Videos |
আপনার যদি কোন সমস্যা না থাকে কোন মেয়ের দিকে তাকানোর প্রতি, অশালীনভাবে তাকানোতে, অর্থাৎ আপনি তার দিকে সম্মানের সাথে তাকাচ্ছেন না, আপনি যেন তাকে পশু বা মাংসপিণ্ড মনে করছেন, যদি এই আপনার মনোভাব হয়, তার মানে এই যে, আপনার নিজের মায়ের প্রতি, নিজের বোনের প্রতি, নিজের স্ত্রীর প্রতি, নিজের কন্যার প্রতি আপনার কোন শ্রদ্ধাবোধ নেই। তারাও নারী। আপনি কখনই চাইবেন না যে মানুষ তাদের দিকে অশোভন ভাবে তাকাক। আর আপনি যার দিকে তাকাচ্ছেন তিনিও কারো মেয়ে, কারো বোন বা কারো মা। তাই সাবধান হউন। এমনকি উনাদের যদি নিজেদের জন্য শ্রদ্ধা নাও থাকে, কখনও অমুসলিম নারীদের নিজেদের প্রতি সম্মানবোধ থাকেনা, তাই তারা কখনো কখনো অশালীন পোশাক পরে, এমনকি মুসলিমরাও অশোভন পোশাক পরে থাকে। কিন্তু আপনারতো নিজের প্রতি এবং আপনার পরিবারের নারীদের প্রতি সম্মানবোধ আছে, তাই আপনি নিজের দৃষ্টিকে নত করুন। অবশ্যই করুন। আর এটা খুবই ঘৃণ্য ব্যাপার যে, পুরো পরিবারে সবাই একসাথে বসে মুভি দেখে, আর যখন কোন আপত্তিকর দৃশ্য আসে, তখন মা আর মেয়ে তাদের স্বামী আর ভাইদের সাথে একসাথে তা দেখে – “ওহ, এইটা মাত্র একটা খারাপ দৃশ্য, এইটা এমন কিছু না”! এটা খুবই ন্যাক্কারজনক, এটা কোন মুসলিম পরিবারের আচরণ হতে পারেনা। এই ধরণের অশ্লিলতায় আমাদের বিরক্তি হওয়া উচিৎ। আমাদের এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। এটা আমাদের সমাজের একটা বিশাল সমস্যা, আমাদের সমাজে অনেক ভাল ব্যাপার আছে, অনেক অনেক ভাল দিক আছে। কিন্তু এটা এমন একটা ব্যাপার যা আমাদের তরুণদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। অশ্লিলতার অতিরিক্ত প্রকাশ। কোন এক মেয়ে যদি আপনাকে মেসেজ পাঠায়, “আমি তোমার ফেসবুক ফ্রেন্ড হতে চাই”। ঠিক আছে। কিন্তু আমি চাইনা। না। যাও তোমার ভাইয়ের সাথে ফ্রেন্ডশিপ কর! তোমার কি বাবা নেই? সে কি তোমার সাথে বন্ধুভাবাপন্ন নয়? তোমার কেন অন্য বন্ধু দরকার? আমি খুব গুরুত্ব...
Videos |
উস্তাদ নুমান আলী খানের কুরআন উইকলি তে দেয়া কুরআনের রত্ন সিরিজ থেকে। ”আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমুহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পার।” (আলে ইমরানঃ ১০৩) আসসালামুয়ালাইকুম Quran Weekly. আজকে আমি আপনাদের কাছে খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আয়াত পরিবেশন করতে যাচ্ছি। এটি সূরা আল- ইমরান এর ১০৩ তম আয়াত। এটি থেকে কিছু শিক্ষা আমাদের জন্য, ইনশাল্লাহ যা আপনি এবং আমি উভয়ই হৃদয়ে ধারন করতে পারি, এবং এর আলোকে নিজেদের আলকিত করতে পারি। আল্লাহ বলেনঃ ওয়াতাআসিমু বিহাব্লিল্লাহি জামিয়ান। ‘ওয়াতাসিমু’ শব্দটি আরবিতে কোন কিছু নিরাপত্তার জন্য শক্ত করে ধরে রাখা বুঝায়। ‘ইস্মা’ হল নিরাপত্তা। ‘ইতসাম’ হল নিরাপত্তার জন্য কোন কিছু ধরে রাখা। নিজের নিরাপত্তার জন্য কোন কিছু আঁকড়ে ধরে থাকা। ‘ওয়াতাআসিমু বিহাব্লিল্লাহি’- আল্লাহ্র নিরাপত্তা অথবা আল্লাহ্র দড়ি ধরে থাকা। ‘জামিয়ান’- সবাই একসাথে, আল্লাহর দড়ি পরিপূর্ণ ভাবে ধরে থাকা। দড়ি হল এমন কিছু যা আপনাকে সরাসরি অন্য কিছুর সাথে সংযুক্ত করে, ‘হাব্লুল্লাহ’- এই অংশটি- ‘হাব্লুল্লাহ’ – আল্লাহ্র দড়ি – এর ব্যাকরণগত গঠনও এটাই প্রকাশ করে যে এই দুটি শব্দ এখানে অবিচ্ছেদ্য। আরবিতে একে ‘ইদাফাহ’ বলা হয়। কিন্তু আমি ব্যাকরণের খুব গভীরে যাচ্ছি না। আমি যা বলতে চাচ্ছি, আল্লাহ এমন ভাবে বলছেন যেন এই দড়ি আল্লাহ্র সাথে সরাসরি সংযুক্ত, তাই আপনার নিরাপত্তার জন্য একে ধরে থাকা উচিৎ, এবং আপনি যদি তা করেন তাহলে আপনিও আল্লাহ্র সাথে সরাসরি যুক্ত হবেন, এবং আল্লাহ্র এই দড়ি,...
