লেখাটি পড়ার আগে নিচের ছবিটি নিয়ে একটু ভাবুন। এরপর পড়ুন 🙂
আমার একটা বন্ধু ছিলো যাকে আমি আমার গাইড মনে করতাম। আমরা একবার রাস্তায় হাঁটছিলাম। আমরা রাস্তায় হাঁটছিলাম, ম্যানহাটেন নিউইয়র্ক শহরে। সে হঠাৎ করে আমার হাত ধরল। সে প্রায়ই এইরকম অদ্ভুত কাজকর্ম করে।
সে আমাকে বলল, “তোমার চারপাশ দেখ।”
আমি চারদিকে তাকালাম। এরপর একটু বিভ্রান্ত মনে বললাম, “দেখলাম।”
সে বলল, “এইবার নিচে ঐটা দেখ।”
আমি দেখলাম কংক্রিটের মাঝে একটা চারাগাছ বেরিয়ে আছে।
ও বলল, তুমি জানো, আমাদের আশপাশে এখন যা কিছু আছে, এই একটি মাত্র জিনিসই প্রাকৃতিক এবং এরপরও এই একটি জিনিসকেই মনে হচ্ছে বেঠিক জায়গায় আছে। এই চারাগাছকেই সবচেয়ে অসামঞ্জস্য মনে হচ্ছে এই জায়গায়, তাই না?
আমি বললাম, “হুম ঠিক আছে, তো?”
অথচ এটিই একমাত্র প্রাকৃতিক আর সবচেয়ে স্বাভাবিক জিনিস এখানে। এটা ঠিক মুসলিমদের মতো। এটা একেবারে ইসলামের মতো। আমরা মুসলিমরা হচ্ছি খুবই স্বাভাবিক। আমরা হচ্ছি ফিতরা সম্পন্ন মানুষ। এই কুর’আন, এর শিক্ষা সবই স্বাভাবিক আর প্রাকৃতিক। অথচ, আমাদেরকে সমাজে সবচেয়ে অসামঞ্জস্য মনে করা হয়।
আমি হতভম্ব হয়ে একটু পিছিয়ে গিয়ে বললাম, “ওওও, বন্ধু তুমি আসলেই চিন্তাশীল।”
আমার ঐ বন্ধুর সবচেয়ে আশ্চর্য ব্যাপার কী জানেন? আমি যতবারই তাকে দেখেছি, ততবারই তার হাতে কুর’আন দেখেছি। আমি যতবারই কোন বিষয় নিয়ে কথা বলি উনার সাথে, সে সাথে সাথে প্রতিউত্তর না দিয়ে একটু চিন্তা করে বলে, আচ্ছা একটা আয়াত আছে কুরআনে এই ব্যাপারে। এরপর সে কথা শুরু করে।
সে যেন কুরআনের চশমা পড়ে আছে। যাই কিছু দেখে কুরআনের দৃষ্টিতে দেখে আর চিন্তা করে। বিস্ময়কর! একেই বলে চিন্তা করা। আমাদেরকেও এরকম চিন্তাশীল হতে হবে। এইভাবে কুর’আনের চশমা পড়লে আপনি সবকিছুতেই পদনির্দেশনা পাবেন।
—– Quran Cover to Cover সিরিজে সুরা বাকারার ১৬৪ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় উস্তাদ নুমান আলী খান