উস্তাদ নুমান আলী খান

নুমান আলী খান একজন মুসলিম দা’ঈ। কুর’আন এর জ্ঞানে তার অসাধারণ গভীরতা এবং সুন্দর উপস্থাপনা শৈলীর কারণে সমগ্র বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশ এবং বাংলাভাষাভাষী অনেক ইসলাম অনুরাগী তরুণ তাঁর অসাধারণ আলোচনা থেকে উপকৃত হচ্ছে নিয়মিত …

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন

বর্তমানে আমরা ফেইসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল এ নুমান আলী খানের লেকচার গুলো নিয়মিত প্রকাশ করছি এবং এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে তা শ্রেণীবদ্ধ ভাবে সংরক্ষণ করছি। আপনি আমাদের ফেইসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল লাইক /সাবস্ক্রিপশন করে আমাদের সাথে আরো নিবিড় ভাবে সংযুক্ত থাকতে পারেন।

আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন…

সংযুক্ত থাকুন

ভিডিও + প্রতিলিপি

No Results Found

The page you requested could not be found. Try refining your search, or use the navigation above to locate the post.

প্রবন্ধ

এক টুকরো জান্নাত

“জান্নাতের মাটি আর জমীন হচ্ছে জাফরান আর কস্তুরীর। এর ছাদ হচ্ছে আল্লাহর আসন। শিলাখণ্ডগুলো মণিমুক্তোর। দালানগুলো সোনারূপায় তৈরি। গাছের শাখা-প্রশাখাগুলো সোনারূপার। ফলগুলো মাখনের চেয়ে নরম, মধুর চেয়ে মধুর। পাতাগুলো সবচেয়ে কোমল কাপড়ের চেয়েও কোমল। কিছু নদী দুধের। যার স্বাদ কখনো বদলায় না। কিছু শরাবের। যারা পান করবে তাদের তৃপ্তি মিটবে। কিছু নদী পবিত্র মধুর। কিছু নদী সতেজ পানির। যে-ফলমূল তারা চাইবে তা-ই তাদের খাবার। যে-পাখির গোশত তারা খেতে চাইবে তা-ই পাবে। তাদের পানীয় হচ্ছে তাসনীম, সজীবতা উদ্দীপক ও কাাফূর। তাদের পেয়ালাগুলো স্বচ্ছ, সোনারূপার তৈরি। এর ছায়া এত বড় যে, দ্রুতগতির কোনো অশ্বারোহী এক শ বছর ধরে চললেও সেই ছায়া থেকে বের হতে পারবে না। এর বিশালতা এত বেশি যে, জান্নাতের সবচেয়ে নিচু অবস্থানে যে থাকবে তার রাজত্বে যেসব দেওয়াল, ভবন আর বাগান থাকবে সেগুলো পার করতে হাজার বছর লেগে যাবে। এর তাঁবু আর শিবিরগুলো যেন লুকোনো মুক্তো। একেকটা প্রায় ষাট মাইল লম্বা। এর ভবনগুলোতে রুমের উপর রুম। তাদের নিচ দিয়ে নদী বয়ে যায়। এগুলোর উচ্চতা যদি জানতে চান তাহলে আকাশের যেসব উজ্জ্বল তারা দেখা যায় সেগুলোর দিকে তাকান। দৃষ্টি যেসব তারার নাগাল পায় না সেগুলোও দেখার চেষ্টা করুন। জান্নাতবাসীর পোশাক হচ্ছে রেশম আর স্বর্ণ। তাদের বিছানায় যেসব কাঁথা থাকবে সেগুলো হবে সবচেয়ে উঁচু মাপের রেশমি কাপড়ের। তাদের চেহারা হবে চাঁদের মতো। তাদের বয়স হবে ৩৩। মানবজাতির পিতা আদামের অবয়বে। সেখানে তারা শুনবে তাদের পবিত্র স্ত্রীদের গান। তার চেয়েও ভালো হচ্ছে সেখানে তারা ফেরেশতা আর নাবিদের কণ্ঠ শুনতে পাবে। এর চেয়েও ভালো হচ্ছে সেখানে তারা নিখিল বিশ্বজগতের প্রভুর কথা শুনতে পাবে। তাদের খেদমতে থাকবে চিরতরুণ বালকেরা। তাদের নমুনা হচ্ছে ছড়ানো-ছিটানো মুক্তোদানার মতো। তাদের স্ত্রীরা হবে পূর্ণ-যৌবনা। তাদের অঙ্গ-প্রতঙ্গে যৌবনের উন্মাদনা ছড়াতে থাকবে। সে যদি তার সৌন্দর্য দেখায় তাহলে মনে হবে...

