ভিডিও + প্রতিলিপি
No Results Found
The page you requested could not be found. Try refining your search, or use the navigation above to locate the post.
প্রবন্ধ
জাহান্নামীদের একটি বিতর্ক
সূরা গাফিরে আল্লাহ বিচার দিবসের একটি চিত্র তুলে ধরেন। এটা সাধারণ কোন চিত্র নয়। মনোযোগ দিয়ে শুনুন। وَإِذْ يَتَحَاجُّونَ فِي النَّارِ فَيَقُولُ الضُّعَفَاءُ لِلَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا إِنَّا كُنَّا لَكُمْ تَبَعًا فَهَلْ أَنتُم مُّغْنُونَ عَنَّا نَصِيبًا مِّنَ النَّارِ – قَالَ الَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا إِنَّا كُلٌّ فِيهَا إِنَّ اللَّهَ قَدْ حَكَمَ بَيْنَ الْعِبَادِ – মনোযোগ দিয়ে এটা শুনুন, আপনাদের যা আমি বোঝাতে চাচ্ছি। জাহান্নামে যখন তারা একে অপরের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হবে… জাহান্নামে এমনসব মানুষ থাকবে (আল্লাহ আমাদের তাদের অন্তর্ভুক্ত না করুন) যারা একে অপরের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হবে। কে কার সাথে বিতর্ক করবে? আল্লাহ বলেন – দুর্বলরা পৃথিবীতে যাদের ক্ষমতা ছিল তাদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হবে। দুর্বল, নির্যাতিত, যারা মুখ খুলতে ভয় পেত, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারতো, কিন্তু তারা যদি মুখ খুলতো তাহলে তাদেরকে বিপদে পড়তে হতো, যারা মুখ বুঝে সব মেনে নিয়েছিল…। তারাই এখন ক্ষমতাশালীদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হলো। খেয়াল করে দেখুন, উভয় দলই কিন্তু আগুনে। তো, দুর্বলরা বলবে, আমরা তোমাদের অনুসরণ করতাম। إِنَّا كُنَّا لَكُمْ تَبَعًا আমরা তোমাদের অনুসারী ছিলাম। অতএব তোমরা কি আমাদের থেকে আগুনের কিয়দংশ বহন করবে’? তখন অহংকারীরা বলবে, আমরা সবাই তো জাহান্নামে আছি। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ফয়সালা করে দিয়েছেন। এমনকি সেই কুফফাররাই এখন বলবে – প্রভু ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। إِنَّ اللَّهَ قَدْ حَكَمَ بَيْنَ الْعِبَادِ কোন সন্দেহ নেই আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মাঝে ফয়সালা করে দিয়েছেন। এ কথা বলার মাধ্যমে এই লোকগুলো আসলে কী বলতে চাইছে? আপনারা হয়তো মনে মনে ভাবছেন, দুর্বলরা কেন জাহান্নামে যাবে? তারাতো পরিস্থিতির শিকার। হ্যাঁ, তারা পরিস্থিতির শিকার। কিন্তু জানেন? তাদের অপরাধ কী? সত্য না বলা। আপনার হাতে কোন অস্ত্র নেই, আপনি দুর্বল। আপনার কোন অস্ত্র নেই, সামরিক শক্তি নেই, সামাজিক সম্পদ নেই। কিন্তু একটা সম্পদ আপনার ছিল আর তাহলো আপনার...পবিত্র জুমুয়ার দিনে সূরা কাহাফ উপলব্ধি ও তিলাওয়াত
