উস্তাদ নুমান আলী খান

নুমান আলী খান একজন মুসলিম দা’ঈ। কুর’আন এর জ্ঞানে তার অসাধারণ গভীরতা এবং সুন্দর উপস্থাপনা শৈলীর কারণে সমগ্র বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশ এবং বাংলাভাষাভাষী অনেক ইসলাম অনুরাগী তরুণ তাঁর অসাধারণ আলোচনা থেকে উপকৃত হচ্ছে নিয়মিত …

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন

বর্তমানে আমরা ফেইসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল এ নুমান আলী খানের লেকচার গুলো নিয়মিত প্রকাশ করছি এবং এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে তা শ্রেণীবদ্ধ ভাবে সংরক্ষণ করছি। আপনি আমাদের ফেইসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল লাইক /সাবস্ক্রিপশন করে আমাদের সাথে আরো নিবিড় ভাবে সংযুক্ত থাকতে পারেন।

আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন…

সংযুক্ত থাকুন

ভিডিও + প্রতিলিপি

পর্নোগ্রাফী আপনার আত্মাকে ধ্বংস করে দিবে

HTML Editor – Full Version এরপর আল্লাহ গুরুতর বিষয়টি নিয়ে বলেন। আর এই বিষয় নিয়ে বলেই আসলে আমি আমার কথা শেষ করতে চাচ্ছি। যদিও আরও অনেক কিছু নিয়েই বলা যেত। কিন্তু এই বিষয়টিকে আল্লাহ এত বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন যে বলার মত নয়! ঠিক যেভাবে, ৩টি আয়াত রয়েছে, “শেষ-বিচারের দিন” নিয়ে। এখন পাচ্ছি, وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ  إِلَّا عَلَىٰ أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ فَمَنِ ابْتَغَىٰ وَرَاءَ ذَٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْعَادُونَ (সুরাহ মাআ’রিজঃ আয়াত ২৯-৩১)   ৩টি আয়াত, একই বিষয় নিয়েই, আবারও! একমাত্র অন্য আরেকটি বিষয় যা নিয়ে ৩টি আয়াত এসেছে, কী সেটা? এই তালিকায়, একমাত্র আর কোন বিষয়ে ৩টি আয়াত রয়েছে? –“শেষ-বিচারের দিন”। “শেষ বিচারের দিন এবং শাস্তি”। আর এরপর, পরবর্তী যে বিষয় নিয়ে ৩টি আয়াত এসেছে, জানেন কী সেটা? -“বেহায়াপনা”! আর তাদের কথা, যারা কীনা নিজেদের লজ্জাস্থান কে হেফাজত করে। আমরা বর্তমানে বাস করছি চুড়ান্ত নির্লজ্জ এক পৃথিবীতে। এমন এক পৃথিবী, যেখানে আপনার হাতের মুঠোফোন দিয়েই যেকোন ওয়েবসাইট থেকে যেকোন ভিডিও চালানো যায় অনায়াসেই! পর্নোগ্রাফী ইন্ডাস্ট্রি বর্তমানে একটি মাল্টি-ট্রিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রি!যার উদ্দেশ্য এবং কাজই হল আপনাদের প্রত্যেকেই যেন, কোন না কোনভাবে এসব নোংরামীর ভোক্তা হন, সেটা নিশ্চিত করা। এবং প্রতিটা নারী-পুরুষ ও শিশুর সামনে এইগুলো যেন উন্মোচিত হয়। আর তারা আশা করে আপনিও দেখবেন, আসক্ত হবেন এবং পরিণত হবেন আরও একজন ভোক্তায়! এটা…এটাই হল আমাদের সমাজকে দেয়া পর্নোগ্রাফীর উপহার।এটা তৈরী করছে অমানুষ, মানুষকে পরিণত করছে পশুতে, যৌনবিকারগ্রস্ত মানুষে। এবং আপনাদের মধ্যেই দূর্ভাগ্যক্রমে কারও কারও এই আসক্তি রয়েছে এবং আপনারা এসব জঞ্জাল অনলাইনে দেখছেন। আপনারা দেখেন আবার নিজেদের বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইস বা অ্যাপ এ সেইভ করে রাখেন এবং এই নিয়ে আপনাদের ভিতরে আর খারাপও লাগেনা। কেননা আপনারা নিজেরাই মনেমনে নিজেদের জন্য এগুলোকে গ্রহনযোগ্য ধরে নিয়েছেন। হয়ত...

আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী জীবন যাপন

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম [উস্তাদ নুমান আলী খানের লেকচার অবলম্বনে অনুবাদ] “আর যদি তারা তাওরাত, ইঞ্জিল এবং যা তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে, পুরোপুরি পালন করত, তবে তারা উপর থেকে এবং পায়ের নীচ থেকে (অর্থাৎ আসমানী বরকত এবং ভূ-গর্ভের নেয়ামত) ভক্ষণ করতো। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী এবং অবশিষ্ট বেশিরভাগ লোকই মন্দ কাজ করে যাচ্ছে।” আজকের আলোচনায় সূরা মায়িদাহ এর ৬৬ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন, “ওয়া লাও আন্নাহুম আক্বামুত তাওরাতা ওয়াল ইঞ্জিল” – যদি ঐ লোকেরা তাওরাত এবং ইঞ্জিল প্রতিষ্ঠা করত (পুরোপুরি মেনে চলত)… আল্লাহ এখানে সেই সময়ের ইহুদি এবং খ্রীস্টানদের কথা বলছেন। তাদের উপর তাওরাত এবং ইঞ্জিল নাজিল হয়েছিলো… যদি তারা সেই কিতাব মেনে চলত, “ওয়া মা উনঝিলা ইলাইহিম মিন রাব্বিহিম” – এবং অন্যান্য যেসব কিতাব তাদের প্রভুর পক্ষ থেকে নাজিল করা হয়েছিলো সেগুলো মেনে চলত, “লাআকালু মিন ফাউক্বিহিম ওয়া মিন তাহতিহিম” – তাহলে তারা তাদের উপর থেকে আর তাদের নিচ থেকে আহার পেতো। আল্লাহ বলছেন, যদি তুমি কিতাব প্রতিষ্টা কর, তাহলে শুধু জান্নাতেই সুখী জীবন পাবে না…যে বিষয়ে আগের আয়াতে ৬৫ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে, বরং এখানেও সুখী জীবন পাবে। তুমি উপর থেকে আর নীচ থেকে আহার পাবে। বিষয়টা এমন না যে আল্লাহর কিতাব মেনে চললে সবকিছু হারাতে হবে। অনেক মানুষ মনে করে যদি তারা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী জীবন ধারণ করে তাহলে সে জীবন হবে দুর্বিষহ। জীবনে অনেক কিছু তাদের হারাতে হবে। আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা বলেন, হায় যদি তোমরা জানতে! আমি আসমানের রিযিকের দরজা খুলে দিতাম, জমিনের রিযিকের দরজা খুলে দিতাম। তোমরা শুধু সেসব ভোগ করতে, তোমরা বিলাসী জীবন পেতে… শুধু কী করতে হবে? মাত্র একটা জিনিসই করতে হবে – আল্লাহ’র কিতাব মেনে চলতে হবে। সুবহানাল্লাহ! “মিনহুম উম্মাতুন মুক্বতাসিদাহ ওয়া কাছিরুন মিনহুম সাআ...

প্রবন্ধ

সময়

আল্লাহ সময়কে বাস্তবতার এক সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। আর বাস্তবতাটি হলো মানুষ ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত। এর মানে হলো ইতিহাস জুড়ে মানুষ যে ক্ষতির মাঝে নিমজ্জিত ছিল তার সবচেয়ে বড় সাক্ষী হলো সময় নিজেই। যেসব মানুষ মনে করে যে তারা বিশ্ব সেরা কারণ তাদের অনেক টাকা আছে, বা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, বা তারা দেখতে অনেক সুন্দর, অথবা তাদের সামাজিক মর্যাদা অনেক উপরে বা তারা অনেক জনপ্রিয়। যা কিছুই তাদের থাকুক না কেন যার কারণে তারা নিজেদের অন্যদের চেয়ে উপরে মনে করে….। আপনি আপনার এসব জিনিস যতদিন পারেন ধরে রাখতে পারেন কিন্তু যে জিনিসটি আপনি ধরে রাখতে পারবেন না তা হলো সময়। তাই যদি আপনি দেখতে অনেক সুন্দর হয়ে থাকেন, আজ থেকে চল্লিশ বছর পর আপনার চেহারায় ভাঁজ পড়তে শুরু করবে, মাথায় টাক গজাবে, মোটা গ্লাসের চশমা পরতে হবে। আর সত্তর বছর পর হয়তো ঠিক মত সোজা হয়ে হাঁটতেও পারবেন না, চেহারার মাঝে জায়গায় জায়গায় চামড়া জমাট বেঁধে যাবে। এটা ঘটতে যাচ্ছে। সারা দুনিয়ার সকল সম্পদ আপনার থাকতে পারে, কিন্ত সময় আপনার নিকট থেকে এতো কিছু নিয়ে যাবে যে …. আমি নিজ চোখে এমন মানুষদের দেখেছি যারা অস্বাভাবিক রকমের ধনী, অগণিত টাকা পয়সা যাদের রয়েছে…কিন্তু তারা এতো বৃদ্ধ এবং এতো দুর্বল যে এমনকি সিঁড়ি বেয়ে উপরের তলায়ও যেতে পারে না। তাদের বেলকনি থেকে বাইরের দৃশ্য অসম্ভব সুন্দর, কিন্তু তারা সে বেলকনিতেও যেতে পারে না কারণ বাতাসের ফলে হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়বে। বাসার পেছনে রয়েছে ঝাঁকজমকপূর্ন সুইমিং পুল, তারা শুধু তাকিয়ে থাকতে পারে কিন্তু নামতে পারে না। বিশাল স্ক্রিনের টিভি রয়েছে কিন্তু চোখের জ্যোতি হারিয়ে গেছে, দেখতে পায় না। সময় সব কেড়ে নিয়ে গেছে। আমি আপনি যদি তাদের ম্যানসনে যাই, বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাবো। ‘মারাত্মক সুন্দর জায়গা, এটা দেখো, ঐটা দেখো।’ তারা এক...