আল্লাহর শাস্তি

আল্লাহর শাস্তিকে ভয় না করার অন্যতম একটি কারণ হলো, অনেক সময় আমরা জানি না যে কেন ভয় করবো। এই জন্য আল্লাহর শাস্তির বিস্তারিত বর্ণনা জানাটা জরুরি। আল্লাহ কুরআনে তাঁর শাস্তির বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন। আর রাসূল (স) জাহান্নামের শাস্তির কথা আরো সবিস্তারে উল্লেখ করেছেন। রাসূল (স) জাহান্নামের কঠোর আজাবের এমন বর্ণনা দিয়েছেন যে, আপনি যদি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে বিশ্বাস করেন – তাহলে এসব বর্ণনা শুনার পর ঘুমাতে পারবেন না। আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালার শাস্তির ভয়ে আপনি সবসময় ভীত থাকবেন। প্রিয় ভাই এবং বোনেরা, আমরা যতই ভয়ঙ্কররূপে দোজখের শাস্তির কথা বর্ণনা করি না কেন, এটা কখনোই যথেষ্ট হবে না। কারণ শব্দ কখনই বাস্তবতার মত হবে না। আর কখনো দেখেননি এমন কিছুর বর্ণনা শুনে তার প্রকৃত অবস্থা উপলব্ধি করা আসলেই কঠিন। আল্লাহ কুরআনে জাহান্নামের আগুনের আজাবের কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ এবং তার রাসূল আমাদের সতর্ক করেছেন। আমি যত ভয়ংকরভাবেই জাহান্নামের শাস্তির কথা বর্ণনা করি না কেন, বিশ্বাস করুন, এটা তার চেয়েও ভয়ংকর। আমার আপনার ধারণা কল্পনার চেয়েও ভয়ংকর। আপনার ব্রেইনকে যতটুকু বোঝার যোগ্যতা দিয়ে তৈরী করা হয়েছে, এটা তার থেকেও ভয়ংকর। শুধুই শাস্তি আর শাস্তি। আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালা নিখুঁত। যখন তিনি পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন, জান্নাতে তাঁর পুরস্কার হবে নিখুঁত। আবার যখন তিনি শাস্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাঁর শাস্তিও নিখুঁত। নিখুঁত শাস্তি। এর চেয়ে বেদনাদায়ক কোনো শাস্তি হতে পারে না, এর চেয়ে কষ্টকর কোনো শাস্তি হতে পারে না। কারণ তিনিই আমাদের এই শরীর তৈরী করেছেন। তিনিই আপনার রূহ তৈরী করেছেন। আর তিনিই সুব হানাহু ওয়া তায়ালা আপনার শরীর এবং আত্মার জন্য শাস্তি তৈরী করেছেন, যদি আপনি ভুল পথ গ্রহণ করে থাকেন। রাসূল (স) আমাদের বুঝার জন্য বলেন – “জাহান্নামের সবচেয়ে কম শাস্তি যাকে দেয়া হবে তাকে জ্বলন্ত কয়লার...