Videos |
উস্তাদ নুমান আলী খানের কুরআন উইকলি তে দেয়া কুরআনের রত্ন সিরিজ থেকে। فَدَلَّاهُمَا بِغُرُورٍ অতঃপর প্রতারণাপূর্বক তাদেরকে সম্মত করে ফেলল। সূরা আল আরাফঃ ২২ আসসালামু আলায়কুম, Quran Weekly. সূরা আল আরাফ এর ২২ নম্বর আয়াতটি দীর্ঘ একটি আয়াত, কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত আলোচনায়, আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই এর প্রথম অংশ, যার মধ্যে আছে জীবনের জন্য অবিশ্বাস্য রকমের প্রজ্ঞা। আমরা কিভাবে শয়তানের মোকাবেলা করবো, আল্লাহ বর্ণনা করছেন, শয়তান কিভাবে আমাদের আদি পিতামাতা আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ) কে ভুল করার জন্য প্ররোচিত করেছিল। তার কি এমন পদ্ধতি ছিল, যাতে তারা তার কথা মত কাজ করেছিলো? এটা শুধু তার কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, আমরা সবাই জানি যে সে তাদেরকে প্ররোচিত করেছিল, আমরা জানি যে সে তাদের কে অনন্ত জীবনের লোভ দেখিয়েছিল এবং বলেছিল যে তারা জান্নাতে থাকতে পারবে। এটা আমরা সবাই জানি, কিন্তু সে আসলে কিভাবে তা করেছিল, তার পদ্ধতি কি ছিল? এই পদ্ধতিটি বুঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং এটাই তুলে ধরা হয়েছে আয়াতটির প্রথম অংশে – ফাদাল্লাহুম্মা বি গুরুরিন। “দাল্লা” ব্যবহার করা হয় যখন আপনি বালতি টেনে তুলেন। আরবিতে “দাল্লু” বলতে বালতি বুঝানো হয় আর “আদলা” মানে হল বালতি নীচে ফেলে আবার টেনে উপরে উঠানো। যেমন পুরনো দিনে কুয়াতে বালতি ফেলে পানি টেনে উপরে উঠানো হত, মানে বালতি টেনে টেনে তুলতে হত, এটাই হল “আদলা”। কিন্তু “দাল্লা” হল খুব ধীরে ধীরে বালতি নামানো, যেমন খুব পুরনো পশু শিকার করার পদ্ধতি। যেমন আপনার কাছে একটি গাজর বা কিছু খাবার আছে, আপনি তা বালতিতে রেখে দিলেন, এবং বালতিটা দড়িতে বাঁধা। যখন কোন প্রাণী তাতে আকৃষ্ট হয়, আপনি ধীরে ধীরে বালতিটি নিজের দিকে টেনে নিয়ে আসেন, আর প্রাণীটি পিছু পিছু আসে। এটাই হল “দাল্লা”। আক্ষরিক ভাবেই, শয়তান তাদের কে বলেনি, “আল্লাহকে অমান্য...