বিয়ের পথ সহজ করে দিন

আল্লাহ যখন বলেন – তোমাদের মাঝে অবিবাহিতদের বিয়ে দিয়ে দাও, তাদেরকে বিয়ে করার সুযোগ করে দাও; এই নির্দেশনাটি ব্যাপকতা বুঝায়। এই নির্দেশনাটি কাদের জন্য প্রযোজ্য? আপনি হয়তো চিন্তা করবেন ছেলেটা যখন লেখাপড়া শেষ করবে, তারপর যখন ভাল একটা চাকরি পাবে, যখন সে অনেক টাকা জমাবে, যখন সে তার পিতামাতাকেও তাদের খরচের কিছু টাকা ফেরত দিতে পারবে, যখন সে এটা করবে সেটা করবে ইত্যাদি… এবং পরিবারের অন্য সবার যত্ন নেয়া হবে – তারপর আমরা তার বিয়ের কথা চিন্তা করবো। কারণ এখন যদি আমরা তাকে বিয়ে করাই তাহলে তার সকল মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হবে তার স্ত্রী। আমরা কিছুই পাবো না। এটা আমাদের সন্তান, আমাদের বিনিয়োগ, তাকে বিয়ে করানোর আগে আমরা আমাদের টাকার মূল্য চাই। আর এমনকি যখন আমরা তাকে বিয়ে করাবো তখন ব্যাপারটা শুধু আমাদের পার্থিব অর্জনের বিষয় না, এটা আমাদের পারিবারিক গৌরব এবং প্রদর্শনের বিষয়ও। এমন একজনকে বিয়ে করাতে হবে যাকে আমরা প্রদর্শন করতে পারবো। যাকে নিয়ে আমরা গর্বিত হব, অনেক ছবি তুলতে পারবো। তাই বিশাল এক অনুষ্ঠানের আয়োজন কর এবং মানুষকে দেখাও যে আমরা একটা উচ্চ শ্রেণীর পরিবারে আত্মীয়তা করেছি…ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই কাউকে বিয়ে করানোর ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো আপনি বিবেচনা করেন তা হল – নারী পুরুষ উভয়ের জন্য আপনি বয়সের একটা মাত্রা ঠিক করে দেন। নারীদের ক্ষেত্রে একদম বিপরীত কাণ্ডটাই ঘটে, কোন কোন পরিবারে সে টিনএজ বয়সে পৌঁছার সাথে সাথে এমন ভাবা হয়- আমাকে দ্রুত এর দায়দায়িত্ব পালন থেকে বাঁচতে হবে। মনে হয় যেন এটা আপনার ঘরের একটা ব্যাধি, যত দ্রুত এর থেকে বাঁচা যায় ততই মঙ্গল। আপনি মেয়েটাকে যেন তেন কোন পাত্রের কাছে তুলে দিতে পারলেই বাঁচেন। বহু মেয়েরা হতাশায় ভোগেন, কারণ তাদের বাবা মা সবসময় বলতে থাকেন; তুমি এখনো এখানে পড়ে আছ, তুমি বিয়ে করছ না, তুমি বাসায়...

আল্লাহর কাছে কীভাবে ক্ষমা চাইবেন?