রমজানে মসজিদের পরিবেশ

আমরা সবাই জানি, রমজানে প্রতিদিন মসজিদে ধারণ ক্ষমতার বেশি লোকের সমাগম হয়। কিছু কিছু মসজিদে ফজর নামাজের সময় রমজানের বাহিরের জুমুয়ার নামাজের সমান লোকের আগমন ঘটে। যাদেরকে কখনই মসজিদে দেখা যায় না, তাদেরকেও রমজানের সময় নিয়মিত নামাজ পড়তে দেখা যায়। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, মসজিদে সারা বছর নামাজ পড়তে যান এমন কিছু ভাই সে সময় এই নতুন আগত ভাইদের নিয়ে অবজ্ঞা ও ঘৃণা অনুভব করেন এবং সম্ভবত পরোক্ষভাবে তা প্রকাশও করেন। সাধারণত তা হয়ে থাকে তীব্র ব্যাঙ্গাত্মক কোনো কৌতুক অথবা কটু মন্তব্য। তাদেরকে এভাবে নিচু চোখে দেখার পরিবর্তে উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন যে, অহংকার এবং স্ব-ধার্মিকতার পাপ সম্ভবত বেশি ভয়ঙ্কর, এই সব নবাগত ভাইদের পাপ থেকে – যা আপনি তাদের সম্পর্কে ধারণা করে আছেন। সারা বছর যারা মসজিদে আসেন তাদের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ: মনে রাখবেন মসজিদ আপনার সম্পত্তি নয়, এটা আল্লাহর ঘর। যদি আল্লাহর দয়ায় এই ঘরের সাথে আপনি বেশি পরিচিত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করে থাকেন, তবে এমন প্রতিজ্ঞা করুন যে, রমজানে নতুন আগত ভাই-বোনদের আপনি সত্যিকারের ভালোবাসা দিয়ে বরণ করে নিবেন। আপনার লক্ষ্য থাকবে, রমজানে মসজিদ তাদের নিকট এতো আপন হয়ে পড়বে যে রমজানের পরেও তারা নিয়মিত মসজিদে আসবেন। বিষয়গুলোকে সহজ করুন, কঠিন নয়; মানুষকে আপনার কাছে নিয়ে আসুন, তাদের দূরে ঠেলে দিবেন না। “নিঃসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ আবাদ করবে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি এবং কায়েম করেছে নামায ও আদায় করে যাকাত; আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে ভয় করে না। অতএব, আশা করা যায়, তারা হেদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে।” [সূরা তাওবা, আয়াত ১৮] — শায়েখ ডঃ ইয়াসির...

আল্লাহর কাছে কী চাইবো? (২য় পর্ব)

এটা শুনার পর আপনি হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারেন, ক্ষমা চাওয়ার জন্য কোন দোয়া পড়তে হবে বা ক্ষমা চাওয়ার জন্য শ্রেষ্ঠ দোআ কোনটি? মানুষ বিভিন্ন অকেশনে বিভিন্ন রকম দোআ পড়ে। যেমন – কোন সন্তানসম্ভাব্য মা এসে জিজ্ঞেস করে, কিছুদিনের মধ্যে আমার বাচ্চা হবে, এখন আমার বাচ্চার জন্য কোন দোয়াটি আমি পড়তে পারি? অথবা কেউ একজন এসে বলতে পারে – আমি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছি, কোন দোয়াটি আমি এখন পড়তে পারি? ঠিক কিনা? আমাকে বিশেষ বিশেষ সময় উপলক্ষে বিশেষ বিশেষ দোআ প্রদান করুন। আমি আপনাদের বলছি – বিশেষ সময়ের ঐ দোয়াগুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সেগুলো পবিত্র এবং আল্লাহর কাছ থেকে অবতীর্ণ। কিন্তু সকল সমস্যার ক্ষেত্রে কমন দোআ হলো – “আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করা।” আপনার সকল সমস্যা দূর করার দোআ, যে একটি দোআ আপনার সকল সমস্যা দূর করবে তা হলো – সত্যিকারার্থে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা। নূহ আলাইহিস সালাম তাঁর জাতিকে আল্লাহর দিকে ডেকেছিলেন নয় শত বছরেরও বেশি সময় ধরে। তিনি তাদের নিকট অবিরাম দাওয়াত দিয়ে গেছেন। তাঁর নবুয়তি জিন্দেগির শেষ দিকে এসে তিনি পেছনে ফিরে দেখেন এবং তিনি তাদের নিকট যে বার্তাটি দিতে চেয়েছিলেন তার একটি সারাংশ দাঁড় করিয়েছেন। অবশ্যই তিনি তাদের নিকট শুধু একটি বার্তা দেন নি, তিনি তাদের উদ্দেশ্যে শুধু একবার বা দুইবার কথা বলেন নি,…قَالَ رَبِّ إِنِّي دَعَوْتُ قَوْمِي لَيْلًا وَنَهَارًا – “তিনি বললেন: হে আমার পালনকর্তা! আমি আমার সম্প্রদায়কে দিবারাত্রি দাওয়াত দিয়েছি;” তিনি রাতেও কোন বিরতি নেন নি, প্রতিনিয়ত, সারাক্ষণ তাদের দাওয়াত দিয়ে গেছেন। কুরআনের একটি সূরা তার নামে নামকরণ করা হয়েছে, সূরাতুন নূহ। সেখানে তিনি এই গোটা সময় ধরে যে তার সম্প্রদায়কে দাওয়াত দিয়ে গেছেন তার একটি সারমর্ম তুলে ধরেছেন। আমি তোমাদের কাছ থেকে কী আশা করেছিলাম। وَإِنِّي كُلَّمَا دَعَوْتُهُمْ لِتَغْفِرَ لَهُمْ – আর এই...