Articles |
“শয়তান বলল (আল্লাহর উপর অভিযোগ দিয়ে) যেহেতু আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করলেন, একারণে আমি অবশ্যই, অবশ্যই, অবশ্যই তাদের (পথভ্রষ্ট করার) জন্য আপনার সরল পথে বসে থাকব”… এখানে শয়তান এরাবিক যে শব্দ ব্যবহার করেছে -তা খুবই গভীর, তা কোন সাধারণ শব্দ নয়। এই একটি শব্দ ভালো করে উপলব্ধি করতে পারলে আমরা শয়তানের পথভ্রষ্টতার পলিসি ধরতে পারব…এবং আমরা এ থেকে বেঁচে থাকব কি না সেটা আমাদের ইচ্ছা আর আল্লাহর রহমতের উপর নির্ভর করবে। আরবীতে জুলুস অর্থ বসে থাকা, কিন্তু কুয়ুদ অর্থ শুধু বসে থাকা নয়, বরং দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, চিন্তাশিলতা নিয়ে বসে থাকা (সূরা আলে ইমরান-১৯১ দেখুন) । এখানে শয়তান শিকার ধরার জন্য বিস্তারিত ও বড়সড় পরিকল্পনা নিয়ে বসে থাকে…কিভাবে? আসুন তবে বসে থাকা(কুয়ুদ) এর একটি উদাহরণ দেখি… একটি বক কিভাবে মাছ ধরার জন্য বসে থাকে(কুয়ুদ)? – সে দেখে তাঁর শিকারের সময় ছায়া পড়বে কি না…যাতে মাছ টের পায়, সে দেখে কখন তীব্র রোধ উঠবে ও মাছ উপরে উঠে আসবে, সে চিন্তা করে এই খাবার এখন না পেলে সে অভূক্ত থাকবে, কষ্টে থাকবে, সে চিন্তা করে কোন এংগেলে গেলে মাছ তাকে দেখবে না, মাছ কোন দিকে মাথা দিয়ে রাখবে এবং সেখানে থাবা দিবে যাতে শক্তি করতে না পারে, —এভাবে বহু চিন্তার পর সে মাছ শিকার করে। এটা কি শুধু বসে থাকলে হবে? …না, কক্ষনই না…বরং দীর্ঘক্ষণ বসে, চিন্তা করে, পরিকল্পনা করে, এর পরেই না তার কাজ সমাধা করতে হয়। তাহলে চিন্তা করুন কত দীর্ঘ সময় তাকে বসে থাকতে হয় একটি শিকার ধরার জন্য। যারা ক্রিমিনলজি পড়েছেন তারা হয়ত জানেন একটি ক্রিমিনালকে ধরতে বা কোন অপারেশন চালাতে কত প্রস্তুতি নিতে হয়, কত মাস, কত দিন ধরে সময় নিয়ে অবস্থান ঠিক করে, লোকজন ঠিক করে, অপরাধীর অবস্থান ভাল মত পর্যবেক্ষণ করে, কোথায়, কিভাবে, কোন...
Articles |
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম [উস্তাদ নুমান আলী খানের সূরা আরাফের ১৭ নং আয়াতের তাফসীর থেকে অনুপ্রাণিত] “অতঃপর আমি অবশ্যই (পথভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে) আমি তাদের সম্মুখ দিয়ে, পেছন দিক দিয়ে, ডান দিক দিয়ে এবং বাম দিক দিয়ে তাদের কাছে আসব। আর আপনি তাদের অধিকাংশকেই কৃতজ্ঞ বান্দারূপে পাবেন না।” (সূরা আরাফঃ ১৭) শয়তানকে যখন আদম আলাইহিস সালাম এর ব্যাপারে আল্লাহর আদেশ মান্য করল না, আল্লাহর আদেশের বিরোধিতা করল, অহংকার করল আল্লাহর আদেশের ব্যাপারে একজন মানুষের প্রতি, তখন আল্লাহ শয়তানকে বললেন বেরিয়ে যাও এখান থেকে, তুমি পাপী, তুমি আমার আদেশ মানোনি। তখন শয়তান শপথ করে বলল আমি অবশ্যই, অবশ্যই আপনার বান্দাদেরকে পথভ্রষ্ট করার জন্য তাদের পথে বসে থাকব যতক্ষণ না আমি তাদের পথভ্রষ্ট করতে পারি। এখানে ১৭ নং আয়াতে তার আক্রমনের কথা তার নিজের ভাষায়ই আল্লাহ বলেছেন সে শয়তান প্রচন্ড শপথ করে বলল, যতক্ষণ লাগুক না কেন সে বসে থাকবে সৎ বান্দাদের পথে এবং আক্রমণ করবে ৪টি দিক দিয়ে — ডান, বাম, সম্মুখ ও পেছন দিক দিয়ে। এখানে কেবল একটি দিক বাদ রয়ে গেছে। তা হল ‘উপরের দিক’। কেন উর্ধ্ব বা উপরের দিক বাদ? স্কলাররা বলেছেন কারণ এটা হল ‘ওহী’ আসার দিক, ‘আল্লাহর বাণীর দিক’, ‘আল্লাহর দিক’। আর ‘ওহী’ বা আল্লাহর বাণীকে শয়তান কিছুই করতে পারে না, শয়তান আল্লাহর বাণীকে ধারণ করে, এমন ব্যক্তিকে পথভ্রষ্ট করতে পারে না। যেহেতু শয়তান চতুর্দিক থেকে আঘাত করবে বলেছে এবং একটি দিক দিয়ে সে পারবে না সে নিজেও জানত, কারণ আল্লাহর ক্ষমতার কাছে তার ক্ষমতা টিকবে না, তাই আমরা যদি আল্লাহর কাছে চাই (দোয়া করি), আল্লাহর বাণীর দিকে ফিরে যাই (কুর’আনের কাছে), আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি (আল্লাহর পানে চেয়ে), আসমানের দিকে আল্লাহর পানে আশ্রয় চাই, তবে শয়তান এই দিক দিয়ে কখনই আক্রমন করতে পারবে না আর...