Videos |
উস্তাদ নুমান আলী খানের কুরআন উইকলি তে দেয়া “Quranic Gems” সিরিজ থেকে নেয়া। আজ আমি আপনাদের সাথে সুরা আনফালের দুটি আয়াত আলোচনা করব। আয়াত ২১ ও ২২। এই দুটি আয়াতে আল্লাহ রব্বুল আলামীন শ্রবণের গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ বলেন, “আর তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না, যারা বলে যে, আমরা শুনেছি, অথচ তারা শোনে না।” অতএব শুধু শুনলেই হবে না, মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। এই আয়াতে মনোযোগী শ্রোতা হওয়ার ব্যাপারে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আপনারা জানেন যে, আজকাল আমরা মিডিয়ার উপরখুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। আপনি হয়ত একই সময়ে কিছু শুনছেন এবং অন্য কিছু দেখছেন, আবার হয়ত আপনার বাবা-মার কথাও শুনছেন। আমরা একই সময়ে বিভিন্ন জিনিস নিয়ে ব্যস্ত আছি, কিন্তু আসলে কোনোটাই মনোযোগ দিয়ে করছি না। আমাদের এমন ভাবে নিজেদের তৈরি করতে হবে যে, যখন আমরা কিছু শুনব, আমরা যেন তাতে পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারি। আজকাল এটা খুবই সাধারণ ঘটনা যে, এমনকি জুমুয়ার নামাজে, লেকচারে বা ধর্মীয় আলোচনার আসরেও শ্রোতারা মনোযোগ দিচ্ছেন না। এমনকি আপনারা যখন আমার এই লেকচার শুনছেন আপনারা মোবাইলে মেসেজ চেক করছেন। কেউ কেউ হয়ত মোবাইল ঘাঁটছেন বা ফেইসবুক আপডেট করছেন ।এই ভিডিওটিও শুনার সময়ই আপনি হয়ত অর্ধেক মনোযোগ দিয়ে আমার লেকচার শুনছেন। বাকি অর্ধেকটা দিয়ে অন্য কিছু করছেন। আল্লাহ বলেন, “তাদের মত হয়ো না যারা বলে যে, শুনছি কিন্তু আসলে মনোযোগ দিয়ে শুনে না।” রাসুলাল্লাহকে (সাঃ) তাদের যে সম্মান দেখানোর কথা এখানে তার কথাই বলা হচ্ছে। তাহলে আয়াতের প্রথম অংশে মনোযোগ দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। প্রথম উপদেশ হচ্ছে যে, “আমরা যখন কারো কথা শুনব…” দেখুন, এখানে কিন্তু সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি যে, কার কথা শুনব,এখানে এই মুহূর্তে শুধু শিষ্টাচারের কথাই বলা হচ্ছে। আমাদের ভালো মনোযোগী শ্রোতা হতে হবে। আপনার মা আপনার সাথে কথা বলছেন, ফোন সরিয়ে রাখুন।...