আল্লাহর কাছে কী চাইবো? (১ম পর্ব)

রামাদানের সময় ঘনিয়ে আসছে। আর এভাবে সময় ঘনিয়ে আসলে চারপাশ থেকে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হয় যে কিভাবে এই মাসে বেশি বেশি ইবাদাত করতে হবে, কিভাবে আল্লাহর নিকটবর্তী হতে হবে, কিভাবে কুরআনের সাথে নতুন করে সম্পর্ক গড়তে হবে…ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি এখান থেকে কিছুটা পেছনে সরে এসে মৌলিক কিছু বিষয়ে আলোকপাত করতে চাই। আমি মনে করি এটা আমার নিজের জন্যেও একটি স্মরণিকা হবে, এবং ইনশা আল্লাহ আমরা সবাই এখান থেকে উপকার পাবো। আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্কগুলোর অন্যতম একটি মৌলিক সম্পর্ক হলো – তাঁর নিকট দোয়া করা, তাঁর সাহায্যের কাঙ্গাল আমরা। আমাদের ধর্মীয় ক্ষেত্রে তাঁর সাহায্য দরকার। হেদায়েত পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর সাহায্য দরকার, সত্য পথের উপর টিকে থাকার জন্য, অসৎ পথ থেকে দূরে থাকার জন্য, তাঁর ক্ষমা পাওয়ার জন্য তাঁর সাহায্যের দরকার। তাঁর সহায়তা দরকার আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে, আমাদের ঈমানের জন্য। এছাড়াও জীবন পরিচালনার সকল ক্ষেত্রে আমরা তাঁর সাহায্যের মুখাপেক্ষী। আমাদের পারিবারিক বিষয়ে তাঁর সাহায্য দরকার। সুস্বাস্থ্যের জন্য তাঁর সাহায্য দরকার। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁর সাহায্য প্রয়োজন আমাদের। আপনাদের মাঝে অনেকেই এমন আছেন যারা ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক সমস্যায় নিমজ্জিত। কেউ আপনার সমস্যার কথা বুঝে না। একমাত্র আল্লাহ এবং আপনি ছাড়া আর কেউ বুঝে না। আপনি আপনার সমস্যার কথা কাউকে বুঝাতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা বুঝে না। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না আপনি কী মুসিবতে জীবন অতিবাহিত করছেন। আমাদের সকলেরই কোনো না কোনো সমস্যা রয়েছে। আল্লাহ নিজেই দুনিয়ার জীবনের এই বাস্তবতার কথা কুরআনে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন – لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي كَبَدٍ – “নিশ্চয় আমি মানুষকে শ্রমনির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি।” হয় আপনি মানসিকভাবে পরিশ্রান্ত, না হয় ইমোশনাল্লি পরিশ্রান্ত, বস্তুগত দিক থেকে পরিশ্রান্ত, অতিরিক্ত কাজের চাপে পরিশ্রান্ত, শারীরিকভাবে পরিশ্রান্ত, স্বাস্থ্যগত দিক থেকে পরিশ্রান্ত, বয়সের ভারে ক্লান্ত। আপনার সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার জন্য অনেক...

মু’জিযা

No Results Found

The page you requested could not be found. Try refining your search, or use the navigation above to locate the post.

Facebook Like

সাথেই থাকুন

 

<—-Facebook & YouTube —->

Youtube Subscriber