এখন এই ক্ষমা চাওয়াটা দুইভাবে হয়ে থাকে। জিহবার মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়া এবং অন্তরের মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়া। মানুষ সাধারণত নিজের পক্ষে যুক্তি দিয়ে থাকে। আমি যদি কোনো কারণে আপনার সমালোচনা করি…যেমন আমি কাউকে বললাম – ”এই যে, আমি আপনাকে অমুক কথা বলতে শুনেছি। কেন আপনি এটা বলেছেন?” সে তৎক্ষণাৎ হয়তো বলে উঠবে – ”আমি এমনটা বোঝাতে চাই নি, আপনি জানেন না আমি কী অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি! এক্সকিউজ মি, আপনি তো পুরো ঘটনাটা জানেনই না।” সুতরাং কেউ আপনাকে যদি বলে, ভাই আমি আপনাকে এটা এটা করতে দেখেছি। আপনি সাথে সাথে নিজের পক্ষে যুক্তি দিতে শুরু করেন, আত্মরক্ষামূলক হয়ে উঠেন। بَلِ الْإِنسَانُ عَلَىٰ نَفْسِهِ بَصِيرَةٌ – وَلَوْ أَلْقَىٰ مَعَاذِيرَهُ – মানুষ নিজের সম্পর্কে সু ধারণা পোষণ করে। তারা প্রচুর অজুহাত দেখায়। আপনি যদি আসলেই আল্লাহর ক্ষমা চান। আপনাকে নিরিবিলি একটা সময় খুঁজে পেতে হবে … যদি আরবিতে দোয়া করতে না পারেন কোনো সমস্যা নেই। আপনি শুধু পাঞ্জাবি, বাংলা, বাহাসা, বা উর্দু জানেন, কোনো ব্যাপার না, আপনি আপনার নিজস্ব ভাষাতেই আল্লাহর সাথে কথা বলুন। আন্তরিকতার সাথে আপনার অপরাধগুলো স্বীকার করে নিন। কোনো অজুহাত দেখবেন না। এইরকম করতে পারা আসলেই অনেক কঠিন। কারণ আয়নার সামনে দাঁড়িয়েও আমরা নিজের সাথে মিথ্যা বলি। নিজেকে এভাবে প্রবোধ দেই – ”আমি আসলে অতো খারাপ না। আমি যা করেছি তার কারণ আছে। আমি অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।” যখন আপনি আল্লাহর সামনে দাঁড়াবেন, নিজের কাজের বৈধতা দেয়ার কথা ভুলে যান। কারণ যেসব অজুহাতের মাধ্যমে আপনি আপনার কাজের বৈধতা দিতে চান, তিনি ইতিমধ্যে তার সবগুলোই জানেন। আল্লাহ জানেন আপনি কী অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তিনি জানেন এটা কঠিন সময় ছিল, তিনি জানেন অমুক অমুক বিষয় আপনাকে সম্পূর্নরুপে গ্রাস করে ফেলেছিলো। ” ইয়া রব, আমি অনেক চাপের মধ্যে ছিলাম তাই...

রমজান শেষ হওয়ার পর

রামাদানের ত্রিশ দিন আমরা অনেক কিছু থেকে নিজেদের বিরত রেখেছি। আমার শরীর, আমার গলা, আমার পাকস্থলী…এদের কিছু চাহিদা আছে। আর ত্রিশ দিন ধরে আমি আমার শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করা থেকে বিরত থেকেছি। আপনাদের কেউ কেউ অফিসে চাকরি করেন …. ”ভাই, আমার তো কফি পান করতে হবে, আমি জানিনা কফি পান না করলে আমি কাজ করতে পারবো কিনা। আমার একটা ব্রেক দরকার।” কেউ কেউ ধুম পানে আসক্ত। আপনার সিগারেট ব্রেক দরকার হয়। কেউ হয়তো অতিরিক্ত চুইং গাম খান, বা চকোলেট সমস্যা আছে। যে সমস্যাই হউক না কেন। এটার সমাধান না করা পর্যন্ত আপনি কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না। কিন্তু গত ত্রিশ দিন ধরে আপনি কোনো ধরণের আসক্তিতে সাড়া না দিয়েই ঠিক ঠাক আপনার কাজগুলো সম্পন্ন করতে পেরেছেন। আপনি পেরেছেন। অন্য কথায়, আপনি যে মনে করতেন শরীরের নির্দিষ্ট চাহিদাটি পূরণ করা ছাড়া আপনি কিছুই করতে পারেন না, আপনার ব্রেইন কাজ করে না…কিন্তু এই কয়েক দিনে আপনি প্রমান করলেন এসব না করেই আপনি দিব্যি ভালোভাবে কাজ করতে পারেন। আর এটা পেরেছেন কারণ আপনি আল্লাহর আনুগত্য করছেন। আপনি ভেবেছিলেন এটা অসম্ভব, কিন্তু আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন। এখন এই অনুশীলন করার পর আপনি আরেকটু অগ্রসর হয়ে ভাবতে লাগলেন, আমি বা আপনি এমন কিছুতে জড়িত হয়ে আছি, যা সরাসরি আল্লাহর অবাধ্যতার মধ্যে পড়ে যায়। আর সব সময় আপনি নিজেকে এভাবে বুঝিয়েছেন, ‘’না, আমার পক্ষে এটা বাদ দেয়া সম্ভব নয়। আমাকে এটা করতেই হবে। আমি যদি এটা করতে না পারি, তাহলে মারা যাবো। কিভাবে আমি এটা ছাড়া বাঁচবো?’’ আর আল্লাহ ত্রিশ দিন ধরে আপনাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, হ্যাঁ, তুমি পারবে। হ্যাঁ, তুমি আসলেই এটা ছাড়া বাঁচতে পারবে। আর আমি রামাদানের মতো এটা তোমার জন্য সহজ করে দিবো। এটাই রামাদানের প্রথম শিক্ষা যে কিভাবে রামাদানের বাহিরে...