Videos |
উস্তাদ নুমান আলী খানের কুরআন উইকলি তে দেয়া “Quranic Gems” সিরিজ থেকে নেয়া। আজকে আমরা নৈতিকতা ও আচরণের একটি বিষয় শিখব- তা হচ্ছে আদাব। উম্মাহর মধ্যে, মুসলিমদের লাইফস্টাইলের মধ্যে এবং এমন কিছু যা আল্লাহ আমাদের শিক্ষা দেন, যেটি সাধারণভাবে অবহেলিত। এবং আল্লাহ বলেন, “ইয়া আইউহাল্লাযিনা আমানু”– তোমরা যারা ঈমান এনেছ, তোমরা যারা ঈমানে প্রবেশ করেছ, লা তাসআলু আনইয়াশইয়াআ- জিজ্ঞেস করোনা বিষয়াদি সম্পর্কে, ইন তুবদালাকুম তাসু’কুম- যদি তা তোমাদের উপর প্রতীয়মান হয়, যদি উত্তরটি তোমাদের জন্য স্পষ্ট হয়ে যায়, তোমরা তা পছন্দ করবেনা। তা তোমাদের জন্য খারাপ হবে, তোমরা উত্তরটির জন্য কষ্ট পাবে।” আমি আপনাদের একটি গল্প বলবো, আপনারা অনেকেই যারা আমাকে অনলাইনে ফলো করেন অথবা আমি যে ধরনের ভিডিও এবং লেকচার করি এগুলোর সাথে পরিচিত, আপনারা জানেন যে আমি ফাতওয়া দেই না। আমি ফিক্হ নিয়ে কথা বলিনা। লোকে আমাকে সবসময় জিজ্ঞেস করে কোনটা হালাল, কোনটা হারাম। আমি তাদের সবসময় বলি কোন প্রকৃত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের কাছে যেতে। শেইখ ওমর সুলেমানকে জিজ্ঞেস করুন, শেইখ আব্দুন নাসেরকে জিজ্ঞেস করুন, অন্য কাউকে জিজ্ঞেস করুন। আমাকে কুর’আন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করুন। আশা করি আমি আপনাদের উত্তর দিতে পারব অথবা আমি গবেষণা করে আপনার উত্তরটি দিতে চেষ্টা করব। কিন্তু হালাল এবং হারাম বড় বিষয়। তো একজন আমার কাছে আসলো এবং জিজ্ঞেস করল, এবং এটি একটি সত্য ঘটনা। আমি বলবোনা তারা আমাকে কি প্রশ্ন করেছিল, কিন্তু তারা বলল, “এক্স ওয়াই যেড…এটি কি হারাম?” আমি বললাম, “আমি জানিনা। আমি আপনাদের বলতে পারবনা।” তারা জিজ্ঞেস করল “আমি কি মনে করি?” “না, আমি কিছু জানিনা, আমি আপনাদের বলতে পারবনা, আপনাদের অন্য কাউকে জিজ্ঞেস করতে হবে।” “তাহলে কাকে জিজ্ঞেস করা উচিত?” তো আমি একজন স্কলারের কথা বললাম, তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি কি তাকে এই প্রশ্নটি করেছেন?” আমি বললাম, “হ্যাঁ, আমি...
Videos |
কুরআনে আল্লাহ তাআলা অসংযতভাবে ব্যয়কারীদের কথা উল্লেখ করেছেন এবং এর জন্য দুটি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। একটি হল ইসরাফ। ইসরাফ মানে হল প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খরচ করা। আপনি যদি শপিং এ যান কারণ আপনার একটি শার্টের প্রয়োজন আর আপনি একটি শার্টের পরিবর্তে ২০ টি শার্ট কিনলেন কেবলমাত্র আপনার সামর্থ্য আছে বলে।এ কাজটি এক ধরনের ইসরাফ। অবশ্যই শার্ট আপনার কাজে লাগবে আপনি সেগুলো পরতে পারবেন ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত কিছু করে ফেলেন সেটাই হল ইসরাফ। কুরআনে ইসরাফ ব্যাপারটিকে নিচু চোখে দেখা হয়েছে। কিন্তু আরেক ধরনের খরচের বাতিক আছে। মানুষের মাঝে যা এর থেকেও অনেক খারাপ। যেটাকে আল্লাহ বলেছেন তাবযীর। তাবযীর মানে হল আপনি এমন জিনিসে খরচ করছেন যা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় এটা কোন মৌলিক চাহিদা নয়। আপনি জিনিসটি একেবারেই অর্থহীন কারণে কিনছেন। কোন উল্লেখযোগ্য চাহিদাও পূরণ হচ্ছে না আপনি যা কিনেছেন এই