Articles, other scholars |
মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে সবার জন্য রাতের সময়টা স্পেশাল। একটা বিষয় মনোবিজ্ঞানীরা প্রায় বলে থাকেন – রাতের সময়টা হলো আধ্যাত্মিক সময়। এই সময়টাতে মানুষ তার নিজের মনের অনেক কিছু শেয়ার করতে চায়। তারা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ থাকে। ইসলাম কী করে, ইসলাম এই সময়টার সুযোগ গ্রহণ করতে বলে। অন্যরা যখন বিভিন্ন পাপ কর্ম করে এই সময়টা কাটায়, বিশ্বাসীরা তখন এই আধ্যাত্মিক, এই আবেগময় সময়টা তাদের রবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত করে। স্কলাররা প্রায় বলে থাকেন, রাতের কাজ একজন ব্যক্তির ভালোবাসার সাক্ষ্য দেয়। সুতরাং, মানুষ যে বিষয়টা বেশি ভালোবাসে, সাধারণত সে বিষয়টা রাতের জন্য উৎসর্গ করে। যাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হলো, মৌজ মাস্তি করা, যতবেশি সম্ভব আনন্দ লাভ করা, তারা তাদের রাতের সময়টা এই লক্ষ্য অর্জনে ব্যয় করে। অন্যদিকে, যদি একজন ব্যক্তির একমাত্র লক্ষ্য হয় আখেরাত এবং আল্লাহর জন্য ভালোবাসা, তাহলে তিনি তার রাতের সময়টা এই আখেরাত পাওয়ার উদ্দেশ্যেই ব্যয় করবেন। এবং তার রাতের সময়টা আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করবেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, وَالَّذِينَ آمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِّلَّهِ ۗ – “কিন্তু যারা মু’মিন আল্লাহর সঙ্গে তাদের ভালবাসা প্রগাঢ়।” ইমাম হাসান আল বসরী (র)…. আমি প্রায়শ ইমাম হাসান আল বসরী (র) এর উদৃতি দিয়ে থাকি। কারণ তিনি ইসলামের দ্বিতীয় প্রজন্মের মানুষ, একজন তাবেয়ী। তিনি আমাদের আধ্যাত্মিক দিকের উপর বেশ গুরুত্বারোপ করেছেন। আমি মনে করি, তাঁর কথাগুলো যদি আমাদের সময়ে আমরা পালন করি, তাহলে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারবো। তো, এই মহান ইমাম হাসান আল বসরী (র) কে কিছু মানুষ জিজ্ঞেস করেন – ” কেন আমরা ক্বিয়ামুল লাইল তথা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারি না? তারা আরো বলেন – ” আমরা রাতে নামাজ পড়তে উঠার জন্য অনেক চেষ্টা করি, কিন্তু আমাদের জন্য এটা অনেক কঠিন মনে হয়।” তখন তিনি জবাবে বলেন – ” তোমাদের পাপের কারণে এবং...
Articles, other scholars |
আমরা সবাই বলে থাকি, আমি জাহান্নামকে ভয় করি, আল্লাহকে ভয় করি। কিন্তু চারদিকে তাকিয়ে দেখুন মনে হয় যেন সবাই ছুটির দিন উদযাপন করছে। কোথায় সে ভয়, কোথায় সে আতঙ্ক? আপনার জীবনে কখনো, কোনো দিন কি এমন হয়েছে যে, আপনি সারা রাত ঘুমাতে পারেন নি – মুভি দেখে নয়, বা কোনো আড্ডা দিয়ে নয় – বরং জাহান্নামের ভয়ে আপনি সারা রাত ঘুমাতে পারেন নি। আমি এমন মানুষের কথা জানি, যারা ঘুমাতে পারেন নি, কারণ পরের দিন সকালে তাদের পরীক্ষা ছিল। কেউ হয়তো ভালোবাসার কারণে ঘুমাতে পারেন নি। কোনো যুবক যদি প্রেমে পড়ে সে ঘুমাতে পারে না। আল্লাহর কসম! আমি মিথ্যা বলছি না। কোনো বোনও যদি এভাবে প্রেমে পড়ে ঘুমাতে পারে না। তারা সারা রাত মোবাইলে কথা বলে কাটিয়ে দেয়। যদি কথা না বলে তবুও একে অন্যের কথা মনে করে ঘুমাতে পারে না। কারো হয়তো কোর্টে হাজিরা দিতে হবে, তাই দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুম আসে না। সর্বশেষ কখন আপনার অন্তরে আল্লাহর ভয়ের কারণে সারা রাত ঘুমাতে পারেন নি। আপনি কি কখনো এমন কারো সাক্ষাৎ পেয়েছেন? যার মুখ মলিন হয়ে আছে, চোখ লাল হয়ে আছে – তারপর আপনি জিজ্ঞেস করলেন: “কী হয়েছে?” সে জবাব দিলো: “আল্লাহর কসম! ভাই আমি জাহান্নামের ভয়ে ভীত।” এটা শুনলে আপনি হয়তো হেসে দিতেন। সত্যিই! বেশি ওয়াজ শোনার কারণে মনে হয় তার এ অবস্থা হয়েছে। কেউ একজন তাকে সমুদ্র সৈকতে নিয়ে যাও। তাকে কিছু মজা করতে দাও। আমাদের সময়ে জাহান্নামের ভয়ে ভীত হওয়া স্বাভাবিক নয়। আমাদের জীবনে সবকিছুকে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু আল্লাহর ভয় হয়ে পড়েছে অস্বাভাবিক। আর আজকে আমার আলোচনার উদ্দেশ্য এটাই। আমরা চাই মানুষ আল্লাহকে ভয় করুক। আমরা চাই মানুষ জাহান্নামের ভয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ুক। আল্লাহ বিশ্বাসীদের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন…. আপনাদের চোখ কান খোলা রেখে মনোযোগ...