উস্তাদ নুমান আলী খান

নুমান আলী খান একজন মুসলিম দা’ঈ। কুর’আন এর জ্ঞানে তার অসাধারণ গভীরতা এবং সুন্দর উপস্থাপনা শৈলীর কারণে সমগ্র বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশ এবং বাংলাভাষাভাষী অনেক ইসলাম অনুরাগী তরুণ তাঁর অসাধারণ আলোচনা থেকে উপকৃত হচ্ছে নিয়মিত …

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন

বর্তমানে আমরা ফেইসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল এ নুমান আলী খানের লেকচার গুলো নিয়মিত প্রকাশ করছি এবং এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে তা শ্রেণীবদ্ধ ভাবে সংরক্ষণ করছি। আপনি আমাদের ফেইসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল লাইক /সাবস্ক্রিপশন করে আমাদের সাথে আরো নিবিড় ভাবে সংযুক্ত থাকতে পারেন।

আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন…

সংযুক্ত থাকুন

ভিডিও + প্রতিলিপি

No Results Found

The page you requested could not be found. Try refining your search, or use the navigation above to locate the post.

প্রবন্ধ

যখন আরশ কুরসির প্রভু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা হাসবেন

কিয়ামতের দিন সবার বিচার শেষ করার পর একজন লোক বাকি থাকবে। তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হবে কিন্তু তার চেহারা জাহান্নামের দিকে ফেরানো থাকবে। তখন সে লোকটি কেঁদে বলবে- হে আমার রব! জাহান্নামের উত্তাপ আমাকে অস্থির করে তুলছে এবং এর শিখা আমাকে জ্বালাচ্ছে। আপনি আমার চেহারা জাহান্নাম থেকে অন্য দিকে ফিরিয়ে দিন। সে এভাবে আল্লাহর কাছে ক্রমাগত প্রার্থনা করতে থাকবে। তারপর আল্লাহ তাকে বলবেন- তোমার এ প্রার্থনা মঞ্জুর করা হলে তুমি কি আর কিছু চাইবে? সে বলবেঃ না, আপনার ইজ্জতের কসম! আমি আর কিছু চাইবো না। তো, তার চেহারা জাহান্নমের দিক থেকে সরিয়ে দেয়া হবে। তারপর সে আবার বলতে শুরু করবে, হে আমার প্রভূ! আমাকে একটু জান্নাতের দরজার নিকটবর্তী করে দেন। আল্লাহ বলবেন, তুমি কি বলোনি এরপর আর কিছু চাইবে না? ধিক হে মানব সন্তান! তুমি কোন কথা রাখো না। কিন্তু এ ব্যক্তি প্রার্থনা করতেই থাকবে। তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলবেন – তোমার এ ইচ্ছা পূরণ করা হলে আর কিছু চাইতে পারবে না। সে বলবে- না, আমি আপনার মর্যাদার কসম করে বলছি আমি আর চাইবো না। এভাবে সে অঙ্গীকার আর প্রতিজ্ঞা করতে থাকবে যে সে আর কিছু চাইবে না। অবশেষে তাকে জান্নাতের দরজার নিকটবর্তী করে দেয়া হবে। অতঃপর যখন সে জান্নাতে গেটের দিকে তাকিয়ে জান্নাতের সূখ শান্তি দেখবে, নিজের ওয়াদার কথা স্মরণ করে কিছুক্ষণ চুপ থাকবে। কিন্তু পরিশেষে সে বলবে, হে আমার প্রভু আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিন। তখন আল্লাহ বলবেন- তুমি না এতক্ষণ ধরে সব ওয়াদা আর অঙ্গীকার করলে যে আর কিছু চাইবে না? ধিক তোমার! হে বানী আদাম! কতই না ও‘য়াদা ভঙ্গকারী তুমি। সে বলবে, হে আমার প্রভূ আমাকে আপনার সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে দুর্ভাগা করে রাখবেন না। সে এভাবে প্রার্থনা করতেই থাকবে, অবশেষে আল্লাহ সুব হানাহু...

