে নিবেদন করছি। এই কথাগুলো খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের সবারই জীবনে কোন কোন সময় দুঃখজনক ঘটনার মর্মযাতনা সইতে হয়। আর আমরা আমাদের এই দুঃখ অন্যের সাথে শেয়ার করতে চাই। কোন বন্ধু, জ্ঞানী লোক বা আমরা বিশ্বাস করি এমন কারো সাথে এই দুঃখ ভাগ করে নিলে আমরা কিছুটা নিস্তার পাই। মাঝে মাঝে আমরা আমাদের সমস্যার কথা মাতা পিতার সাথে ভাগ করি, বা কোন কাছের বন্ধু, বা কোন ইমামের সাথে। মানুষ আমাকে ইমেইল করে তাদের সমস্যার কথা জানায়। অথবা কোন কনফারেন্সে গেলে এক পাশে ডেকে নিয়ে তাদের বৈবাহিক সমস্যার কথা বলে, ভাই- বোনের দ্বন্দ্বের কথা বলে বা সন্তানদের সাথে বা পিতা- মাতার সাথে গণ্ডগোলের কথা ইত্যাদি বহু রকমের বিষয়। এই আয়াতে ইয়াকুব আঃ এর কথার মধ্য দিয়ে একটি গভীর সত্য প্রকাশিত হয়েছে। হ্যাঁ, আমরা একে অন্যকে সান্ত্বনা দিয়ে থাকি। কিন্তু আমি কখনই আপনার ব্যথা বুঝতে সমর্থ হবো না। এবং আপনি কখনও আমার ব্যথা উপলব্ধি করতে পারবেন না। এটা কখনই ঘটবে না। আমি যে মানসিক যন্ত্রণার মধ্য...আমাদের কারো অবস্থা কি হাঁপাতে থাকা কুকুরের মত?
(১ম পর্ব) (সুরা আরাফঃ১৭৫-১৭৬) আল্লাহ তা’আলা কুরআনের সপ্তম সুরা আরাফের, -যেটা একটি অন্যতম দীর্ঘ মাক্কী সুরা- শেষের দিকে বলেছেন যে উনি নিজেই আয়াত ব্যাখা করেন। আমরা জানি যে আল্লাহ অধিকাংশ সময়ই বলেছেন উনি আমাদের কাছে আয়াত নাজিল করেছেন কিন্তু কখন কখনো এও বলেছেন যে, ‘وَكَذَٰلِكَ نُفَصِّلُ الْآيَاتِ ’ ‘এভাবেই আমরা, আমাদের আয়াতগুলোকে ব্যাখা করি’। আয়াত শব্দটি দিয়ে শুধু ওহীই বোঝায় না, এটা দিয়ে বাস্তব জিনিসও বোঝায়। আল্লাহ আমাদের চারিপাশের সবকিছুই ব্যাখা করেছেন, এবং যখনি কোন কিছু ব্যাখা করেছেন, তার পেছনে অবশ্যই কোন উদ্দেশ্য আছে। আর এই নিদৃষ্ট আয়াতে যে উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হয়েছে তা কিছুটা অদ্ভুত কারন আল্লাহ বলেছেন ’ লা আল্লাহুম ইয়ারজিয়ুন’, ‘’যেন তারা ফিরতে পারে’। আল্লাহ এই আয়াতটিতে একটা কিছু ব্যাখ্যা করতে যাচ্ছেন আর তার উদ্দেশ্য হচ্ছে যারা আল্লাহ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে তাদের সাথে কথা বলা, তারা যেন আবার ফিরতে পারে। এটাই এর উদ্দেশ্য। এই কারণেই উনি বলেছেন, ’ লা আল্লাহুম ইয়ারজিয়ুন’। যেন তারা ফিরতে পারে। এই আয়াতে একটি অদ্ভুত কাহিনী বলা হয়েছে, অনেক সময় এমন হয় যে কুরআনে আল্লাহ কোন কাহিনী হয়তো বলেছেন কিন্তু সেই কাহিনীর চরিত্রগুলোর নাম, তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানান না। জায়গার বা সময়ের ব্যাপারেও বলেন না। বা এর পেছনের ইতিহাসের কোন নির্দিষ্ট বর্ননা নেই যার মাধ্যমে আমরা পুরো ঘটনাটা জানবো। যা সাধারণত যে কোন ইতিহাসের বই থেকে ভিন্ন। প্রকৃতপক্ষে, এই আয়াতের ভাষা এতই সাধারণ যে এটা যে কারো জন্যই প্রযোজ্য হতে পারে। কিন্তু তা স্বত্তেও আল্লাহ এটিকে নির্দিষ্ট করেছেন এই বলে যে ‘وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ الَّذِي آتَيْنَاهُ آيَاتِنَا’ ‘ আর আপনি তাদেরকে শুনিয়ে দিন, সে লোকের অবস্থা, যাকে আমি নিজের আয়াতসমূহ দান করেছিলাম। এখন কে এই ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ তাঁর আয়াত দিয়েছেন? প্রথম লক্ষ্যণীয় জিনিসটি হচ্ছে ‘ওয়াতলু’ শব্দটি। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মক্কার...পরকালীন বিশ্বাসের যৌক্তিকতা
