কুর’আন কী? – পর্বঃ ১

কুর’আন কী? – পর্বঃ ১

অন্যের ধর্মের ভাই বোনেরা যদি জিজ্ঞাসা করেন কুর’আন কী? আমরা কী বলব? — ঠিক এই প্রশ্নের উত্তর নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন উস্তাদ নুমান আলী খান অন্য ধর্মের মানুষদের সামনে। আপনারা প্রস্তুত? তাহলে আমরা শুরু করছি। এই পর্বে নিজের ব্যাপারে আমি আপনাদের কিছু বলব। এটা কুরআনের সাথে প্রাথমিক পরিচয় পর্ব হবার কথা ছিল। আর আমি যেভাবে কুরআনকে মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই, সেটা খুবই ব্যক্তিগতভাবে। গতানুগতিক কোনও নিয়মে নয়, যেমন আগে থেকে বানানো কোনও পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বক্তব্য উপস্থাপন সম্পর্কিত কিছু নয়। আসলে আমি আমার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে কুরআনের সাথে সবাইকে পরিচয় করাতে চাচ্ছি। আমি মুসলিম ঘরেই বড় হয়েছি। কিন্তু আমি এমন কোন পরিবেশে বড় হইনি যেন ছোটবেলা থেকেই কুরআন পড়েছি, অর্থ জেনেছি কিংবা পুরোটা একবার হলেও অর্থ সহকারে পড়েছি। এগুলোর কোনটাই করিনি কখনও। এইজন্য আমি ঠিকভাবে জানতামও না এটা আসলে কি। আর এমনকি নিউইয়র্ক সিটিতে কলেজে যাই যখন তার আগ পর্যন্ত ওইভাবে ধর্মের সাথে আমার যোগাযোগও ছিলনা। নিউইয়র্ক সিটিতেই আমি স্কুলে গিয়েছি। যখন আমি আমার ধর্মকে নতুন করে আবিষ্কার করা শুরু করলাম। তখন আমি আসলে একাই থাকছিলাম নিজের মত করে, আমার বাবা মা ততদিনে এখান থেকে চলে গেছেন। নিজের মত করে ছিলাম, নিজের মত করেই ধর্মকে শিখছিলাম। পরিবারের কোনও হস্থক্ষেপ, কোনও প্রতিষ্ঠানের প্রভাব ছাড়া। খানিকটা নিজের আবিষ্কারের মত। কুরআন পড়ার খুব কম সময়ের মাঝেই এটা বুঝে যাই যে এইরকম সেক্সপিয়রিয় অনুবাদ দিয়ে আমি খুব বেশি কিছু বুঝব না আর সঠিক ভাবটা বুঝব না। লিখনটি আমার জন্য বোঝা খুব কঠিন ছিল। এইরকম বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের আমি সহ আরও অনেকেই সম্মুখীন হয়েছে, কুরআনকে বুঝতে গিয়ে। এদের মাঝে প্রথমটি ছিল, এটা অন্য সব বইয়ের মত পড়া যায়না। এখানে ১১৪ টি ভাগ আছে, আপনারা বলেন চ্যাপ্টার, আমরা বলি সূরা। এগুলো...
কু’রআনের কথাঃ বাংলা ভাষায় কু’রআনের আধুনিক আলোচনা

কু’রআনের কথাঃ বাংলা ভাষায় কু’রআনের আধুনিক আলোচনা

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম আমাদের অনেকেরই কু’রআন এবং কু’রআনের তাফসীর পড়ার সময় মনে প্রশ্ন আসে, “এই আয়াতে আমার শেখার কী আছে?”, “এর সাথে আজকের যুগের সম্পর্ক কী?”, “কু’রআনে আধুনিক মানুষের জীবনের সমস্যাগুলোর কোনো উত্তর আছে কি?” ইত্যাদি। অনেকেই কু’রআন পড়ে বুঝতে পারেন না; কু’রআনের আয়াতগুলোগুলো কীভাবে তার জীবনে কাজে লাগবে।   বিশেষত কোরআনকে আমাদের পড়তে অনীহা লাগার অনেকগুলো কারণ রয়েছে- এর   মাঝে রয়েছে কোরআনের প্রাসঙ্গিকতা, এটিকে সুশৃঙ্খল মনে না হওয়া এবং পাশাপাশি কোরআনকে বুঝতে হলে শুধু কোরআনই নয় বরং অন্যান্ন জ্ঞানের শাখাও যে সমানভাবে লাগে সেগুলোর জ্ঞান না থাকায় আমরা একে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে পারি না এবং এটা পড়তেও ইচ্ছা করে না।   এসব কিছুই মধ্য দিয়েই কোরআনের এই অসাধারণ আলোচনাসমূহ-যার কারণে আপনার কাছে কোরআনকে আর নিরস মনে হবে না, কোরআনের আবেদন নতুনভাবে উন্মোচিত হবে, নতুনভাবে পরিচিত পাবে কোরআনের চিরন্তন ও সমকালীন জীবন পথের প্রাসঙ্গিক আলোচনাসমূহ।   আধুনিক মানুষ ইসলামকে নিয়ে যে সব দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন এবং অমুসলিম মিডিয়ার ব্যাপক অপপ্রভাবের কারণে ইসলামকে মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারেন না, তাদের কাছে ইসলামের সঠিক ভাবমূর্তি এবং কু’রআনের অসাধারণ বাণী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ লেখাগুলোর সূচনা। এটি কোনো তাফসীর নয়, বরং প্রসিদ্ধ তাফসীরগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য এবং আজকের যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনার সংকলন। এখানে কু’রআনের আয়াতের বাণীকে অল্প কথায়, সমসাময়িক জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে, সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক আলোচনাসহ যথাসম্ভব আধুনিক বাংলায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করি সমকালীন মানুষেরা তাদের জীবনের সাথে কুর’আনকে মেলাতে পারবেন। কু’রআনের আয়াতগুলোর সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের বাণীর খুব কমই বোঝা যায়, কারণ আরবি থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবি শব্দের প্রকৃত অর্থ, অর্থের ব্যাপকতা এবং প্রেক্ষাপট হারিয়ে যায়। আবার অনেকেই তাফসির পড়ে ঠিক কিন্তু উপলব্ধি করতে পারেন না, আয়াতগুলো কীভাবে তার জীবনে কাজে লাগবে, কীভাবে তা একবিংশ...