কঠিন হৃদয় জনিত সমস্যা

এটি একটি আত্মিক এবং হৃদয়জনিত সমস্যা। কেবল আপনি নিজে এই ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ্‌ শেষের দিকে যেয়ে এ সমস্যাগুলো দূর করার জন্য কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করবো। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, أَلَمْ يَأْنِ لِلَّذِينَ “যারা ইমান এনেছে তাদের কি এখনো সময় আসেনি…” أَن تَخْشَعَ قُلُوبُهُمْ لِذِكْرِ اللَّهِ“…..যে তাদের হৃদয় আল্লাহর স্মরণে বিগলিত হয়ে যাবে, তাদের হৃদয় সশ্রদ্ধ ভয়ে পূর্ণ হয়ে যাবে?” যখন আপনার পেশী নরম আর দুর্বল হয়ে পড়ে, সেটাকে বলা হয় খুশু’। আর তখন পেশীগুলোকে শক্তিহীন মনে হয়। আপনার মনে হয় যে কেউ আপনাকে বশীভূত করে ফেলছে। আল্লাহ বলছেন তাদের হৃদয় আল্লাহর ভয়ে, তাঁর কথা স্মরণ করে বশীভূত হয়ে পড়বে।“যারা বিশ্বাসী, তাদের জন্যে কি আল্লাহর স্মরণে তার কারণে হৃদয় গলে যাওয়ার সময় আসেনি?…” وَمَا نَزَلَ مِنَ الْحَقِّ“…এবং যে সত্য অবর্তীর্ণ হয়েছে তার কারণে?”আর সেই সত্যটা কী? আল কুর’আন। তারপর আল্লাহ একই আয়াতে একটি সতর্ক বাণীও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন : وَلَا يَكُونُوا كَالَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْل فَطَالَ عَلَيْهِمُ الْأَمَدُ তারা (মুমিনরা) যাতে তাদের মত না হয়, যাদেরকে তাদের পূর্বে কিতাব দেয়া হয়েছিল। তাদের উপর একটি বড় সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। তার মানে তারা এই কিতাব ধারণ করেছিল দীর্ঘ সময়ের জন্য। যখন আপনি প্রথম ধর্মীয় অনুশাসন মানা শুরু করেন, আপনি এ ব্যাপারে খুবই উত্তেজিত থাকেন। এই উত্তেজনা একসময় চলে যায়, যা থাকে তা হলো বহিরাবরণ। সুতরাং ঐসব লোকদের ক্ষেত্রে কী ঘটল? فَقَسَتْ قُلُوبُهُمْ তাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেল। একটি দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর, ধর্মীয় কর্ম সম্পাদন একটি রুটিনে পরিনত হয়ে গেল। এমন কিছু যা তারা শুধু করে, যা করতে হয়, তারা এটা করছে কারণ এটাতে তারা অভ্যস্ত। কিন্তু এটা আর এমন কিছু নয়, যা তাদের হৃদয়কে আলোড়িত করে। তাদের হৃদয় হয়ে গেছে কঠিন। আর যখন আপনার অন্তর কঠিন...

আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণের পুরস্কার (৪র্থ পর্ব)

