ভিডিও + প্রতিলিপি
No Results Found
The page you requested could not be found. Try refining your search, or use the navigation above to locate the post.
প্রবন্ধ
ঈমান এবং আঁধার প্রান্তরে পথ চলা প্রদীপ – ২য় পর্ব
দ্বিতীয় সমস্যাটি কী ছিল? দ্বিতীয় সমস্যাটি ‘ওয়া তারাব্বাস্তুম’। “তোমরা (সব সময় সুযোগের) প্রতীক্ষা করেছ/দীর্ঘসূত্রতা করেছ”। এখানে দীর্ঘসূত্রতা বলতে কি বুঝানো হয়েছে? আপনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এটা খারাপ, আপনার নিজের বিবেকের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, আমার নিজেকে পরিবর্তন করা উচিত; কিন্তু নিজেকে বুঝিয়েছেন “ইনশাআল্লাহ আমি দ্রুত নিজেকে পরিবর্তন করবো’, আমি জানি নিজেকে পাল্টাতে হবে, আমি জানি এটা খারাপ, শুধু এই সপ্তাহ পরেই আমি সম্পূর্ণ ভিন্ন মানুষে পরিণত হবো।” “বেশী না, আর একটা সেমিস্টার/দুটো মাস এই ‘বখে যাওয়া’ বন্ধুদের সাথে থাকবো, তারপর আমি অন্য কোর্স নিব। এখন ওদেরকে রাগানো ঠিক হবে না”। “শুধু এই এক মাস আমি এসব করবো, এই আর এক সপ্তাহ, এই আর একটা বা দুইটা পার্টি, একটা দুইটা ড্রিঙ্কস… এভাবে আপনি নিজেকে বলতে থাকেন আর সামান্য একটু, সামান্য একটু। “এই নয়/দশ মাস পরেই তো রামাদান। রামাদানে সব ছেড়ে দিব। পুরাই চেইঞ্জ হয়ে যাবো। আমার প্ল্যান আছে হজ্জে যাওয়ার, হজ্জ থেকে আসার পর দেখবেন আমি কেমন ভালো মানুষে পরিণত হয়ে যাই“। কিন্তু সে পর্যন্ত … আমার জন্য দোয়া করতে থাকেন। এটাই ‘ওয়া তারাব্বাস্তুম’। আপনি এই মুহূর্ত থেকে নিজেকে পরিবর্তন করতে চান না, আপনি শুধু নিজেকে খারাপ পরিবেশে ফেলে রাখছেন না, আপনি এখনো নিজেকে পরিবর্তনের জন্য কোন পদক্ষেপ নিতেও প্রস্তুন নন। মনে হচ্ছে আপনার কাছ থেকে অনেক বেশী কিছু চাওয়া হচ্ছে। আপনি যেভাবে আছেন সেভাবেই থাকতে চান, আরও কিছু খারাপ উপভোগ করতে চান। এটাই ‘ওয়া তারাব্বাস্তুম’। আপনি ধারণা করে আছেন … আপনার প্রথম ধারণা ছিল – খারাপ পরিবেশে থাকলেও এটা আমার উপর কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না, কিন্তু প্রভাব পড়েই। সময়ের সাথে সাথে ভয়ঙ্কর খারাপ কিছু আপনার কাছে স্বাভাবিক হয়ে যায়। এখন তারাব্বুস বা অপেক্ষা করতে থাকা, দীর্ঘসূত্রতা করার প্রভাব কী? আপনি ভাবছিলেন আপনি যেকোনো সময় এই খারাপ কর্ম...স্বামীদেরকে বলছি, “সবাইকে খুশি রাখা অসম্ভব
আপনার মা-বাবা আপনার জন্য যা যা করেছেন তার মূল্য আপনি কখনোই পরিশোধ করতে পারবেন না। আপনার মা তার দেহের মধ্যে আপনাকে নিয়ে বেড়িয়েছেন। তাঁর রক্ত বিসর্জনের কারণেই আপনি পৃথিবীর মুখ দেখতে পেরেছেন। আপনাকে জন্ম দিতে গিয়ে তাঁরই মৃত্যু হতে পারতো। আপনি যখন নিজের যত্ন নিতে পারতেন না তখন বাবাই আপনার সব প্রয়োজন মেটানোর ব্যবস্থা করেছেন। আপনার থাকার জায়গা ছিলোনা, তিনিই সেই ব্যবস্থা করেছিলেন। আপনার পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন। আবার আপনার মায়ের দেখভাল করার