তাবযীর দ্বারা। তাবযীর শব্দটির মানে আপনি বলতে পারেন অতিরিক্ত ব্যয় করা কিংবা অপব্যয় করা, ফালতু জিনিসে খরচ করা। কিন্তু আল্লাহ যেভাবে তাবযীর শব্দটি বর্নণা করেছেন তা হল…“ইন্নাল মুবাযযিরীনা কানু ইখওয়ানাশ শায়াতীন” যারা অপ্রয়োজনীয় খরচ করে তারা শয়তানের ভাই। এই ঘোষণাটি খুব নিষ্ঠুর মনে হতে পারে। আমি শুধু খরচ করছি বলে ধরুন খরচ করছি ভিডিও গেমস এর উপর কিংবা Las Vegas এ একটি ট্রিপে যেতে অনেক টাকা খরচ করছি ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলোর জন্যে আমাকে শয়তানের ভাই হিসেবে কেন আখ্যা দেওয়া হল! আল্লাহ বলেননি এটা হারাম কিংবা এটা করো না কিংবা এ থেকে দূরে থাক। সরাসরি আমাকে শয়তানের অনুগত হিসেবে বিবেচিত করলেন! আল্লাহ এমনটা কেন বললেন! এর পিছনে অনেক কারণ আছে। চলুন ধীরে ধীরে আয়াতগুলো বুঝার চেষ্টা করি। প্রথমেই আল্লাহ বলছেন “রব্বুকুম আ’লামু বিমা ফী নুফূসিকুম ইন তা কুনু সলিহীন”। “তোমাদের রব জানেন তোমাদের অন্তরের গভীরে...
Videos |
আজকের খুতবায়, ইনশাআল্লাহু তা’য়ালা, আমি আপনাদের সাথে আমাদের দ্বীন এর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রসঙ্গে বলব। যে সম্পর্কে কুর’আনে বহুবার বলা হয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, অন্ততঃ আমার জানা মতে, অবশ্যই আল্লাহ আযযা ওয়াযাল ভাল জানেন, আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সাধারন মুসলিমরা বিশেষতঃ এই বিষয়টিতে বেশ বিভ্রান্ত (কনফিউজড), আর যে বিষয়টি কি না আমাদের ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত। কেননা এটা আমাদের কথাবার্তায় চলে আসে এবং ব্যাপারটি নিয়ে অনেকেই অনেক কষ্ট পেয়ে থাকেন শুধুমাত্র ঠিকমত এ বিষয়টি না বোঝার কারণে। আর তাই আজকের খুতবার বিষয়টি হলঃ “কেন বিপদাপদ ঘটে? কেন (জীবনে) বিপদাপদ আসে?” আর আমরা যদি এই বিষয়টিকে আমাদের ঈমানের অংশ হিসেবে না দেখি, তখন আমরা অনেক সময় বিপদগ্রস্ত কাউকে এমন কিছু বলে বসি, যা কি না তাকে আরও বেশী কষ্ট দেয়। উদাহরণস্বরূপ, এইতো ক’দিন আগেই আমি কথা বলছিলাম আমার এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের সাথে। কথা হচ্ছিল আমাদের প্রয়াতঃ দাদীকে নিয়ে। উনি মারা গেছেন (আল্লাহ ওনাকে রহম করুক)। মারা যাওয়ার আগ দিয়ে উনি অনেক কষ্ট পেয়েছেন। তো আমাদের পরিবারেরই এক চাচাতো ভাই (কাজিন) এর ধারণা হল, ওনার এই মৃত্যুকষ্ট পাওয়ার কারণ, উনি যখন অল্পবয়সের ছিলেন তখন কোন এক চাচী বা কারও একজনের সাথে ভীষণ খারাপ ব্যবহার করতেন! আর সেজন্যই আল্লাহ ওনাকে মারা যাওয়ার আগে এত কষ্টের ভেতর দিয়ে নিয়েছেন! তারা এসব কথাচ্ছলে বলে। কথার কথায় বলে ফেলে। কিন্তু আসলে প্রথমতঃ এধরণের কথা খুবই বেদনাদায়ক, আর কাউকে নিয়ে এমন কথা বলা কতটুকু ন্যয়সঙ্গত যে আল্লাহ অমুক কারণে তাকে শাস্তি দিচ্ছেন, বিশেষত এমন কাউকে নিয়ে বলা যিনি ইতোমধ্যে মারা গিয়েছেন। সত্যি বলতে কী, আমি খেয়াল করে দেখলাম, আমাদের পারস্পরিক কথাবার্তায় আমরা অহরহ এধরণের কথা বলে থাকি একজন আরেকজনকে। “জানো, কেন তোমার এমন হচ্ছে?? কারণ, আল্লাহ তোমার প্রতি নারাজ!” এমনকী আমি বাবা-মাদেরকেও এধরনের কথা ব্যবহার করতে...