কিন্তু কিছু মানুষের জন্য যাদের ঈমানের অবস্থা একেবারে নড়বড়ে, যখন সময় কঠিন হয়ে যায়…وَإِنْ أَصَابَتْهُ فِتْنَةٌ انقَلَبَ عَلَىٰ وَجْهِهِ এবং যদি কোন পরীক্ষায় পড়ে, তখন মুখ ঘুরিয়ে নেয়।’’ তার মানে কী? তার মানে, আমি আল্লাহর কাছে কিছু চাই না, কিভাবে তিনি আমাকে ছেড়ে গেলেন? কেন তিনি আমাকে বিপদে ফেললেন? কেন তিনি আমার সাথে এমন করলেন? আমাদের সময়ে এটা উপলব্ধি করা খুবই সহজ। আমরা অস্বাভাবিক এক ভোগবাদী সমাজে বসবাস করি যেখানে সব কিছু, সহজলভ্য এবং দ্রুত লাভ করা যায়। বিনোদিত হতে চান? ফোনে একটা app খুললেই হবে। কিছু কিনতে চান? জাস্ট Amazon থেকে অর্ডার করুন, এটা আপনার ঘরে পৌঁছে যাবে। সবকিছুই কষ্ট ছাড়া পাওয়া যায় এবং সবকিছুই সাথে সাথেই পাওয়া যায়। আপনি কিছু চাইছেন? আপনাকে তার কাছে যেতে হবে না, সেটাই আপনার কাছে আসবে। সবকিছুই দ্রুত হয়। আমাদের এখন আপ্যায়িত হওয়ার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। আপনার একটা অর্ডার যদি দুই থেকে তিনদিন দিনের জন্য দেরি হয় তবে আপনি তাকে 1 star, 2 Star, thumbs down, খারাপ রেটিং দিচ্ছেন। আমরা এতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এমতাবস্থায়, আপনি যখন আল্লাহ কাছে দোয়া করছেন এবং আপনার সমস্যাগুলোর সমাধান চাইছেন। আপনার সবকিছু দ্রুত এবং তড়িৎ করা দরকার। যখন এটা হয় না তখন আপনি বলেন, বাজে সার্ভিস এবং আমার আরো ভালো ভোক্তা অধিকার চাই। আপনার ভাবখানা তখন এমন হয়ে যায় যে, আমি আল্লাহর কাছে আর কিছু চাইবো না, কোন অর্ডার দিব না। আপনি এখন ক্রেতার মত সুবিধা পেতে চান, মনে করেন যে এগুলো পাওয়ার আপনার অধিকার রয়েছে। আর আপনি আল্লাহর কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। এবং বলেন, তিনি আমার কথা শুনছেন না, আমার সমস্যার সমাধান করছেন না। বুঝতে চেষ্টা করুন যে, সবার জন্য আল্লাহর পরিকল্পনা রয়েছে। তুলনা করার জন্য আপনাদের দুটি উদাহরণ দিচ্ছি। ইয়াকুব (আঃ) এর ক্ষেত্রে...

সৎ উপার্জনের সম্মান (৩য় পর্ব)

এই চমকপ্রদ আয়াত দিয়েই আমি শেষ করবো, কিন্তু তার পূর্বে আবার দাউদ (আ) সম্পর্কে কথা বলতে চাই। কারণ ঐ আয়াতের সমাপ্তিটা অসম্ভব সুন্দর। এটা করার আগে সূরাতুল কাসাস থেকে একটি আয়াত আলোচনা করতে চাই। আল্লাহ বলেন – تِلْكَ الدَّارُ الْآخِرَةُ نَجْعَلُهَا لِلَّذِينَ لَا يُرِيدُونَ عُلُوًّا فِي الْأَرْضِ وَلَا فَسَادًا – “সেই আখিরাতের ঘর” মানে জান্নাত, আমি তাদের জন্য নির্ধারিত করি, আল্লাহ বলেন। যারা যমীনে ঔদ্ধত্য দেখাতে চায় না। তারা এই দুনিয়ায় অন্যদের কাছে বড়ত্ব দেখাতে চায় না। তাদের আচরণের কারণে অন্যরা নিজেদেরকে ছোট মনে করে না। তাদের জীবন এমন নয়। لَا يُرِيدُونَ عُلُوًّا فِي الْأَرْضِ – প্রসঙ্গত, যখন আপনি এমন একটা সমাজ তৈরি করেন যেখানে কিছু মানুষ নিজেদের ছোট মনে করে, আবার কিছু মানুষ নিজেদের অন্যদের তুলনায় বড় মনে করে, আর এভাবে সমাজ চলতে থাকে। তখন কি হয় জানেন? সমাজের সবাই উঁচু শ্রেণীর মানুষদের মত হওয়ার জন্য জীবন পণ প্রচেষ্টা চালায়। সমাজে এমন মানুষ আছে, যারা গরিব, তেমন টাকা-পয়সা আয় করতে পারে না, কোনোরকম ঘরে বসবাস করে। তারাও বড় বড় ম্যানশনে বসবাস করার স্বপ্ন দেখে, বিলাসবহুল গাড়ি চালানোর স্বপ্ন দেখে। এটাই ফাসাদ। এই শ্রেণীবৈষম্যমূলক সমাজ, যেখানে এক শ্রেণী অন্য শ্রেণীর মর্যাদার জন্য প্রতিনিয়ত টেক্কা দিয়ে যায়। এটাই ফাসাদ। কারুনের ক্ষেত্রে ঠিক এটাই ঘটেছিল। এই জন্যই কারুনের ঘটনা বর্ণনা করার পর পরই এই আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে। কারুনের ছিল বিশাল সম্পত্তি, আর তার চারপাশে বনী-ইসরাইলের সবাই ছিল দরিদ্র। তারা বলতো – يَا لَيْتَ لَنَا مِثْلَ مَا أُوتِيَ قَارُونُ – “হায়, কারুন যা প্রাপ্ত হয়েছে, আমাদেরকে যদি তা দেয়া হত!” আমরা কত ভালো থাকতাম! ইস! আমার যদি কারুনের মত সম্পত্তি থাকতো। কত মিষ্টি! আমার যদি তার মত সম্পত্তি থাকতো। এর মূলটা দুর্নীতিগ্রস্ত। এটা অন্তরের বিকৃতি। এই আকাঙ্ক্ষা যে কোন উপায়ে মানুষকে...