মাধ্যমেও আপনার বাবা আসলে আপনার প্রতিই ইহসান করেছেন। কেন এমনটা বলছি? কারণ আল্লাহ যখন মুসা (আঃ) এর প্রতি বর্ণনা করছিলেন وَلَقَدْ مَنَنَّا عَلَيْكَ مَرَّةً أُخْرَىٰ সূরা ত্বহাতে… “আমি তোমার প্রতি আরও একবার অনুগ্রহ করেছিলাম।” আর তাঁর প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহের একটা অংশ ছিলো… “আমরা তোমাকে তোমার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম।” ..… “যাতে সে চোখের পানি না ফেলে।” যাতে তাঁর চোখ শীতল হয়ে যায়। যাতে সে আর কষ্ট না পায়। যখন আল্লাহ তাঁর মায়ের যত্ন নিচ্ছিলেন, আল্লাহ বলছেন, “আমি আসলে তোমাকেই অনুগ্রহ করছিলাম।” তাই যখন আপনার মায়ের প্রতি ভালো কিছু করা হচ্ছে, তখন আসলে আপনার প্রতিও অনুগ্রহ করা হচ্ছে। আপনি হয়তো বলবেন “আমি জানি আম্মু আমার যত্ন নিয়েছে, কিন্তু আব্বু তো কিছুই করেনি।” তিনি যে স্বামী হিসেবে আপনার মায়ের দেখাশোনা করে যাচ্ছেন, আপনাদের দুজনেরই, এটাই একটা অনুগ্রহ যা আপনি শোধ করতে পারবেন না। তিনি যদি আর কিছু না-ও করে থাকেন। তাই বাকি সব সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি হয়তো অন্যদের ভালো করছেন। কিন্তু মা-বাবার বেলায় আপনি আসলে এমন ঋণ পরিশোধ করছেন যা আসলে শোধ হওয়ার ঊর্ধ্বে। এটা অসম্ভব। আর আমরা সারা জীবনই এর জন্য ঋণী থেকে যাবো। তাই আপনার সর্বোচ্চটা দিলেও তা যথেষ্ট হবেনা। তবুও আপনি আপনার সেরা চেষ্টাই দিয়ে যাবেন। সেজন্যই এটা “ওয়াবিল ওয়ালিদাইনি ইহসানা।” এটা হলো আপনার দায়িত্বের প্রথম...পার্থিব জীবনের সাজ-সজ্জা ও ক্রীড়া-কৌতুক
“আপনি নতুন বিয়ে করেছেন, রাস্তা দিয়ে আপনার স্ত্রীকে নিয়ে যাচ্ছেন। হঠাৎ করে তিনি হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। আপনি দ্রুত গিয়ে তুললেন, সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, “আমি কখনই তোমার কিছুই হতে দেব না, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি! নতুন বিবাহের মধ্যে এরকম ভালোবাসাই থাকে… এরকম আবেগের মধ্য দিয়েই আমরা যাই… এভাবে আমাদের জীবনের অনেকগুলো স্তর থাকে… বিবাহের প্রাথমিক অবস্থা থেকে সন্তান-নাতি-নাতকুর বয়স পর্যন্ত। আমাদের জীবনের অবস্থা কেমন? ছোটবেলার খেলা নিয়েই পড়ে থাকি, কিছুটা বড় হলে পড়ালেখা ধরি, আর কিছুটা বড় হলে আমাদের মধ্যে স্মার্টনেস আসা শুরু করে, মেয়ে বা ছেলে দেখলেই একটু সাজুগুজু করার চেষ্টা করি, ভাব নেই। আরো একটু বড় হলে পড়ালেখা কখন শেষ হবে, একটা সার্টিফিকেট পাবো এই চিন্তা করি। চাকরি এবং এরপরে বিয়ে, স্বামী-স্ত্রীর আনন্দ… এভাবে আর কিছু দিন, সন্তান-সন্তুতি… এরপর নাতী-নাতকু… এভাবে জীবনের শেষপ্রান্তে এসে হাজির হই। আমাদের সেই ছোট্ট জীবন থেকে জীবনের শেষপ্রান্তে এসে হাজির হই। শেষে আর কিছুতেই মজা পাই না, আমাদের জীবনের রঙ শেষ হয়ে আসে, জীবনের রঙ পাল্টাতে শুরু করে। জীবনের শেষপ্রান্তে এসে আপনার স্ত্রীকে নিয়ে যদি আবার সেই