বেশ পরিচিত একটি সুরা। হাদীসে এসেছে এই যে ব্যক্তি এই সুরার প্রথম ১০ আয়াত আত্মস্ত করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ। আবার অন্য এক হাদীসে এসেছে যে ব্যক্তি শুক্রবার দিন এই সুরা তিলাওয়াত করবে তার উপর একটি আলোক রশ্মি পরবর্তী শুক্রবার পর্যন্ত ছায়া হয়ে থাকবে। কী আছে এই সুরাতে এমন যে এটি নিয়ে এত এত হাদীস এসেছে? বলা হচ্ছে এটি দাজ্জালের ফিতনার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অস্ত্র? সাধারণভাবে এই সুরাকে সবাই ৪টি গল্পের সমষ্টি হিসাবেই বলে থাকে। হ্যাঁ, বেশ উল্লেখ্যযোগ্য ৪টি কাহিনী এখানে আছে কিন্তু আসলে তার সাথে সাথে আরো ৪টি অংশ রয়েছে যাতে রয়েছে আমাদের জন্য আল্লাহর কিছু উপদেশ বা দিক নির্দেশনা। তাই সুরাটাকে আসলে মোটামুটি ৮ টি ভাগে ভাগ করা যায়। আল্লাহর উপদেশ/ দিক নির্দেশনা আয়াত ১-৯ এই পার্থিব দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ীত্ব বিষয়ে, আমরা যেন এই দুনিয়ার সৌন্দর্যে আসল সত্যটা ভুলে না যাই যে আল্লাহ্ তায়ালা একসময় এই দুনিয়াকে ধু ধু প্রান্তরে পরিণত করবেন, তিনি দুনিয়া বানিয়েছেন যাতে আমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন, কে আমাদের মাঝে কর্মে শ্রেষ্ঠ। কাহিনী আয়াত ১০-২৬ গুহাবাসী যুবকদের গল্প, যাদের আল্লাহ্ ছাড়া কোন সহায় ছিল না, শুধু ছিল আল্লাহর প্রতি ঈমান, আর সেটার উপর ভরসা করে তারা অত্যাচারী শাসকের জায়গা থেকে পালিয়ে গেল, আর আল্লাহ্ তাদেরকে নিদর্শন হিসাবে ঘুম পাড়িয়ে দিলেন তিনশ নয় বছরের জন্য। আল্লাহর উপদেশ/ দিক নির্দেশনা আয়াত ২৭-৩১ এই জায়গায় প্রথমেই আবার সেই দুনিয়াবি মোহে যেন বিশ্বাসীরা আসক্ত না হয়ে পড়ে সেই কথা এসেছে। তারপর বলা হচ্ছে এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার পরীক্ষায় যারা সফল হবে তাদের জন্য কি থাকবে আর যারা ব্যর্থ হবে তাদের জন্য কি শাস্তি রয়েছে। কাহিনী আয়াত ৩২-৪৩ এরপর আসছে দুইটি সমৃদ্ধ বাগানের মালিকের কথা যে কিনা তার প্রতিবেশী, তুলনামূলক ভাবে দুর্বল্ এর সাথে বড়াই করছিল তার সম্পদ নিয়ে। কিন্তু...আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণের পুরস্কার (১ম পর্ব)
আজকের খুতবাহ প্রধানত সূরা হাজ্জ-এর একটি আয়াতকে কেন্দ্র করে। এই আয়াত নিয়ে আমি বেশ কয়েক দিন থেকেই চিন্তা করছিলাম, কিন্তু এটা নিয়ে খুতবাহ দেওয়ার বা এটাকে নিয়ে আমার চিন্তা ভাবনা প্রকাশ করার সুযোগ হয় নাই। বেশ কিছু দিন ধরেই আমি এই আয়াত নিয়ে চিন্তা করছিলাম কারণ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষ জনের সাথে সরাসরি দেখা সাক্ষাতের মাধ্যমে আমার অনেক মানুষের সাথে আলাপ হয়েছে। মানুষজন তাদের চ্যালেঞ্জ, প্রশ্ন নিয়ে আসে। আপনাদেরকে আমি প্রথমে কি ধরণের আলাপচারিতার কথা বলছি সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিয়ে তারপরে কেন আমি এই আয়াতটা আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত সেটা জানাতে চাই। আমরা এখন এমন এক সময়ে বাস করছি যখন আমরা অনেক বিভ্রান্তির ধাঁধায় পড়ে আছি। আমাদের সকল প্রকারের অনেক প্রশ্ন আছে। উদাহরণস্বরূপ মানুষ অনেক কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যক্তিগত জীবনে। যখন একজন বিশ্বাসী তার দ্বীন সম্বন্ধে খুব ভালোভাবে জানে এবং তারা আল্লাহর কিতাব সম্বন্ধে জানে, এবং তারা অনুধাবন করে সেই প্রশান্তি, মওই’যা- আন্তরিক পরামর্শ এবং আল্লাহর কিতার যে উপশম প্রদান করে, তাঁর প্রেরিত নবী সাঃ এর সুন্নত থাকে যা পাওয়া যায়। তখন তারা আল্লাহর দ্বীনে প্রশান্তি পায়। কিন্তু এখন আমরা এক অদ্ভুত সময়ে বাস করছি। আমরা এটাকে তথ্যের যুগ বলি কিন্তু আমাদের বেশির ভাগই আমাদের নিজের ধর্ম সম্বন্ধে বেশি কিছু জানি না। আমরা সত্যিই জানিনা কিভাবে আমাদের কিতাব এবং আমাদের বিশ্বাস এবং আমাদের ধর্মগ্রন্থ আমাদের উপশম দিতে পারে। এটা কিভাবে আমাদের কঠিন সময়ে সাহায্য করতে পারে। যখন এমনটা ঘটে তখন আমরা শয়তানের সহজ শিকারে পরিণত হয়ে যাই। যখন মানুষ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যায় তখন শয়তান তাদের কাছে সকল প্রকারের চিন্তা নিয়ে আসে। ধরুন কেউ অসুস্থ, সে হাসপাতালে এবং সে সব ধরণের ওয়াসওয়াসা পাচ্ছে- বিশ্বাসের ব্যাপারে, আল্লাহকে প্রশ্ন করছে, কদর...সবার আগে বড় বড় পাপ থেকে বেঁচে থাকুন
আমরা সবাই জানি, কিছু পাপ ছোট আর কিছু পাপ বড়। ছোট পাপের উদাহরণ হলো – যেমন দ্রত নামাজ পড়া, ভালভাবে অজু না করা, খুব দ্রুত চক্ষু সংযত না করা, কারো সাথে মজা করতে গিয়ে অজান্তে সীমা অতিক্রম করা, এটাও একটা পাপ, এটা ভালো নয়। ছোট গুনাহের আরও উদাহরণ হলো – ভালোভাবে কুরআন তিলাওয়াত না করা বা এমন কোন ছোট গুনাহ যা নিজের অজান্তেই করছেন। কিন্তু তারপর রয়েছে ভয়ংকর বড় ধরনের পাপ। হারাম ভোগ করা যেমন বিয়ার পান করা, চোখের জিনা করা এগুলো খুবই জঘন্য প্রকৃতির গুনাহ। বড় গুনাহের আরও উদাহরণ হলো – ব্যভিচার করা, কাউকে খুন করা, সুদ খাওয়া, সুদ উপার্জন করা, এটাকে বৈধতা দেয়া, আল্লাহ কোন কিছুকে হারাম করেছেন তারপরও এভাবে বলা যে – “আরে এটা তেমন কোন ব্যাপার না, আল্লাহ বুঝবেন”, এগুলো কবিরা গুনাহ। আল্লাহ বলছেন তুমি যদি পরকালে সফল হতে চাও, এক নাম্বার যেটা করবে তা হলো – বড় ধরনের পাপ কর্ম থেকে নিজেকে বিরত রাখো। কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকো। ছোট বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে আপনি সময়ের পরিক্রমায় ধীরে ধীরে উন্নতি লাভ করতে পারবেন এবং ক্রমান্বয়ে ভালো থেকে আরও ভালো মুসলিমে পরিণত হতে পারবেন। কিন্তু সবার আগে যা অগ্রাধিকার পাবে