আল্লাহর প্রতি সুধারনা পোষণ করুন (১ম পর্ব)

আমার প্রিয় ভাই এবং বোনেরা, সহিহ হাদিসে এসেছে, একদা আয়েশা (রা) রাসূল (স) এর নিকটে এসে বললেন- হে আল্লাহর রাসুল (স)! আল্লাহর নিকট আমার জন্য দোয়া করুন। ফলে রাসূল (স) কিবলার দিকে ফিরে তাঁর হাত উত্তোলন করলেন এবং বললেন – ইয়া আল্লাহ! আয়েশাকে ক্ষমা করে দিন, তাঁর সকল পাপ ক্ষমা করে দিন। তাঁর অতীত এবং ভবিষ্যতের সকল গুনাহ, যা সে প্রকাশ্যে করেছে এবং যা সে গোপনে করেছে। এরপর আয়েশা (রা) মুচকি হাসি দিলেন। আর তিনি তাঁর মাথা নামিয়ে রাসূলের (স) কোলে রাখলেন; অত্যান্ত খুশি হলেন রাসূলের (স) দোয়া শুনে। ঠিক সেই মুহূর্তে আমাদের প্রিয় নবী (স) আয়েশার (রা) দিকে ফিরে বললেন, তুমি কি আমার দোয়ার কারণে খুশি ? তিনি বললেন, হ্যাঁ ও রাসূলুল্লাহ, কেন আমি আপনার দোয়ায় খুশি হবো না ? তখন তিনি বললেন, আমি আল্লাহর নামে শপথ করছি যাঁর হাতে আমার রূহের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, প্র্রত্যেক নামাজে এটাই আমার দোয়া আমার উম্মার জন্য। আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আ..লি মুহাম্মাদ …… ভাই এবং বোনেরা, আমাদের রাসূলের (স) জন্য দুয়া করতে কখনোই কৃপণতা করবেন না। তিনি আমাদের জন্য তাঁর নিজের সন্তানদের চেয়েও বেশি দুয়া করেছেন। যিনি আমাদেরকে ভালোবেসেছেন, আমাদেরকে স্মরণ করেছেন সম্ভবত তাঁর নিজের সন্তান এবং পরিবারের চেয়েও বেশি। আলহামদু লিল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ… । আমার মুসলিম ভাই ও বোনেরা, আমরা মুসলিম ভূমিতে এমন নৃসংসতা প্রত্যক্ষ করেছি যার মতো উদাহরণ বহুদিন ধরে আমরা দেখিনি। আমরা দেখেছি একজন ব্যক্তির ক্ষমতা এবং আধিপত্যের লালসার কারণে যেরকম নৃসংসতা সে ঘটিয়েছে আলেপ্পোতে, যুগ-যুগ ধরে যার দৃষ্টান্ত আমরা দেখিনি সুবহানাল্লাহ। যেভাবে সে তার জনগণকে হত্যা করেছে, যেভাবে সে রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছে, যেভাবে সে ইসলামের শত্রুদের আসার সুযোগ করে দিয়েছে, আল্লাহর শপথ, এটা আমাকে মনে করিয়ে দেয় ইবনে তাইমিয়া যা বলেছেন। তিনি বলেছেন,…..। তিনি বলেছেন, নুসাইরিয়ারা...

মু’জিযা

No Results Found

The page you requested could not be found. Try refining your search, or use the navigation above to locate the post.

Facebook Like

সাথেই থাকুন

 

<—-Facebook & YouTube —->

Youtube Subscriber