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের অত্যাবশ্যকীয় ফলাফল হলো, আপনি অবশ্যই, অবশ্যই, অবশ্যই পরকালে বিশ্বাস করবেন। এটা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের ফলেই হয়। আপনি যদি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস না করেন, তখন আপনার জন্য এটা মেনে নেওয়া খুবই কঠিন হয়ে যাবে যে, এই জীবনের পরে আরও একটি জীবন আছে। কিন্তু আপনি যদি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করেন, তাহলে এই বিশ্বাসেরই যৌক্তিক পরিণতি হলো পরকাল। কিভাবে? আপনি যদি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করেন, তাহলে আপনি এবং আমি কি এটা বিশ্বাস করি না যে, তিনি সকল কাজই নিখুঁতভাবে করেন? তিনি একদম নির্ভুল, তাই না? আপনি যদি কোন নাস্তিক, দার্শনিক কিংবা অজ্ঞাবাদীর সাথে কথা বলেন, তারা বলবেন, যদি কোন সৃষ্টিকর্তা থাকতো তাহলে তিনি সকল ক্ষেত্রে নিখুঁত – নির্ভুল হওয়াই যুক্তিসঙ্গত। সুতরাং, তাঁর কোন কাজে যদি এই নির্ভুলতার গুণ বা উৎকর্ষের কিছু কম হয়, তাহলে তিনি আর সৃষ্টিকর্তা নন। তিনি যা করেন তা-ই নির্ভুল হওয়ার কথা। এখন, তিনি এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, তাই না? হ্যাঁ, তিনিই সৃষ্টি করেছেন। তাহলে চারপাশে লক্ষ করলে আপনি কি দেখতে পান? ন্যায়বিচার নাকি অন্যায়। আপনি ন্যায়বিচার দেখতে পান না, আপনি চারপাশে অন্যায় – অবিচার দেখতে পান। আপনি দেখেন যে, নিরপরাধ মানুষদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। আপনি দেখতে পান যে, ছোট শিশুরা রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। আপনি আরও দেখতে পান, খুনীরা হাজার হাজার মানুষ হত্যা করে পার পেয়ে যাচ্ছে। যখন একজন মানুষ অন্য দশজন মানুষকে হত্যা করে, এজন্য আপনি তাকে সর্বোচ্চ কি করতে পারেন ? কোন শাস্তিটি তার জন্য সবচেয়ে ন্যায়সঙ্গত হতে পারে ? আপনি তাকে হত্যা করতে পারেন। হ্যাঁ, কিন্তু কতবার ? মাত্র একবার! যদি সে একজনকে হত্যা করে, তাহলে আপনি তাকে একবার হত্যা করতে পারেন, যদি সে এক হাজার মানুষ হত্যা করে, তাহলেও আপনি তাকে একবারই হত্যা করতে পারবেন। আপনি খুব সহজেই এই সিদ্ধান্তে আসতে...জুনাইদ জামশেদের কথা শুনুন তার নিজের জবানিতে
আমার আব্বা ছিলেন খুবই সৎ, কোন হারাম কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারতো না। এ কারণে বাড়ীতে কিছুটা সংযমের হালত বিরাজ করতো। পরিবারের এই টানাটানির অবস্থা দেখে আমার মাথায় টাকা কামাই করার নেশা চাপল। কিভাবে দু’হাতে টাকা কামাই করা যায়, সেই নেশায় হন্যে হয়ে উপায় খুঁজতে লাগলাম। ছোটবেলা থেকে আমার গলা ছিল খুব সুন্দর। আমি সেই গলা কাজে লাগিয়ে সঙ্গীত চর্চা শুরু করলাম। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে চারদিকে আমার বিশেষ সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল। এভাবে এক সময় আমি দেশের সেরা শিল্পীতে পরিণত হলাম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমন্ত্রণ আসতে থাকলো। বাংলাদেশ আর ভারত ছাড়া বিশ্বের সব দেশে গান গাইলাম। আমি একেকটা গানে লাখ লাখ টাকা কামাই করতে থাকলাম। গাড়ী-বাড়ী সবই হল। কিন্তু তারপরও মনে কেন যেন শান্তি পেতাম না। ২০০৩ সালের কথা। একদিন জুন মাসের প্রচণ্ড গরমে করাচীর রাস্তা দিয়ে গাড়ী চালিয়ে যাচ্ছিলাম। বাইরে তখন লু-হাওয়া বইছে। রাস্তায় পায়ে হাঁটা মানুষের সংখ্যা খুব কমই পরিলক্ষিত হচ্ছিল। এমন সময় দেখি, তাবলীগের কিছু ভাই গাশতে বের হয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। আর তাদের শরীর দিয়ে ঝর ঝর করে ঘাম ঝরছে। জামা-কাপড় সব ভিজে গেছে। তাদেরকে দেখে মনে মনে বললাম, লোকগুলো পাগল ছাড়া আর কি! নিজেদের আরামও নষ্ট করছে, অন্যদেরকেও বাড়ী থেকে বের করে কষ্টের মধ্যে ফেলার ফিকির করছে। পরে চিন্তা করলাম, আমি এই এসি গাড়ীতে কত আরামে বসে আছি। কিন্তু এরা কিসের জন্য নিজেদেরকে এই কষ্টের মধ্যে ফেলছে? কেন তারা এই ত্যাগ স্বীকার করছে? এ কথা চিন্তা করে তাদের প্রতি আমার ভক্তি-শ্রদ্ধা জন্মালো। তখন আমি তাদের দু’আ নেয়ার জন্য গাড়ী ঘুরিয়ে একেবারে তাদের আমীর সাহেবের সামনে গিয়ে ব্রেক কষলাম। আমীর সাহেব হতচকিত হয়ে গেলেন। আমি গাড়ী থেকে তাকে সালাম দিলাম। তারপর বললাম, আপনারা অত্যন্ত ভাল কাজ করছেন। আমার জন্য দু’আ করবেন। আমীর সাহেব...জান্নাতে যাওয়ার সহজ মাধ্যমগুলো জেনে নিন
১- প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুন (আশ্হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারী কা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ) এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। (১) ২- প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠ করুণ এতে মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে যেতে পারবেন। (২) ৩- প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার এবং ১ বার (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর) পাঠ করুন এতে আপনার অতীতের সব পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে। (৩) সেই সাথে জাহান্নাম থেকেও মুক্তি পেয়ে যাবেন কেননা দিনে ৩৬০ বার এই তাসবিহগুলো পড়লেই জাহান্নাম থেকে মুক্ত রাখা হয় আর এভাবে ৫ ওয়াক্তে ৫০০ বার পড়া হচ্ছে। (৪) ৪- প্রতিরাতে সূরা মুলক পাঠ করুণ এতে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। (৫) ৫- রাসুল (সাঃ)-এর উপর সকালে ১০ বার ও সন্ধ্যায় ১০ বার দরুদ পড়ুন এতে আপনি নিশ্চিত রাসুল (সাঃ)-এর সুপারিশ পাবেন। (৬) ৬- সকালে ১০০ বার ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি পরলে সৃষ্টিকুলের সমস্ত মানুষ থেকে বেশী মর্যাদা দেওয়া হবে। (৭) ৭- সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পাঠ করলে কিয়ামতের দিন তার চেয়ে বেশী সওয়াব আর কারো হবে না। (৮) ৮- সকালে ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহ, ১০০ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ১০০ বার আল্লাহু আকবার এবং ১০০ বার লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর পাঠ করলে অগণিত সওয়াব হবে। (৯) ৯- বাজারে প্রবেশ করে- (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু য়্যুহয়ী ওয়া য়্যুমীতু ওয়া হুয়া হাইয়ুল লা য়্যামূত, বিয়াদিহিল...মু’জিযা
No Results Found
The page you requested could not be found. Try refining your search, or use the navigation above to locate the post.