একই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যান এবং আপনার স্ত্রী হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে যান তখন বলেন, “কী সমস্যা তোমার, তোমাকে নিয়ে কি রাস্তায়ও বেড়োনো যাবে না?” সেই প্রাথমিক বিবাহিত অবস্থার ভালোবাসা আজ নেই, জীবনে ভালোবাসা আজ পীতবর্ণ ধারণ করেছে, ধূসর রঙ ধারণ করেছে। এভাবেই আমাদের জীবনও একই অবস্থা দিয়ে যায়। ছোট্ট শিশু, কৈশর, যৌবন, বৃদ্ধাবস্থা… এভাবে আমাদের জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। এই ক্ষণস্থায়ী জীবন থেকে চিরস্থায়ী জীবনের দিকে। ঠিক আল্লাহ এই উপমাকেই এখানে চিত্রায়িত করেছেন এভাবে… আমাদের ক্ষণস্থায়ী পার্থিব জীবন, যেন আমরা এখানে এভাবে পড়ে না থাকি, আমরা যেন ধোঁকায় পড়ে শাস্তিযোগ্য না হই। আমাদের সফলতার জন্য আল্লাহ আমাদের সতর্ক করে দিলেন আমাদের চোখের সম্মুখে দেখা একটি...দাম্ভিকতা এবং ঔদ্ধত্য
আপনি যদি কখনো হতাশায় ভোগেন, আপনি বুঝতে পারছেন যে আপনার অন্তর আসলেই কঠিন হয়ে গেছে – আর আপনি নিজেই এই সমস্যাটা আপনার মধ্যে বাড়তে দিয়েছেন। কখনো কখনো ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি খুবই ভীতিকর মনে হয়। তাদের সাথে কথা বলা কঠিন, তাদের আশে পাশে যাওয়া আতংকজনক কারণ তারা হয়ত আমাকে অপমান করতে পারেন। আপনি তাদের ভয়ে ভীত থাকেন। অনেক সময় যেসব বোন্ হিজাব পরেন না তারা হিজাব পরা একজনকে আসতে দেখলে রাস্তা ক্রস করে অন্য দিকে চলে যান। তারা মনে করেন – ঐ যে হিজাব পুলিশ আসছে!! সে নিশ্চয়ই আমাকে কিছু বলবে, আমার মন খারাপ করে দিবে। এখন- একদিকে এটা একটা অমূলক ভয়ের কারণ, অন্যদিকে কখনো কখনো এটা সত্য যে, কিছু মানুষ রয়েছে যারা অন্যদের নিচু চোখে দেখে, তারা অন্যদের প্রতি উদ্ধত। আমাকে বলেন – “কয়েকদিন আগে না আপনি পার্টি মাতিয়ে রাখতেন! যারা আপনার সাথে এভাবে কথা বলতো তাদেরকে আপনি কিভাবে জবাব দিতেন? আপনি কি ভুলে গেছেন যে, আপনি কোথা থেকে এসেছেন? আল্লাহ আপনাকে কোথায় এনেছেন।” কারণ মানুষ ভুলে যায়, মানুষ ভুলে যায় যে তারা কি ছিল আর আল্লাহ তাদের কোথায় এনেছেন। তারপর কয়েক বছর অতিক্রান্ত হওযার পর, যখন তারা এমন কাউকে দেখে যে পার্টি এনিম্যাল – তারা তখন বলে উঠে , আস্তাগফিরুল্লাহ, সে এমন হলো কিভাবে? আপনি কোথায় ছিলেন? এই লোককে দেখেতো আপনার নিজের কথা মনে হওয়া উচিত। আপনিতো ঠিক তার মতই ছিলেন। আল্লাহর যে রহমত আপনার উপর বর্ষিত হয়েছে তা আপনার স্মরণ করা উচিত। وَكُنتُمْ عَلَىٰ شَفَا حُفْرَةٍ مِّنَ النَّارِ আপনি অগ্নিকুন্ডের একেবারে প্রান্তসীমায় ছিলেন। فَأَنقَذَكُم مِّنْهَا তিনিই আপনাকে রক্ষা করেছেন। আর সেই আয়াতেই আল্লাহ বলেছেন, فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ তিনি তোমাদের অন্তরে ভালবাসা সৃষ্টি করেছেন। (৩:১০৩) আপনারা আপনাদের অন্তরসমূহের মাঝে যদি ভালবাসা পেতে চান, তাহলে আপনাকে মনে রাখতে হবে...আমি ভালো হলে কি আমার নামাজ পড়া লাগবে?
