ইসলামে মতবিরোধের কারণ, ক্ষেত্র আর আমাদের অজ্ঞতা

ইসলামের জরুরি বিষয়সমূহঃ ১. মূলনীতি (আল্লাহর স্মরণ, আল্লাহভীতি, ভ্রাতৃত্ব, সততা, ন্যায়বিচার, পরকালীন সফলতা, চিন্তাশীল হওয়া…ইত্যাদি ইত্যাদি) ২. বাধ্যবাধকতা (ফরজ এবং হারাম কাজসমূহ) ৩. উৎকর্ষতা সাধনমূলক কাজ। (সুন্নাহ সমূহ) ৪. সাহাবী (রা) দের ঐকমত্য ৫. মতবিরোধপূর্ণ...

ইসলাম ও আত্ম অহংকার

একদিকে আপনার ঈলম বৃদ্ধি পাচ্ছে, লোকজনের সামনে আপনাকে খুবই ধর্মভীরু বলে মনে হয়, কিন্তু যেসময় একা থাকেন, যখন আর কেউ আপনাকে দেখতে পায়না তখন আপনার ভেতরের খারাপ সত্ত্বাটা বেরিয়ে আসে। যার কিছু আলাদা আচরণ আছে; যে কিছু গোপন কাজ করে। তাঁর স্বাভাবিক চলাফেরা দেখে কেউ বলতেই পারবে না যে সে এরকম খারাপ কাজ করতে পারে। কিন্তু তারা নির্জনে একদম ভিন্ন এক মানুষে রূপ নেয়, যাকে দেখে আপনি চিনতেও পারবেন না। তো সেই মানুষটার ভেতরে একটা দানব বাস করছে। তার কিছু সাংঘাতিক সমস্যা আছে, কিন্তু তাকে বাহ্যিক দিক থেকে অনেক ভালোই লাগে। কেউ আপনার এই সমস্যা দূর করতে পারবে না কারণ তারা জানেও না যে আপনার ভেতরে এমন সমস্যা বিরাজ...

আমরা কি আসলেই তাওহিদে বিশ্বাস করি?

“আহাদ” এই ধারণাটি তথা একক সত্ত্বার এই ধারণাটি।  ইসলামিক ধর্মতত্ত্বের বিশিষ্ট একজন লেখক ডঃ রফী’ উদ্দীন এই সুরাহ সম্বন্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে অতি আশ্চর্য‍্যজনক কিছু তত্ত্ব প্রদান করেন। আমি আসলেই এর প্রশংসা করি, এবং আমি মনে করি আধুনিক শ্রোতাদের মনে এই তত্ত্বগুলো গেঁথে দেওয়া প্রয়োজন। আল্লাহ মানব জাতির মধ্যে তাঁর সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান করে তৈরী করেছেন। মানব জাতি শুরু থেকেই জানত যে, সর্বোচ্চ সত্ত্বা আল্লাহ বিদ‍্যমান। এরকম নয় যে, একজন উপাস‍্য আছেন, তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, এখন আমরা যা ইচ্ছা তাই করতে পারি। না, সেটা নয়। বরঞ্চ তিনিই রব, তিনিই প্রভু। আমার জীবনের মূল লক্ষ‍্যবস্তু হচ্ছে তিনি যা চান তা করা।এটা আমার সর্বোচ্চ আদর্শ। তাঁর দাসে পরিণত হওয়াই হচ্ছে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। এটাই হবে আমার জন‍্য সবচেয়ে বড় সম্মানের বিষয়। আল্লাহর নবী (সাঃ), তাঁর বড় সম্মান ছিল তিনি আল্লাহর ‘‘عبد’’ হয়েছিলেন। আল্লাহর দাস হওয়া সবচেয়ে সম্মানের বিষয়। এটাই হচ্ছে জীবনের মূল লক্ষ‍্যবস্তু এবং আল্লাহ সেই লক্ষ‍্যবস্তুটি সকল মানবজাতির অন্তরে খোদাই করে দিয়েছেন। কিন্তু যদি আপনি সেই লক্ষ‍্যবস্তুর দিশা হারিয়ে ফেলেন তখন যেটা হয়, সেই লক্ষ‍্যবস্তু পরিপূর্ণতার পিপাসা বা ক্ষুধা আপনার মধ্যে বিরাজ করে, যা দ্বারা আল্লাহ আপনাকে সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু আপনার ক্ষুধা যখন স্বাস্থ‍্যকর খাবার দ্বারা নিবারিত হয় না, তখন কি দিয়ে নিবারণ করেন? আপনি যদি সঠিক খাবার না পান, আপনি কি তাহলে বলবেন যে, আমি খাবই না। না। যখন কোন ব‍্যক্তি ক্ষুধায় কাতর থাকে এবং তার পছন্দের কোন খাবার যদি তখন সে না পায় অথবা কোন স্বাস্থ‍্যকর খাবারও নেই, শুধু আছে ময়লা আবর্জনা, গাছের ছাল-পালা মানুষ কি তা নিয়েই চোষাচুষি শুরু করবে না, যখন সে এরকম পরিস্থিতির স্বীকার হবে? অবশ‍্যই করবে। যখন আপনি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যকে ভুলে যান, সেটা যখন আর আপনার লক্ষ্যবস্তু হয়...