Videos |
আপনার যদি কোন সমস্যা না থাকে কোন মেয়ের দিকে তাকানোর প্রতি, অশালীনভাবে তাকানোতে, অর্থাৎ আপনি তার দিকে সম্মানের সাথে তাকাচ্ছেন না, আপনি যেন তাকে পশু বা মাংসপিণ্ড মনে করছেন, যদি এই আপনার মনোভাব হয়, তার মানে এই যে, আপনার নিজের মায়ের প্রতি, নিজের বোনের প্রতি, নিজের স্ত্রীর প্রতি, নিজের কন্যার প্রতি আপনার কোন শ্রদ্ধাবোধ নেই। তারাও নারী। আপনি কখনই চাইবেন না যে মানুষ তাদের দিকে অশোভন ভাবে তাকাক। আর আপনি যার দিকে তাকাচ্ছেন তিনিও কারো মেয়ে, কারো বোন বা কারো মা। তাই সাবধান হউন। এমনকি উনাদের যদি নিজেদের জন্য শ্রদ্ধা নাও থাকে, কখনও অমুসলিম নারীদের নিজেদের প্রতি সম্মানবোধ থাকেনা, তাই তারা কখনো কখনো অশালীন পোশাক পরে, এমনকি মুসলিমরাও অশোভন পোশাক পরে থাকে। কিন্তু আপনারতো নিজের প্রতি এবং আপনার পরিবারের নারীদের প্রতি সম্মানবোধ আছে, তাই আপনি নিজের দৃষ্টিকে নত করুন। অবশ্যই করুন। আর এটা খুবই ঘৃণ্য ব্যাপার যে, পুরো পরিবারে সবাই একসাথে বসে মুভি দেখে, আর যখন কোন আপত্তিকর দৃশ্য আসে, তখন মা আর মেয়ে তাদের স্বামী আর ভাইদের সাথে একসাথে তা দেখে – “ওহ, এইটা মাত্র একটা খারাপ দৃশ্য, এইটা এমন কিছু না”! এটা খুবই ন্যাক্কারজনক, এটা কোন মুসলিম পরিবারের আচরণ হতে পারেনা। এই ধরণের অশ্লিলতায় আমাদের বিরক্তি হওয়া উচিৎ। আমাদের এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। এটা আমাদের সমাজের একটা বিশাল সমস্যা, আমাদের সমাজে অনেক ভাল ব্যাপার আছে, অনেক অনেক ভাল দিক আছে। কিন্তু এটা এমন একটা ব্যাপার যা আমাদের তরুণদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। অশ্লিলতার অতিরিক্ত প্রকাশ। কোন এক মেয়ে যদি আপনাকে মেসেজ পাঠায়, “আমি তোমার ফেসবুক ফ্রেন্ড হতে চাই”। ঠিক আছে। কিন্তু আমি চাইনা। না। যাও তোমার ভাইয়ের সাথে ফ্রেন্ডশিপ কর! তোমার কি বাবা নেই? সে কি তোমার সাথে বন্ধুভাবাপন্ন নয়? তোমার কেন অন্য বন্ধু দরকার? আমি খুব গুরুত্ব...