ভালো কাজের সংজ্ঞা কে নির্ধারণ করবে? এই পৃথিবীতে দুই ধরনের ভাল কাজ আছে। এটা একটু মনে রাখবেন। দুই ধরনের ভাল কাজ আছে। নৈতিক ভাল কাজ। আমি প্রতিবেশীর প্রতি ভাল। আমি কর্মক্ষেত্রে সৎ। আমি মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করি। আমি চুরি করি না। আমি মানুষকে ঠকাই না। এগুলো হচ্ছে নৈতিক ভাল কাজ। ঠিক আছে? এরপর আছে হলো ধর্মীয় ভাল কাজ। আমি হজ্জে যাই। আমি যাকাত দেই। আমি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। আমি রামাদানে রোজা রাখি। এগুলো নৈতিক অর্থে ভালো কাজ না, এগুলো ধর্মীয় অর্থে ভালো কাজ। অনেক সময় মুসলিমরা এবং নন-মুসলিমরা, বিশেষ করে মুসলিমরা, আমরা এই দুটো জিনিসের মধ্যে পার্থক্য করে ফেলি। মুসলিম বিশ্বে আপনি এমন মানুষ খুঁজে পাবেন যারা নৈতিকভাবে ভালো। তারা তাদের পরিবারের সাথে ভালো। তাদের সন্তানদের যত্ন নেয়। তারা তাদের বাড়িতে দায়িত্বশীল। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো। কর্মক্ষেত্রে তারা সৎ। ভাল মানুষ। কিন্তু তাদের মধ্যে ধর্ম বলতে কিছু নেই। “ভাল হওয়ার জন্য আমার ধর্ম লাগে না”, তারা বলে। অপর মেরুতে আছে এমন মানুষ যারা নামাজ পড়ে, হজ্জে যায়। যাকাত দেয়। লম্বা দাড়ি আছে। খুব ধার্মিক পোশাক পরে। কিন্তু তারপরও তারা তাদের পরিবারের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। ব্যবসায় মানুষকে ধোঁকা দেয়। অত্যন্ত অনৈতিক মানুষ। তো আমরা ভাল হওয়ার দুইটি মাত্রাকে আলাদা করে ফেলেছি। যা হলো নৈতিকতা এবং ধার্মিকতা। আল্লাহ কুরআনে এই দুটিকে একসঙ্গে করে ফেলেন একটি আয়াতে, যেটাকে বলা হয় আয়াতুল বির। সদগুণের আয়াত। ভাল হওয়ার অর্থ কি ? আপনি যদি এই আয়াতটি নিয়ে পড়েন। তাহলে দেখবেন এটা দুটি জিনিসের সমাহার। এটা হল একটি সমন্বয় নৈতিক নীতির, যেমন কথা রাখা, ধৈর্যশীল হওয়া ইত্যাদি এবং ধর্মীয় নীতির, যেমন নামাজ কায়েম করা, যাকাত দেওয়া। এটা এক জায়গায় এই দুটো জিনিসের সমন্বয়। তো আপনি যদি মনে করেন ভাল হওয়ার সংজ্ঞা আপনি নিজে...মু’জিযা
No Results Found
The page you requested could not be found. Try refining your search, or use the navigation above to locate the post.