তা হলো – বড় বড় গুনাহ, কবিরা গুনাহ। আপনি যদি কোন মেয়ের সাথে ডেটিং করছেন, আপনি বড় পাপে লিপ্ত আছেন। (মেয়েদের উদ্দেশ্যে) আপনি যদি কোন ছেলের সাথে ডেটিং করছেন, আপনি বড় পাপে লিপ্ত আছেন। আপনাকে এটা বন্ধ করতে হবে, ইসলামের অন্য কোন ব্যাপারে চিন্তা করার আগে। আপনি যদি পর্ণ দেখায় আসক্ত হয়ে পড়েন, আপনি গভীর সমস্যায় আছেন, খুবই খারাপ সমস্যা এটা। এটা ভয়ংকর সমস্যা, ভয়ংকর, ভয়ংকর আধ্যাত্মিক সমস্যা। আপনাকে এটা থেকে বিরত থাকতেই হবে, কারণ চোখের জিনা অন্য ধরনের জিনার পথ উন্মুক্ত করে। আপনাকে এটা বন্ধ করতে...অন্যদের দোষ দেয়ার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহ মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, ‘বিস্ময়কর কুরআন’ সিরিজে আপনাদের স্বাগতম। কুরআন অধ্যয়নের সময় বিস্ময়কর কিছু পেলে আমি এই সিরিজের মাধ্যমে আপনাদের সাথে তা শেয়ার করি। আজকে ইউসুফ (আ) এর ভাইদের একটি বক্তব্য নিয়ে কথা বলবো। وَتَكُونُوا مِن بَعْدِهِ قَوْمًا صَالِحِينَ তোমরা তাকে কুপে ফেলে দেয়ার পর অথবা এমনকি হত্যা করার পর, এটা করার পর তোমরা তোমাদের পিতার একান্ত মনোযোগ পাবে। এরপর, কিছু সময় পার হওয়ার পর তোমরা ভালো মানুষ হয়ে যাবে। وَتَكُونُوا مِن بَعْدِهِ قَوْمًا صَالِحِينَ তারা মনে মনে নিজেদের ভালো মানুষ গণ্য করতো না। তারা বলছে না যে, তারা ভালো মানুষ। কারণ তারা বলছে – এই কাজ করার পর আমরা ভালো মানুষ হয়ে যাবো। “তো, হ্যাঁ, আমার একটি সমস্যা আছে, কিন্তু আমার সমস্যার কারণ ঐ যে সে। যখন সে সরে যাবে তখন আমি আসলে ভালো মানুষ হয়ে যেতে পারবো।” এই দুনিয়াতে এমন মানুষ রয়েছে যারা নিজেদের সাধু মনে করে। শয়তান তাদের কাজ কর্মকে তাদের নিকট সৌন্দর্যমণ্ডিত করে উপস্থাপন করে। তাই তারা মনে করে তারা ভালোই আছে। وَهُمْ يَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ يُحْسِنُونَ صُنْعًا “ অথচ তারা মনে করে যে, তারা সৎকর্ম করেছে।” তারপর এমন ধরনের মানুষও পাওয়া যায়, যারা মনে করে যে তারা ভালো মানুষ নয়। তারা জানে তারা খারাপ। কিন্তু তারা স্বীকার করে না যে তাদের নিজেদের পরিবর্তন করতে হবে। তারা এর জন্য অন্য কিছুকে দোষারোপ করবে বা বেশিরভাগ সময় অন্য এক মানুষকে দোষারোপ করে। তারা এভাবে বলে- “যতক্ষণ পর্যন্ত সে আমার জীবনে থাকবে বা যতক্ষণ পর্যন্ত সে এই এই … কাজ করতে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমিও ভালো হতে পারবো না।” যখন আমি তাদের থেকে মুক্ত হতে পারবো বা তাদের ক্ষতি করতে পারবো … অথবা এই ঘটনার ক্ষেত্রে তাকে হত্যা করতে পারবো বা তার থেকে মুক্ত হতে...মু’জিযা
No Results Found
The page you requested could not be found. Try refining your search, or use the navigation above to locate the post.