নিজেকে নিয়ে হতাশ থেকো না

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সূরা তাগাবুনের তৃতীয় আয়াতে বলেছেনঃ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ وَصَوَّرَكُمْ فَأَحْسَنَ صُوَرَكُمْ ۖ وَإِلَيْهِ الْمَصِيرُ তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর সুন্দর করেছেন তোমাদের আকৃতি। তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তন। তিনি বলেছেনঃ وَصَوَّرَكُمْ فَأَحْسَنَ صُوَرَكُمْ তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর সুন্দর করেছেন তোমাদের আকৃতি। কি অসাধারন পরিবর্তন, উনি আপনার আকৃতি দিয়েছেন, আল্লাহ বলেছেন যে উনি বাকী সবকিছুকে সৃষ্টি করেছেন, উনি তার সাথে যোগ করতে পারতেন যে তিনি আপনাকেও সৃষ্টি করেছেন। উনি আগেই এটা বলে ফেলেছেন, উনি এবার সেটা পরিবর্তন করেছেন, وَصَوَّرَكُمْ, তিনি আপনাকে আকৃতি দান করেছেন, আরবীতে এই শব্দের অর্থ হলঃ কোন কিছুকে নিঁখুত, সুন্দর আকৃতিতে গড়া। আল্লাহ নিজে বলছেন, আমি তোমাকে খুব সুন্দর আকৃতিতে তৈরি করেছি। উনি নিজে সেটা আমাদেরকে বলছেন। উনি যেভাবে আমাদেরকে তৈরি করছেন তাতে উনি গর্ববোধ করছেন। জানেন, যারা অকৃতজ্ঞ তারা কি বলবে? বলবে, কেন আমি এত মোটা? কেন আমি এত চিকন? কেন আমি এত বেঁটে? কেন আমার মুখে এত দাগ। কেন আমার এরকম কেন ওইরকম। কেন আমি আমার ভাইয়ের মত স্মার্ট না? কেন আমি গরীব আর সে ধনী। কেন তার এটা আছে আর আমার নেই? আর জানেন, আজকালকার আধুনিক সমাজে কি হয়? এবং শুধু আমেরিকাতেই নয় সারা বিশ্বে? মানুষের বয়স বাড়তে থাকে, চুল পাকা শুরু হয়, চামড়ায় ভাঁজ পড়তে শুরু করে, পুরো মাল্টিমিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে যাতে বলা হয় যে মানুষ সেইরকম দেখাবে যেমন সে তার বিশ বছর বয়সে দেখাতো, আসলে তাকে দেখায় একটা কিম্ভূত প্রাণীর মত। তারা আপনার চুল গজিয়ে দিবে, আপনার চামড়া টেনে ভাঁজ দূর করার চেষ্টা করবে, আপনার ভূড়িটাকে ভেতরে ঢুকিয়ে দেবার চেষ্টা করবে, এরকম আরো অনেক কিছু করবে। যেন আপনি ভাব ধরতে পারেন যে এখনো আপনার বয়স ২৫। আল্লাহ বলছেন,...

মু’জিযা

No Results Found

The page you requested could not be found. Try refining your search, or use the navigation above to locate the post.

Facebook Like

সাথেই থাকুন

 

<—-Facebook & YouTube —->

Youtube Subscriber